Friday 25 December 2015

বাঙালী মুসলমানঃ বঙ্গভঙ্গ ও গণহত্যার সংখ্যাভীতি তত্ত্ব


একজন রনির গল্প আর হাজার রনির কান্নার প্রতিধ্বনি...

একটু আগে একজনের স্বার্থে কিছু তথ্য যোগাড় করতে ফোন দিয়েছিলাম রনি'কে...রনি এখন গেটউইক ডিটেনশন সেন্টারে। কাজের যায়গা থেকে রনিকে ধরে নিয়ে গেছে...রনির সাথে পরিচয় সেই ২০১০/১১ সালের দিকে, আমাদের সেই সময়ের বাসায় থাকা সুমন ভাইয়ের ( আমরা তার পেছনে মেট্র সুমন বলি ) পরিচয়ে উঠেছিলো আমাদের সেই আপটন পার্কের বাসায়। পড়াশুনা আর তথাকথিত বেআইনী ভাবে কাজে সে প্রচন্ড পরিশ্রম করেছে, শেষবার তার সাথে যখন দেখা হলো মুখটি তার বড় করুন ছিলো, শেষবার যখন কথা হলো জানালো মাসের পর মাস তার এমপ্লয়ার বেতন দেয়না...গত বুধবার সে আটক হয়েছে...

অনেকদিন ভেবেছি এই যে এতো এতো ছাত্র/কর্মজীবি/সুখের সন্ধানী দেশ ছেড়ে আসে এদের জন্য কিছু লিখি/করি কিন্তু পেটের তাড়না আমায় ততোটাই তাড়িত করেছে যতোটা হলে ভালো চিন্তাকে অভাব গিলে খেতে পারে। এই লিখা যারা পড়ছেন তারা হয়তো জানেন, এই সব ছাত্রদের এবিউজকারীগণ বেশীর ভাগ সাদা খ্রিষ্টান নয়, কালো নয়, এরা বাংলাদেশী, পাকিস্তানী, ভারতী, টার্কিশ, শ্রিলঙ্কান। অমানুষিক পরিশ্রম বলতে আপনি যা বুঝেন তা এখানে প্রযোজ্য নয়, যেমন মনে করুন, একটি দেশের ওয়ার্কিং ক্লাস শুধু জানে কাজে আসো, কাজ করো আর বেতন নাও...আপনি দেখবেন এরা এদের মাঝে খুবই নগণ্য একটি সংখ্যা মনে করে এটি তাদের ভাগ্য, বেশীরভাগ অনুধাবনই করতে পারেনা তাদের অবস্থান আর তাদের গন্তব্য কিন্তু যদি দেখেন একটি দেশের কিছু মানুষ মানবিক মর্যাদার সাথে জীবন সংগ্রাম করছে তখন সেখানে আরেক দলকে যখন অমর্যাদা, অসম বেতন আর নির্যাতনের ভেতর দিয়ে যেতে হয় তখন তারা মানষিক দিক দিয়ে যে তলানীতে এসে ঠেকেন তা তাদেরকে এমন ভাবে রক্তাক্ত করে যার আঘাত দেখা যায়না কিন্তু সে প্রাণ হারায় ধীরে ধীরে, নিশঃব্দে।

Sunday 1 November 2015

অন্তঃহীন নীরবতার কুৎসিত উদগীরন

এই লিখাটি একটি কাল্পনিক চিত্রের উপর ভিত্তি করে লিখা। এতে উল্লেখিত কোন নাম, প্রতিষ্ঠান, বা ঘটনা সে অতীত, নিকট অতীত কিংবা ভবিষ্যতের সাথে মিলে গেলে তথ্য প্রযুক্তি আইন কিংবা নানা অনূভুতিতে আঘাতের অভিযোগে লেখককে দায়ী করার প্রচেষ্টা উদ্দেশ্য প্রনোদীত বলিয়া বিবেচিত হইবে। লিখার সাথে বাস্তবতার মিল যদি আপনি পেয়ে যান তবে জেনে রাখুন তা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিলোনা, ছিলোনা জিয়ার আদর্শে কিংবা কোরান-বাইবেল-গীতা- বা যা যা সব আছে তাতে এঁর কোন নির্দেশনা। ইটস আ ফিকশনাল ওয়ার্ক। সবই কোইনসিডেন্স... যেখানে ডায়ালগ মিসিং সেখানে আপনার কন্ট্রিবিউশন উইল বি এপ্রিসিয়েটেড...

ক্রিং ক্রিং... ক্রিং ক্রিং (সরকারী কোন অফিসের জন্য এরচেয়ে স্যুইটেবল সাউন্ড ভাবা গেলোনা)

হ্যালো...
হার হাইনেস হিঁস ম্যাডাম কথা বলবেন...
ইয়েস ম্যাডাম, বান্দার খেদমত হাজির।
ইয়েস আপ্পা, নো সিয়াপ্পা।
জি মুহতারামা, তাকলিফ নেই, বালা মুসিবত দূর হয়ে যাবে।
ইয়েস লীডার, কই যাবে? মায়ের পেট থেকে লাথি দিয়ে বের করে আনবো।
ইয়েস ম্যাডাম, এবরিথিং আন্ডার কন্ট্রোল...
জি লীডার, অল ইজ অয়েল...

Monday 26 October 2015

অমিমাংসিত আলেয়ার ভ্রম...

পাড়ার মসজিদের মাইকে, ঈদে-চান্দে, শুক্রবারের দুপুরে কিংবা আমার ক্লাসে, সুরেলা কন্ঠের সিজনাল ওয়াজের দরাজ গলায় শুনেছি যেই গল্প আজ তা কথা প্রসঙ্গে সেলিব্রেটি এক ব্লগারের সাথে দোহরালাম... আগেও প্রশ্ন করেছি, মা বলতেন, বাবা আমার পারেনা এসব বলতে, আল্লাহ বেজার হন... আমার আব্বা আফসোস করতেন মানুষ হলাম না এই দুঃখে...ক্লাসের টিচার বলতেন, নাউজুবিল্লাহ। আর বাকি সবাই বলতেন, সব বিষয়ে প্রশ্ন করতে হয়না ! একদিন আল্লাহ মিয়া ফেরেশতাদের ডেকে বললেন, আমি মানুষ বানাবো। ফেরেশতাগণ বললেন, হে পরোয়ারদেগার আপনি কি এমন প্রাণী বানাবেন যারা আগের সৃষ্টির মতো মারামারি কাটাকাটি করতো ?!

Monday 5 October 2015

সবি কলির খেলা! কি কন?

আমার মায়ের কাছে শুনেছি, সকাল বেলা বাড়িতে যদি কাক এসে ডাকতে থাকে তবে নাকি অতিথি যোগ হয়। শত শত বছর ধরে চলে আসা এই সব মিথ সত্য কি মিথ্যা তা বিবেচনার দিকে গেলাম না তবে আমি দেখেছি যখন কোন কাক মারা যায় মৃত কাকের কাছা কাছি এসে কা কা রব করতে থাকে। হয়তো এটি তাদের শোকের ভাষা। এই সকালে কাক নিয়ে কেন পরলাম ? আপাতত মনে রাখেন কাক কাকের মাংশ খায়না ( প্রচলিত ধারণা)। বাংলাদেশের শহরাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষদের কাছে ব্লগার শব্দটি এখন বেশ ভালো ভাবে পরিচিত...অন্তত বলগার হিসেবে হলেও...

Tuesday 1 September 2015

পরিবর্তনের ঝড়ো উত্তাল হাওয়া বইছে...

মিশরের জনৈক মুয়াজ্জিন সাহেব তাঁর মুসল্লিদের দৈনিক প্রার্থণায় ডাকতে হোয়াটস আপ ম্যাসেজিং সুবিধা নেয়ার কথা ভেবেছেন। আমি আনন্দিত , উদ্দেলিত। প্রশ্ন তোমার মনে ব্যাটা নাস্তিক তোর এতে আমোদ কিসে ? আসলে আমি সুখি একারনে যে জাপানি সোলজার এতো দিনে জ্ঞান করেছে যুদ্ধ শেষ তাই গণ মানুষের গণ স্রোতে আস্তেই হবে। অর্থ্যাত মুসলমান সমাজে পরিবর্তনের হাওয়া আসছে। তাই আমরা আশার আলো দেখছি যে তারাও একদিন রেশনাল চিন্তা করবে... তারা তাদের ভেতরকার ইরেশনাল ডার্ক প্রাক্টিস গুলো কে ছুড়ে ফেলে দিয়ে মানুষের জন্য বাচবে, একদিন।

অনেক আগে দুহাজার তেরোতে লিখেছিলাম, সংখ্যাগরিষ্ঠ  সমাজ সংখ্যা লঘুদের উপর চাপিয়ে দেয় তাদের ধর্ম বিলাশ, যেমন আজান শুনতে বাধ্য করা, গরু নিধন, কিংবা মসজিদ থেকে অকথ্য ভাষায় অন্য বিশ্বাসের তুলোধুনা, নারীর উপর অন্যায্য বিধি নিষেধ আরোপ, আজান দিতে না দেয়া, বিশেষ প্রাণীর বধ নিষিদ্ধ, জাত পাতের নামে সেগ্রিগেশন, সমাজে রাষ্ট্রে কিছু অতি সুরক্ষিত পদ যাতে যেখানে বিশেষ শ্রেণীর অংশ গ্রহণ অলিখিত ভাবে নিষিদ্ধ।

একদিন আসবে যখন মানুষ নিজেদের চ্যালেঞ্জ করার সাহস করে উঠবে, প্রশ্ন করবে ঠিক তখনই ভেঙ্গে পড়বে বিশ্বাসের দালান। উড়ে যাবে মিথ্যা অসৎ ছলের ধর্মের আল খাল্লা।

Monday 31 August 2015

গলায় ফাস, কালো বর্ণ এবং আমাদের লজ্জা...

আমাদের দেশে জাতি, ধর্ম, এলাকা নির্বিশেষে শিক্ষক পেশার প্রতি অগাধ ভক্তি শ্রদ্ধা সর্বজন বিধিত। হয়তো আমার এই কথাটি অতীত কালেই বেশি মানাতো তবুও চিরিন্তন বর্তমান হিসেবে লিখলাম যদি আমরা মানুষ হয়ে যাই, যদি প্রাইমারী স্কুলের টিচারদের প্রতি প্রচন্ড ভয় নিয়েই আমরা প্রাইমারী স্কুল শেষ করে হাইস্কুলে আসি যেখানে বেশির ভাগ ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনের নায়ক তারা খুজে পায় তাদের শিক্ষকদের মাঝে। স্কুল পেরিয়ে যখন কলেজে-ভার্সিটিতে মানুষ আসে তখন ব্যাক্তিত্বের ভীন্নতাকে সম্মান করে কিংবা বাধ্য হয়ে শিক্ষকগণ (এমনকি পিতা-মাতা, অন্যান্য সম্পর্ক) তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা মানুষ গুলোকে স্বাধীনতা প্রদান করেন। তাদের কথা শুনেন বা শুনতে বাধ্য হন। 

Wednesday 26 August 2015

হয়রান আমি হয়রান।

হয়রান আমি হয়রান। হয়রান আমি সড়কে, ট্রাফিকে, কাউন্সিলের অমনযোগীতায়, ইন্ডিয়ান ডেইলি সোপের মতো ডেইলি নিউজগুলোতে। হয়রান আমি এই ভয়ে যে, কে বলে উঠে তুই নাস্তিক তোর মাথা তোর ঘারের উপর মানায় না...আসো ফেলে দেই তোমার ওই... আমি চেয়ে থাকি অথর্ব মানুষের মতো, মানুষ কারো শোকে ঢেকুর তোলে বিরিয়ানি টানে আর কারো জন্ম ! দিনের নামে কেকের মাঝে নিজের মানবতা লুকায় যখন অবুঝ শিশু তাঁর প্রাণ রক্ষায় আকুতি করতে করতে প্রাণ হারায়!!!

ক্যাসপারের কথা যারা শুনেছেন তারা নিজের সাধ্য মতো কিছু করেন প্লিজ...

আমি হয়রান থাকি আমার ছোট্র দেশটা আর কতো ডুবলে আমরা ভাববো, লেটস ডু সামথিং...
আজকের মতো যেতে যেতে আপনাদের কে এক নমুনা দিয়ে যাই, কি পরিমান নির্লজ্জতা আর অমানবিক এবং পুরুষ তান্ত্রিক ধর্ম আমাদের গ্রাস করেছে তাঁর চলমান নাজারা...উপভোগ করতে থাকুন সেই পর্যন্ত যে পর্যন্ত না আপনাকে আপনি নিজে ভয় পেতে শুরু করেন...

Saturday 9 May 2015

পরিত্যাক্ত জীবনের আখ্যান

সকাল সন্ধ্যা কাজ করে, গৌরবহীন দেহ আর মন নিয়ে যখন বিছানায় আসি তখন মাঝে মাঝে শুয়ে শুয়ে সিনেমা, টকশো কিংবা নিউজ, ফেসবুকিং করি। টম ক্রুজের সিনেমা দেখতে গিয়ে ইউটিউবে অদ্ভুত শিরোনামের টম ক্রুজেরই একটি সিনেমা দেখতে শুরু করলাম। আমার জীবনের দেখা সেরা কয়েকটি সিনেমার একটি ছিলো মুভিটি। ডাস্টিন হফম্যান ও টম ক্রুজ অভিনীত, ১৯৮৮ সালের সিনেমা ‘’রেইন ম্যান’’। কিছু অনুভূতির কখনোই পুরনো হয়না… সিনেমাটির এক বিশেষ দৃশ্য (০১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট) আমায় কাদিয়ে ছেড়েছে।

আমি জানিনা পরিত্যাক্ত হবার কোন অনুভূতি আপনাদের কারো আছে কিনা ? আমার আছে ! আমার বয়স তখন ১২/১৩। সাথের সবাই হাইস্কুলে যাচ্ছে, পুলিশ লাইনে একটু ভালো অর্থ ও মেধার অধিকারীরা যাচ্ছে, তাঁর চেয়ে সবদিক দিয়ে নীচে যারা তারা পিডিবি কিংবা রসময় অথবা এইডেড স্কুলে ভর্তি হয়ে গেছে। আমি ভর্তি হলাম কাজির বাজার মাদ্রাসায়।

যেদিন আমি হোষ্টেলে স্থায়ী ভাবে থাকার জন্য এলাম, আমার মা ও বাবা আমার সাথে হোষ্টেলের গেইট পর্যন্ত এসেছিলেন। বিশাল গেটের এক পাশে আমার মা কাদছেন আমি তখন কাদিনি। যে পাশে আমার ঠাই হলো সে পাশে মা নেই, ভাই-বোন নেই, বাপ নেই… আছে ভয়, আতঙ্ক, আর এক প্রেমময় ভয়ঙ্কর খোদা তাঁর দাল্লা।

আমি পরিত্যাক্ত হলাম, আমার কাছ থেকে, মায়ের কাছ থেকে। মাঝে মাঝে বৃহস্পতি বারে ক্লাস শেষে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ছুটি পাওয়া যেতো। পড়া-শুনার ক্ষতি হবে বলে মা-বাপ পছন্দ করতেন না আমি প্রতি সপ্তাহে কিংবা প্রায়ই বাসায় আসি। তবুও আমি আসতাম… শুক্রুবারে, এসে বাসার সামনে দিয়ে হাটতাম, বাবার ভয়ে বাসায় যেতে সাহস হতোনা… 

আমি পরিত্যাক্ত ছিলাম, তবুও আমি আসতাম…বেহেশতের এই জেলখানা আমার কাছে নিরাপদ ঠেকেনা, মায়ের মতো…

Friday 8 May 2015

প্রয়োজন বোধদয়...

আমার খুব কাছের মানুষ কাদির দাদা। কত শত বিষয় নিয়ে যে আমাদের আলোচনা হয়, তার হিসাব রাখা দায়। একজন ইমিগ্রান্ট হিসেবে নানা বাস্তবতার নিরিখে মে ২০১৫ ইউকে ইলেকশন ঘুরে ফিরে এসেছে বারবার। আমি বলেছিলাম, কনজারভেটিভ ইউন করবে(আশা করতাম বিজয়ী না হউক) তিনি বলতেন রোজদিনকার মানুষের থেকে শুনেন ক্যামেরনের উপর বিরিক্তির কথা তাই বিশ্বাস করতেন ক্যামেরন ডুববেন।

Sunday 3 May 2015

অন্ধ হলেই কি প্রলয় বন্ধ হবে ?

আমি এক সময় একটা অঞ্চলে থাকতাম যেখানের বেশ কিছু সৌদি ফেরত মানুষ পেপসি কে বেপসি বলতো ! সৌদিতে শুনে শুনে শেখা আর অন্যের ভাষাতে যা কিছু তা সঠিক ভাবার মেন্টালিটি থেকে উপ্রন্তু আরবীতে "প" এর সমচ্চারিত অক্ষর না থাকাই এর কারন বলে জ্ঞান করি। সেই মানুষগুলোর মুখে শুনেছি, আরবীরা বেয়াদব, স্বামীকে নাম ধরে ডাকে , আরবীরা কোরান হাদীস মানেনা, কোরানের উপর পাছা পেতে বসে পড়ে !!!অজ্ঞানতা যে মানুষকে কোথায় নিয়ে যায় আর দুই মেরুর দুই মানুষকে একই কাছা দিয়ে বেধে দেয় তার প্রমান আবারো পেলাম বাংলাদেশে।

Tuesday 17 February 2015

রাহী এ নহে সমাধান...


আমি বলি, যতো পারেন নবী মুহাম্মদ কে নিয়ে সমালোচনা করেন, আলোচনা করেন তাতে একজন মুহাম্মদের কিছুই আর বাড়বে বা কমবে না। তিনি একজন মানুষ ছিলেন, উনার বিশ্বাসের অনুসারীদের কাছে তিনি একজন নবী ছিলেন। 

সকল আলোচনা আর সমালোচনার ভীত্তিকে দুই ভাগে ভাগ করে আলোচনা করলে মানুষ দিকভ্রান্ত হবেনা।


১। বিশ্বাসীর আলোচনা। (সমালোচনার অবকাশ নেই )


২। অবিশ্বাসীর আলোচনা বা সমালোচনা। (অর্থহীন, কারন যদি আপনার বিশ্বাস না থাকে তবে লেট ইট গো আজ ইট ইজ আর যদি আপনি হিটখোর হোন তবে সবচেয়ে সহজ গাড়িতে চড়েছেন)

সহজ কথা

আমি বলি, যতো পারেন নবী মুহাম্মদ কে নিয়ে সমালোচনা করেন, আলোচনা করেন তাতে একজন মুহাম্মদের কিছুই আর বাড়বে বা কমবে না। তিনি একজন মানুষ ছিলেন, উনার বিশ্বাসের অনুসারীদের কাছে তিনি একজন নবী ছিলেন। সকল আলোচনা আর সমালোচনার ভীত্তিকে দুই ভাগে ভাগ করে আলোচনা করলে মানুষ দিকভ্রান্ত হবেনা।

১। বিশ্বাসীর আলোচনা। (সমালোচনার অবকাশ নেই )

২। অবিশ্বাসীর আলোচনা বা সমালোচনা। (অর্থহীন, কারন যদি আপনার বিশ্বাস না থাকে তবে লেট ইট গো আজ ইট ইজ আর যদি আপনি হিটখোর হোন তবে সবচেয়ে সহজ গাড়িতে চড়েছেন). 

প্রিয় বিশ্বাসীগণ, নবীর জীবনকাল কে আলোচনার/গবেষণার/প্রচারণায় আপনাদের ব্যার্থতার কারনে সুফিজমের নামের গাঞ্জা পার্টিদের দৌরাত্মে, ইসলামের নামে বিভীন্ন গোত্র/মত/দলের অজ্ঞানতায় ইসলাম আজ নিউ ফ্যাসিজমের/ক্যাপিটালিষ্টদের মাছি ডেকে ঝগড়া বাধানোর হট কেক তাই কব্জির ভাষা পরিত্যাগ করে মুখের ভাষায়, প্রজ্ঞার সাথে কথা বলুন। জ্ঞান ও গবেষণায় আত্মনিয়োগ করুন।

কোরেশরা/মদীনার ইহুদীরা যা করেছে বলে আপনারা প্রচার করেন তার চেয়ে এখনকার পেইড এজেন্টগণ বেশী কিছু করছেনা তাই আপনার কোরআন ও হাদীস দেখে শিখে রিএক্ট করুন।

Friday 23 January 2015

রাহী তোমায় জানতে হবে ...

বহুদিন আগে এক পাঠ-চক্রে বসে শেখা, একই বস্তুকে একই সময়ে ভীন্ন  কোণ থেকে দেখার তত্ত্ব মনে করুন আমার আপনার বিপরীতমুখী অবস্থানের মধ্যখানে একটি বল রাখা হলো যা আমার ডানদিক থেকে কাছে, ঠিক একই বস্তু আপনার দিক থেকে দেখলে দেখা যাবে তা আপনার বাম দিকে রয়েছে... দৃষ্টি ভঙ্গির পার্থক্যে কোন কোন বিষয় যে কোথা থেকে কই যায় !
বিএনপি' নেতা-কর্মি সমর্থকগণ তাদের ভোটাধীকার প্রয়োগ করেননি/সুযোগ পাননি (ক্ষমতা লাভের স্বীকৃত কাগজি ব্যাবস্থা) তাই তারা আওয়ামীলীগ বিএনপি নয় এমন কোটি মানুষকে জিম্মি করে আন্দোলনের নামে হত্যা, লুন্ঠন আর ধংষের গণতন্ত্র চর্চা করছেন অপর দিকে আওয়ামীলীগ সংবিধান নামের কাগজের দোহাই দিয়ে বিনা ভোটে/ ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে সিষ্টেমেটিক তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছেন
সবচেয়ে করুন পরিতাপের বিষয় হলো, যারা বিএনপি বা আওয়ামীলীগ নয় এমন সাধারণ মানুষ যারা ভোট দেননি বা দেননা বা দেয়ার সুযোগ পাননি বা পাননা, আজ তারাই বলি হচ্ছেন !

কিছু দেশী/বিদেশি শিক্ষক নামের কলংক, আইনখোর, আতাতজীবি, খ্যাতিখোর,সরকারী বেনিফিটখোর, রাম-বাম-পাম যারা এক চোখের দানবের মতো এক সময়ে একটি বিষয় দেখে আর মানুষের মাঝে সত্যের নামে মিথ্যার বেসাতী ছড়ায় এদের আপনি উন্নয়নের ভাবনায় পাবেন না,এদের কখনোই ভবিষ্যত নিয়ে ভাবতে পাবেন নাএদেরকে আপনি ফেসবুক ষ্ট্যাটাস, শস্তা টকশো , হাতে গুনা ভাড়াটে প্রতিবাদকারীদের সমাবেশের সামনে ফটোসেশনে, এদের প্রভুদের রক্ষায় ব্যাস্ত পাবেন এরা কখনোই খেটে খাওয়া সাধারণ নামের অসাধারণ মানুষের কাছে যাওয়া লোক নয়, এরা এসি চালানো ঘরে বসে কল্পনায় গল্প বানায় আর লেখে কি আমাদের ভুল আর কি ভাবে এদের প্রভুদের সেবাদাশ হতে হবে !

এদের আচড়ন বা কাজ কেনো প্রশ্নবোধক ?
এরা সিজনাল, এরা একই কাজ যা এদের প্রভুদের সময় সঙ্গঠিত হয়েছিলো তখন এরা চুপ ছিলো আজ এরা সরব এদের আজকের সরবতা অপরাধ নয় তবে এদের কারনে স্বৈরাচারের বিকাশ লাভ করবে যার আল্টিমেট প্রাইস আমাদের পে করতে হবে
আমাদের সময়ে ওদের করা নতুন পণ্য যুদ্ধাপরাধের বিচার চার দশক ধরে যুদ্ধাপরাধের বিচার না করে যে বর্বর কাজ করা হয়েছে তা নিয়ে আপনি বাংলাদেশের বিএনপি/আওয়ামীলীগ/রাম-বাম-পাম ছাড়া যেকোন ধর্ম/ বর্ণের মানুষকে যে কোন অপরাধের বিচার সম্পর্কে জানতে চান তাদের সরল জবাব পাবেন, বিচারের পক্ষে তাই আমরা বলি, ভাইয়া যতোটা মন চায় ধরে বেধে ফাশি দিয়ে দাও আর দাশখত দিয়ে লিখে দাও,
মহান স্বাধীনতা/মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যেনো আর কেউ ব্যাবসা না করতে পারে,
যুদ্ধাপরাধের বিচার সংঘটন আর বানচাল নামের জুজোর নাম ঝুলিয়ে স্বৈরাচারকে চিরস্থায়ী করার ফন্দি না আটতে পারে,
যে কারনে রক্ত আর প্রাণের বিনিময়ে স্বাধীনতা কেনা তা না পেয়ে যেনো মানুষকে বলতে না হয়, কোথায় স্বাধীনতা আর কিসের স্বাধীনতা !




আমি জানতে চাই, রক্ত আর প্রাণ দিয়ে কেনা স্বাধীনতার স্বাদ কেনো সাধারণ মানুষের কাছে আসেনি ? কেনো আওয়ামীলীগ স্বাধীনতাকে নিজ ঠিকাদারীতে নিয়ে ব্যাবসা করছে ? কেনো উন্নয়ন আর উন্নতী এক মুখী ? কেনো মত প্রকাশ আর বিরোধীতা করা আজ শাস্তি নিশ্চিত কাজ ? কেনো হাসিনা আর খালেদা নামের দুজন কোটি মানুষের জীবন নিয়ে খেলার হাতিয়ার ? কেনো আজ শিক্ষা গণ মানুষকে ধোকা দেবার অন্যতম যাদু দৃশ্য ? কেনো আজ আমার স্বার্বভৌম ভারতের ফ্রি করিডোর ? কেনো আজো আমার টাকায় পোষ্য আমলা/সামরিক/বেসামরিক বাহিনী আমার রক্তে তাদের তৃষ্ণণা জুড়ায় ?


সমাধান একটাই, আবার পরিপূর্ণ স্বাধীনতার ডাক আজ নয়তো কাল , মানুষ এই দাবীতে নামতে বাধ্য হবে বাংলাদেশ আছে , বাংলাদেশ থাকবে প্রকৃত স্বাধীনতা আনতে আওয়ামীলীগ বিএনপি, (জামায়েতের একাত্তরের সব নেতৃত্ব হারাম এবং সেই ধারণা বা বিশ্বাস পোষণকারী বর্তমান নেতৃত্বও অবাঞ্চিত  ), জাতীয় পার্টি এবং রাম-বাম-পাম দলের সব নেতাদেরকে রাষ্ট্র, সমাজ থেকে বিচ্যুত করা' একমাত্র মুক্তির দিশা