Saturday 29 April 2017

এই সময়ের কাশেমনামা আর ঠগ বিপ্লবীদের লজ্জা...


কাশেম বিন আবু বকর নিয়ে যখন এতো কথা তখন নিজের ব্যাক্তিগত কিছু স্মৃতি রোমন্থন করা যায়...
প্রথম কাশেম বিন আবু বকর পাঠ...
আমাদের এক প্রতিবেশী ছিলেন সুজারা আপা। মেধাবী এই আপাটির বিয়ে হয়ে গেলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যের সাথে হঠাত করেই, তিনি তখন মহিলা কলেজে ইন্টারে পড়তেন। বৌ ছাড়া যখন সেই নতুন জামাই একা ফিরে যাচ্ছিলেন ফিরতি যাত্রায় আমি ও হিরা তাদের মেহমান হলাম। সুজারা আপা তার স্বামীর জন্য একটা বই ব্রাউন কাগজে সুন্দর ভাবে প্যাক করে উপহার দিয়েছিলেন। আমার চোখ তখন সেই প্যাকেটে মোড়ানো বইয়ে। কখন পড়ব আমি, ব্যাকুলতা আর সব আগ্রহ তখন সেই বইয়ে। নিজের উচাটন সামলাতে না পেড়ে প্যাকেট কিছুটা ছিড়ে ফেললাম, শুধুই নামটা পড়তে পেরেছিলাম।
বর্ষার সিজনে বন্দি আমি দোয়ারা বাজারের শরীফপুরে থাকতেই শেষ করেছিলাম সেই বইয়ের পাঠ।
আমার প্রথম কাশেম নামা ছিলো, ফুটন্ত গোলাপ। সম্ভবত আল্লাহ খোদা বা সুবহানাল্লাহ বলে বলে শরীরের রক্তের চাপ বাড়ানো আমার প্রথম পাঠ।

Saturday 22 April 2017

পাহাড় ও সমতলের মানুষের বাচ্চার চোখের জলের স্বাধ নোনাই হয়... প্রথম কিস্তি...

অভিযোগ রয়েছে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও পিসিপি (পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ) নেতা রমেল চাকমাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হত্যা করেছেন। তার মরদেহ তার স্বজনদের বা তার বাড়ীতে ফেরত নিতে দেয়া হয়নি।
একজন মানুষের প্রাণ নেয়া হয়েছে, খুন করা হয়েছে, মানবতার প্রতি সংবেদনশীল হতে মানবতার চেয়ে বেশী কিছুর প্রয়োজন নেই। মৃত ব্যাক্তি হিন্দু নাকি মুসলিম, নাকি পাহাড়ী-আদিবাসী নাকি একজন বাংলাদেশ বিরোধী তা বিবেচ্য হতে পারেনা তবে যদি আমরা আমাদের কাজকে জাষ্টিফায়েড করাতে চাই কেবল তখনই নির্যাতীতের পরিচয় প্রয়োজনীয় হয়ে উঠে।কিন্তু আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখি এই হত্যাকে পাহাড়ী-বাঙ্গালী, বাংলাদেশ সেনা বাহিনী, ইসলাম, মুসলমান নানা রকম লেভেলে নানা মোড়কে অলরেডি প্রচার করা হচ্ছে। এই আলোচনার পরবর্তী পর্যায়ে যাবার আগে কয়েকটি প্রশ্ন এবং এর উত্তর খোজা খুব জরুরী।

Thursday 20 April 2017

আজান: সময়ের বাস্তবতা।

ভারতের খ্যতিমান গায়ক সনু নিগম গত ১৬ এপ্রিল ৪টি টুইটে আজান এবং মন্দির, গুরুদুয়ারা থেকে যে শব্দ ভেষে আসে তার প্রতি তার বিরক্তি বা ভাবনা জানিয়েছেন। সবগুলো টুইট পড়লে সহজেই তার কাভার আপ ষ্ট্রাটেজি চোখে পরার মতো। রিলিজিয়াস ফ্রিডম বা ফ্রিডম অব স্পিচ এসব আলোচনার বাইরে আমি আমার ভাবনা জানাতে চাই।
যেই যুগে আজান প্রবর্তিত হয়েছিলো সেই যুগে টেকনোলজি ছিলোনা যার কারনে আজান জাষ্টিফায়েড হতে পারে। একই অঞ্চলে এক মসজিদের পর আরেক মসজিদের পালাক্রমে আজান বিরক্তি সৃষ্টি করবে, এটাই স্বাভাবিক।