Wednesday 29 January 2014

আম আদমীদের কিছু হবে কি ?

(জমিয়ে রাখা বাসি একটি লিখা ...)

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ ছাড়াই জানানো যাচ্ছে যে, এই লিখা পড়ার আগেই বিবেচনা করে নিন , আপনি কি আওয়ামী প্রাণী কিংবা বিএনপি প্রাণী , যদি হোন তবে জগতের কোন আলোচনাই আপনার জন্য নয় ...
অতি সম্প্রতী , ভারতের দিল্লীর মসনদে আম আদমী পার্টি আরোহন করেছে , দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়ণশীল, দূর্নীতিগ্রস্থ দেশ গুলোর জনগণ এই নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন যদি তাদের দেশেও এমন আম আদমী পার্টি হতো ? জানিনা কতো জন এই স্বপ্ন দোষে বা গুনে আলোড়িত বা ব্যাথিত হবেন ? তবে কিছু কথা বলা যায় যাতে কারোরই কিছু আসবে বা যাবে না ...
বাংলাদেশ, চার দশক এর বয়স সরকার আসে যায় , পরিবার তন্ত্র মজবুত হয় , গরীব ধণীর পার্থক্য সমাজে ধনীক শ্রেণীর পক্ষে ব্যাস্তানুপাতিক হারে বেড়ে চলে, গুণগত শিক্ষার নামে লবডঙ্কা হয়, মৌলিক অধিকার সভা সমিতীতে শোভা বর্ধন করে, যুক্তিহীন বিরোধে দেশ বিভক্ত হয়ে থাকে আর জনগণ ভাবতে থাকে একদিন মিরাকল ঘটবে , মুক্তি ঘটবে মানুষের
আশা জাগা ভালো , দূরাশা নয় গণজাগরণ মঞ্চ রাজনীতিতে আসছে , এমন খবরে যতো রকমের অভিব্যাক্তি সম্ভব তা মানুষ প্রকাশ করে ফেলেছে হয়তো এটিই স্বাভাবিক ! এবার শুরু হলো দল স্বার্থ - ব্যাক্তি স্বার্থ আর আশা ভঙ্গের খেলা হিসেব নিকাষ তো হয়েই গেছে , ভ্রস্ট্রাচারের, বেনিয়াদের, পারিবার তন্ত্রের কোমল গদি হারানোর জ্বালা ! সুতরাং প্রশ্ন এখন একটাই কে জায়েজ , কে নাজায়েজ , কে হালাল হলো , কে হালাল করলো ? গণজাগরণ মঞ্চের উপাক্ষ্যান , জন্ম যৌক্তিকতা এবং তাদের সম্পর্কে এই পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নিতে চাইনা যদি তারা বাংলাদেশের রাজনীতিতে আসেন , তবে তারা তাদের সাংবিধানিক অধিকার বলেই আসছেন সুতরাং তা নিয়ে আলোচনা অর্থহীন

যা চোখে লাগার মতো তা হলো, অনেকেই এখন গণজাগরণ মঞ্চের সাথে তাদের একাত্মতা নিয়ে নিজেকে বিব্রত বোধ করছেন , কারণ তাদের আওয়ামী ইমানী স্বার্থে এবার ঘা লাগার সময় হয়েছে , অনেকে ঝাল মেটাচ্ছেন এই বলে যে আওয়ামীলীগের টেক্কার তাশ হাত ফসকে গেছে তাই আনন্দ অনেককে দেখেছি হাস্যকর দাবী নিয়ে চুলোচুলি করতে , ইমরান হে/এইচ সরকারের পাঞ্জাবী আর ফ্ল্যাটের হিসাব নিয়ে ক্লান্ত হতে আপনার অধিকারে যা আছে তা আপনি চাইতেই পারেন তবে দয়া করে নিজে আগে রাস্ট্র বা সরকার  আর বিবেক যে প্রশ্ন গুলো করে তার উত্তর দিয়ে আসেন তবে প্রশ্ন , বিশ্বাসের ভিত্তি পাবে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে , প্রশ্ন করার কালচার ভালো মানুষ দেখেছি , নিজের স্বার্থে চেতনার ফেরিয়ালাদের দেখেছি নিজের স্বার্থে মুক্তিযুদ্ধকে লেভেল করে , যুদ্ধাপরাধের বিচারকে পুজি করে , গ্ণজাগরণ মঞ্চের নাম ধার করে , সংখ্যালঘু নির্যাতন প্রতিবাদের নামে বাংলাদেশ কে কলংকিত করে নিজের প্রবাস কে স্থায়ী করার মাতালদের দেখেছি এবার থামো বন্ধু , তোমার ঘোমটা খুললো বলে ...শিঘ্রি তোমাদের কে উন্মোচিত করা হবে জনতার দরবারে...শব্দ ছবিতে ...

Sunday 12 January 2014

দেখতে হবে অন্য আলোয়

আমাদের এক পড়শির বাসাতে একজন মানুষ বছরে প্রায় দু-তিনবার আসতেন , বিশেষত কোন এক বৃহস্পতিবার অথবা শাহজালালের দরগাতে উরুসের সময়কালে নাম তার মন পীর , লম্বা দাড়ী , লম্বা চুল , ফতুয়ার অনাধুনিক ভার্সন ছিলো তার পোষাক , পায়ে সু এর মতো প্লাস্টিকের জুতা কথা কম বলতেন , নিয়মিত বিড়ি ফুকতেন আর ভাব জমিয়ে কল্কিতে দম নিতেন উনার ছিলো কিছু সেবায়েত , পুরুষ আর মহিলা না'ইবা আলাদা করলাম উচা লম্বা এই মানুষটাকে ঘিরে আমার ছিলো কৌতহল , কিছু ভয়ও ছিলো ! উনার থেকে জানা গেলো , শয়তান সমস্ত পৃথিবীতে মুত্র বিসর্জন করায় তিনি আর নামাজ কর্ম এই জমিনে সারেন না ঠাটানো এই যুক্তির পর কি আর বলার থাকে ? অফ গেলাম ...
আরো অনেক কে দেখেছি এই জীবনে , যত সামান্য পড়েছি , কতো বাবা দেখেছি ! জীবন আমার ধন্য !
হাল আমলের সেক্যুলার বাবাদের দেখছি , বিশাল বিশাল পদবীর পীর সাহেবদের দেখেছি , জীবন আমার ধন্য গো ...
আমাদের পাড়ার পশ্চিম-উত্তর কোণের হিন্দু বাড়ীর গণেশ ভাইকে দেখেছি যিনি মানষিক বিকারগ্রস্থ হয়ে আমাদের সাথে জুমার নামাজে দাড়িয়ে যেতেন জানিনা উনি কাকে খুজতে ম্লেচ্ছদের মসজিদে আসতেন ?


রাণু কাকার পরিবারের সাথে আমাদের খুব ভাব , আমরা তার পাক ঘরে অচ্ছুত কিন্তু আমাদের ভালোবাসাতে , শ্রদ্ধাতে কিংবা উতসবে অথবা বাহারী খাবার থেকে দু-পক্ষের কেউই বঞ্চিত নই পাড়ার এক দুস্টছেলে রাণু কাকার শালীর প্রেমে পড়তে চাইলে আর তা উনাদের পছন্দ না হওয়াতে আমরা ( এলাকার মুরুব্বী গ্ণ ) ছেলেটিকে সামাজিক শাষণ করে দেই আমাদের মনে কোন দিনও আসেনি যে তারা হিন্দু তাই তাদের সাথে বৈরী ভাব করতে হবে আমাদের সেই রাণু কাকা চমতকার নজরুল গীতি করতেন মিন্টু ভাই লীগের রাজনীতি করতেন , খেলায় বা আলোচনায় জালিয়াতি করতেন , আমাদের সাথে জমিয়ে আড্ডাও দিতেন , শান্ত ছিলো জলি বয় আর আমাদের স্পিনার , সাধন কে নিয়ে নির্দোষ আনন্দ করতে কেউ ছাড়তো না , ওর একটি ছোট বোন ছিলো আমরা সবাই স্নেহ করে আলাপ করতাম , আমার বোনের পাশের বাসার ছোট মেয়ে পূজা , সারাদিন আমাদের বাসা নতুবা আপার বাসায় থাকতো কাঠের কাজ করতেন এক ভদ্রলোক , নাম ভুলে গেছি , আব্বা তার ব্যাবহারের প্রশংসা করতেন , আমি ছোট বেলায় চুল কাটতে এক ভদ্র লোকের কাছে যেতাম , আব্বার প্রিয়ভাজন ছিলেন তিনি , আমার চুল ছোট করে ছেটে দিতেন আর চেয়ারে কাঠের পিস দিয়ে আমায় বসতে দিতেন তাই আমার কাছে প্রিয় ছিলেন না অসুস্থ হলে আব্বা এক হোমিও ডাক্তারের কাছে নিতেন যার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন তিনি আমি দিন রাত খেটে ক্যাম্পাসের সিনিয়োর বিশ্বজিত দাশ কে ছাত্র লীগের নেতা করেছি , সে এর বদলা সাইকেল চুরি করে আমাদের মুখ উজ্জল করেছে আমার বোনকে এক সময় পড়াতেন দিলেশ নামের খুবই ভদ্র একজন মানুষ আমি নিজেও পুলিশ লাইন স্কুলের অঞ্জন কুমার কর স্যারের কাছে পড়েছি ... আমার প্রাণী বিদ্যার প্রেফেসর রঞ্চিত কুমার বণিক স্যার আজো আমার স্মৃতিতে প্রিয় হয়ে আছেন এই হলো আমাদের সাম্প্রদায়িক সমপ্রীতি আরো কতো জনের নাম যে করা যাবে তাতে এই লিখা বিরক্তিকর দীর্ঘতা পেয়ে যাবে এই লিখার সকল চরিত্র বিশ্বাসের দিক থেকে হিন্দু হিন্দু বলে ভালোবাসা যেমন বাড়েনি তেমনি কখনো কোনদিনও ঘৃনা আসেনি আমরা মানুষ আর সতীর্থ হিসেবে বেচে ছিলাম আমার রাজনীতিক জ্ঞান বিকাশ হবার পর পআওয়ামীলীগের প্রচারনাতে প্রথম জেনেছি হিন্দুদের কেউ হিন্দু হবার কারনে নির্যাতন করছে এরপর ইন্টেলেকচুয়ালের ভেকদারী কিছু ইসলামোফোবিক কে এই প্রচারণায় হাওয়া দিতে দেখেছি খুজতে গিয়ে দেখেছি , এটি খুবই রেয়ার কেইস ছাড়া ব্যাক্তির প্রতি ব্যাক্তির বিদ্বেষ বা লোভ-লালসা কিংবা পলিটিক্যাল স্টান্ট ছাড়া কিছুই না , যা মুসলমানের বেলাতেও ঘটে সারমর্ম করলে দাড়ায় দরীদ্র কিংবা দুর্বলের প্রতি ক্ষমতার দ্বন্দের নোংরামো ছাড়া কিছুই নয়

Tuesday 7 January 2014

দেখতে হবে অন্য আলোয় - ০

আমি অনেক অনেক দিন থেকে একটি প্রশ্নের উত্তর খুজে বেড়িয়েছি , কেন বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা শুনতে পাওয়া যায় ?
আমার অনুসন্ধান আর উপলব্দি তুলে ধরছি ...
আমি গত এক যুগে আমার অঞ্চলে তথাকথিত সংখ্যা লঘু নির্যাতনের একটি ঘটনাও শুনিনি একমাত্র জাতীয় পর্যায়ে আওয়ামীমনা গেলো গেলো প্রচার ছাড়া আমাদের পারিবারিক বন্ধু , আমাদের বন্ধুদের বন্ধু , আমাদের প্রতিবেশিদের মধ্যে , কর্মস্থলে , শিক্ষা প্রতিস্টানে , সরকারী সেবা সমুহে চোখে পড়ার মতো ভীন্ন মতাবলম্বি পেয়েছি আমি তাদের কে কোনদিনও নির্যাতন করতে হবে এমন ভাবনাই আসে নাই এমন অনেক ক্ষেত্রে পেয়েছি হিন্দু বিশ্বাসের মানুষজন তুলনামুলক এগিয়ে আছেন মাগরেবের আযান যখন হতো আমরা উলুধ্বনি শুনতে পেতাম , রথের যাত্রায় শহর জুড়ে সব মানুষ মিলে মিশে একাকার হয়ে যেতেন পাড়ায়-মহল্লায় সামাজিক সিধ্বান্তে সমান অংশ গ্রহণ করতে পারতেন , নিজ পছন্দের রাজনৈতিক দল/ মত চর্চা করতেন তবে এই রাজনীতিক স্টান্ট গুলো কোথা থেকে আসে আর কেনো আসে ?
যেতে হবে একটু পেছনে , আর ভাবতে হবে সবচেয়ে জরুরী প্রশ্নটি নিয়ে ...
এই প্রচারে কারা লাভবান হচ্ছেন অথবা কারা এই সবের পেছনে কলকাঠি নাড়েন এবং বুঝতে হবে বাংলাদেশের সামাজিক , রাজনীতিক , অর্থনীতিক অবস্থা বাংলাদেশের মানুষের মনস্তাত্তিক আলোচনাও জরুরী
স্বাধীনতার পর থেকে যে সব যায়গায় তথাকথিত সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা শুনা যায় তন্মধ্যে বরিশাল , বিক্রমপুর , ফরিদপুর উল্লেখযোগ্য গত চার দশক ধরে যারা হিন্দু ধর্মাবলম্বিদের রাজনীতিক রক্ষিতা , পোষ্য বা ভোট ব্যাঙ্ক করে রেখেছে তাদের জবাব দিতে হবে কেন এসব হয় , কি তারা করেছেন আর কেনই বা বরিশাল , বিক্রমপুর , ফরিদপুর অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি এই ধরণের ঘৃণ্য ঘটনা চলে আসছে
কেনো শুধু নির্বাচন আসলেই এমন হীন প্রচার বেড়ে উঠে ? নির্বাচনের আগে এবং নির্বাচনের পরে এসব কাদের স্বার্থে করা হয় ? হিন্দু ধর্মাবলম্বিদের নিজেদেরই সামনে আসতে হবে এবং রুখে দিতে হবে যারা তাদের নিয়ে রাজনীতিক সওদা করে ফেরেন
যে প্রশ্নবিদ্ধ্ব নির্বাচন নামের ডাকাতি হয়েছে তার আয়োজক, ভারত ইসলামফোবিক শ্রেণী গোষ্টির আদর্শগত পরাজয় কে প্রলেপ দিতেই এমন জঘণ্য কাজ করা হচ্ছে তা বলা অমুলক হবে না মনে রাখতে হবে এই সেই হাসিনা যিনি বিগত সরকারের সময় দেশে বিদেশে বাংলাদেশে সংখ্যা লঘু নির্যাতন হচ্ছে মন্ত্র ফেরি করেছেন , আর এর মুল্য আমরা জাতী হিসেবে দিয়েছি নির্বাচনের ভরাডুবি এবং জালিয়াতী থেকে সাধারণ মানুষ বিশ্ববাসির নজর সড়াতে এমন কাজ যে করছেন না তা কে নিশ্চিত করবে যদি ধরে নেওয়া হয় , বি এন পি করেছে তবে খুজতে হবে , সারা দেশে যেসব মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পেয়েছেন তাদের কতো ভাগ হিন্দু ভোটার রয়েছেন আর তারা কি প্রভাব ফেলতা পারেন ?
যারা ভাবছেন আওয়ামীলীগের ভোট ব্যাঙ্ক কেনো আওয়ামীলীগ নস্ট করবে তাদের কে ভাবতে হবে এমন নাজুক রাজনীতিক পরিস্থিতিতে কেনো এমন ভয়ঙ্কর হীন কাজ বি এন পি করবে ?
এটি যে একটি হাস্যকর রাজনীতিক নাটক তার প্রমাণ হিসাবে বলা যায় , প্রতি নির্বাচনেই ইলেক্ট্রনিক প্রিন্ট মিডিয়া নির্বাচন কাভার করে থাকেন , সেখানে তারা শহর-গ্রাম, ভি আই পি-অতি সাধারণ ভোটার উপস্থিতি তুলে ধরেন, নির্বাচনে অনিয়ম , নির্বাচনের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন কিন্তু এইবার প্রথম আলোর বিরুদ্ধ্বে কিছু মানুষ উঠে পড়ে লেগেছেন কারন এই নির্বাচনকে প্রথম আলো শুদ্ধ্ব নির্বাচন বলে প্রচার করেনি যে ফটোগ্রাফটি নিয়ে বলা হচ্ছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কথা সেই ফটোগ্রাফে কিন্তু মুসলীম মহিলাও ছিলেন
দুঃখ জনক বিষয় হলো কিছু শিক্ষিত দুবৃত্ত্য , রাজনীতিক বারবনিতা তাদের দালালগণ দেশে বিদেশে সত্যের যে অপালাপ করছেন , তাদের দেখে লজ্জিত হই এদের মতো নীচ মানুষও বাংলাদেশে আছে , ভাবতে কষ্ট লাগে
এই ঘৃণ্য কাজ করার পেছনে আরো যে কারনটি হতে পারে তা হলো জামায়াতের নস্ট ইমেজ তুলে ধরা জামায়াত কে রাজনীতির বাইরে রাখতে এসবের কোন প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করিনা স্বাধীন বাংলাদেশের ধারণার সাথে তাদের বিরোধই যথেস্ট আমাদের রাজনীতি থেকে তাদের ছুড়ে ফেলতে এছাড়াও যুদ্ধাপরাধের যেসব অভিযোগে তারা অভিযুক্ত , তাতেই বাংলাদেশের মানুষ তাদের বর্জন করবে

মনে রাখতে হবে মিথ্যার বেসাতি অল্প দিনেরই হয় সত্যের জয় নিশ্চয় হয় আমার দৃঢআশা থাকবে আমরা যদি চার দশক পর যুদ্ধাপরাধিদের বিচার করতে পারি তবে হিন্দুদের উপর নির্যাতনকারীদেরও বিচার করতে পারবো
(অসমাপ্ত ...)