বহুদিন
আগে এক পাঠ-চক্রে বসে শেখা, একই বস্তুকে একই সময়ে ভীন্ন কোণ
থেকে দেখার তত্ত্ব। মনে
করুন আমার ও আপনার বিপরীতমুখী
অবস্থানের মধ্যখানে একটি বল রাখা হলো যা আমার ডানদিক থেকে কাছে, ঠিক একই বস্তু আপনার দিক থেকে দেখলে দেখা যাবে তা আপনার বাম দিকে রয়েছে... দৃষ্টি ভঙ্গির পার্থক্যে কোন কোন বিষয় যে কোথা থেকে কই যায় !
বিএনপি'র নেতা-কর্মি
ও সমর্থকগণ তাদের ভোটাধীকার প্রয়োগ করেননি/সুযোগ পাননি (ক্ষমতা লাভের স্বীকৃত কাগজি ব্যাবস্থা) তাই তারা আওয়ামীলীগ ও বিএনপি নয়
এমন কোটি মানুষকে জিম্মি করে আন্দোলনের নামে হত্যা, লুন্ঠন আর ধংষের গণতন্ত্র চর্চা করছেন। অপর
দিকে আওয়ামীলীগ সংবিধান নামের কাগজের দোহাই দিয়ে বিনা ভোটে/ ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে সিষ্টেমেটিক তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছেন।
সবচেয়ে
করুন পরিতাপের বিষয় হলো, যারা বিএনপি বা আওয়ামীলীগ নয় এমন সাধারণ মানুষ যারা ভোট দেননি বা দেননা বা দেয়ার সুযোগ পাননি বা পাননা, আজ তারাই বলি হচ্ছেন !
কিছু
দেশী/বিদেশি শিক্ষক নামের কলংক, আইনখোর, আতাতজীবি, খ্যাতিখোর,সরকারী বেনিফিটখোর, রাম-বাম-পাম যারা এক চোখের দানবের মতো এক সময়ে একটি বিষয় দেখে আর মানুষের মাঝে সত্যের নামে মিথ্যার বেসাতী ছড়ায়। এদের
আপনি উন্নয়নের ভাবনায় পাবেন না,এদের কখনোই ভবিষ্যত নিয়ে ভাবতে পাবেন না, এদেরকে
আপনি ফেসবুক ষ্ট্যাটাস, শস্তা টকশো , হাতে গুনা ভাড়াটে প্রতিবাদকারীদের সমাবেশের সামনে ফটোসেশনে, এদের প্রভুদের রক্ষায় ব্যাস্ত পাবেন। এরা
কখনোই খেটে খাওয়া সাধারণ নামের অসাধারণ মানুষের কাছে যাওয়া লোক নয়, এরা এসি চালানো ঘরে বসে কল্পনায় গল্প বানায় আর লেখে কি আমাদের ভুল আর কি ভাবে এদের প্রভুদের সেবাদাশ হতে হবে !
এদের
আচড়ন বা কাজ কেনো প্রশ্নবোধক ?
এরা
সিজনাল, এরা একই কাজ যা এদের প্রভুদের সময় সঙ্গঠিত হয়েছিলো তখন এরা চুপ ছিলো আজ এরা সরব। এদের
আজকের সরবতা অপরাধ নয় তবে এদের কারনে স্বৈরাচারের বিকাশ লাভ করবে যার আল্টিমেট প্রাইস আমাদের পে করতে হবে।
আমাদের
সময়ে ওদের করা নতুন পণ্য যুদ্ধাপরাধের বিচার। চার
দশক ধরে যুদ্ধাপরাধের বিচার না করে যে বর্বর কাজ করা হয়েছে তা নিয়ে আপনি বাংলাদেশের বিএনপি/আওয়ামীলীগ/রাম-বাম-পাম ছাড়া যেকোন ধর্ম/ বর্ণের মানুষকে যে কোন অপরাধের বিচার সম্পর্কে জানতে চান তাদের সরল জবাব পাবেন, বিচারের পক্ষে। তাই
আমরা বলি, ভাইয়া যতোটা মন চায় ধরে বেধে ফাশি দিয়ে দাও আর দাশখত দিয়ে লিখে দাও,
মহান
স্বাধীনতা/মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যেনো আর কেউ ব্যাবসা না করতে পারে,
যুদ্ধাপরাধের
বিচার সংঘটন আর বানচাল নামের জুজোর নাম ঝুলিয়ে স্বৈরাচারকে চিরস্থায়ী করার ফন্দি না আটতে পারে,
যে
কারনে রক্ত আর প্রাণের বিনিময়ে স্বাধীনতা কেনা তা না পেয়ে যেনো মানুষকে বলতে না হয়, কোথায় স্বাধীনতা আর কিসের স্বাধীনতা !
আমি
জানতে চাই, রক্ত আর প্রাণ দিয়ে কেনা স্বাধীনতার স্বাদ কেনো সাধারণ মানুষের কাছে আসেনি ? কেনো আওয়ামীলীগ স্বাধীনতাকে নিজ ঠিকাদারীতে নিয়ে ব্যাবসা করছে ? কেনো উন্নয়ন আর উন্নতী এক মুখী ? কেনো মত প্রকাশ আর বিরোধীতা করা আজ শাস্তি নিশ্চিত কাজ ? কেনো হাসিনা আর খালেদা নামের দুজন কোটি মানুষের জীবন নিয়ে খেলার হাতিয়ার ? কেনো আজ শিক্ষা গণ মানুষকে ধোকা দেবার অন্যতম যাদু দৃশ্য ? কেনো আজ আমার স্বার্বভৌম ভারতের ফ্রি করিডোর ? কেনো আজো আমার টাকায় পোষ্য আমলা/সামরিক/বেসামরিক বাহিনী আমার রক্তে তাদের তৃষ্ণণা জুড়ায় ?
সমাধান
একটাই, আবার পরিপূর্ণ স্বাধীনতার ডাক । আজ
নয়তো কাল , মানুষ এই দাবীতে নামতে বাধ্য হবে । বাংলাদেশ
আছে , বাংলাদেশ থাকবে । প্রকৃত
স্বাধীনতা আনতে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি, (জামায়েতের
একাত্তরের সব নেতৃত্ব হারাম এবং সেই ধারণা বা বিশ্বাস পোষণকারী বর্তমান নেতৃত্বও অবাঞ্চিত ), জাতীয়
পার্টি এবং রাম-বাম-পাম দলের সব নেতাদেরকে রাষ্ট্র, সমাজ থেকে বিচ্যুত করা'ই একমাত্র মুক্তির
দিশা।