Friday 25 December 2015

বাঙালী মুসলমানঃ বঙ্গভঙ্গ ও গণহত্যার সংখ্যাভীতি তত্ত্ব


একজন রনির গল্প আর হাজার রনির কান্নার প্রতিধ্বনি...

একটু আগে একজনের স্বার্থে কিছু তথ্য যোগাড় করতে ফোন দিয়েছিলাম রনি'কে...রনি এখন গেটউইক ডিটেনশন সেন্টারে। কাজের যায়গা থেকে রনিকে ধরে নিয়ে গেছে...রনির সাথে পরিচয় সেই ২০১০/১১ সালের দিকে, আমাদের সেই সময়ের বাসায় থাকা সুমন ভাইয়ের ( আমরা তার পেছনে মেট্র সুমন বলি ) পরিচয়ে উঠেছিলো আমাদের সেই আপটন পার্কের বাসায়। পড়াশুনা আর তথাকথিত বেআইনী ভাবে কাজে সে প্রচন্ড পরিশ্রম করেছে, শেষবার তার সাথে যখন দেখা হলো মুখটি তার বড় করুন ছিলো, শেষবার যখন কথা হলো জানালো মাসের পর মাস তার এমপ্লয়ার বেতন দেয়না...গত বুধবার সে আটক হয়েছে...

অনেকদিন ভেবেছি এই যে এতো এতো ছাত্র/কর্মজীবি/সুখের সন্ধানী দেশ ছেড়ে আসে এদের জন্য কিছু লিখি/করি কিন্তু পেটের তাড়না আমায় ততোটাই তাড়িত করেছে যতোটা হলে ভালো চিন্তাকে অভাব গিলে খেতে পারে। এই লিখা যারা পড়ছেন তারা হয়তো জানেন, এই সব ছাত্রদের এবিউজকারীগণ বেশীর ভাগ সাদা খ্রিষ্টান নয়, কালো নয়, এরা বাংলাদেশী, পাকিস্তানী, ভারতী, টার্কিশ, শ্রিলঙ্কান। অমানুষিক পরিশ্রম বলতে আপনি যা বুঝেন তা এখানে প্রযোজ্য নয়, যেমন মনে করুন, একটি দেশের ওয়ার্কিং ক্লাস শুধু জানে কাজে আসো, কাজ করো আর বেতন নাও...আপনি দেখবেন এরা এদের মাঝে খুবই নগণ্য একটি সংখ্যা মনে করে এটি তাদের ভাগ্য, বেশীরভাগ অনুধাবনই করতে পারেনা তাদের অবস্থান আর তাদের গন্তব্য কিন্তু যদি দেখেন একটি দেশের কিছু মানুষ মানবিক মর্যাদার সাথে জীবন সংগ্রাম করছে তখন সেখানে আরেক দলকে যখন অমর্যাদা, অসম বেতন আর নির্যাতনের ভেতর দিয়ে যেতে হয় তখন তারা মানষিক দিক দিয়ে যে তলানীতে এসে ঠেকেন তা তাদেরকে এমন ভাবে রক্তাক্ত করে যার আঘাত দেখা যায়না কিন্তু সে প্রাণ হারায় ধীরে ধীরে, নিশঃব্দে।