Sunday 26 October 2014

যে লুপ হোল দিয়ে আসছে দানব...

সময় বদলে গেছে, বদলে যায় অনেক কিছু বদলের ঝড়ে এক ভয়ঙ্কর দেয়াল যা ধ্বষে যাবার কথা ছিলো কিন্তু তা না হয়ে বিবেধের এক নষ্ট ব্ল্যাক হোল আমাদেরকে দু ভাগে ভাগ করে দিয়েছে ! এর ফল কখনোই ভালো হবে না
বলছি বাংলাদেশের কথা , খুবই প্রাসঙ্গিক হওয়ায় কিছু দিন আগে স্কটল্যান্ডের রেফারেন্ডামের কথা মনে করছি ৫৫% স্কটিশ  স্বাধীনতা বিক্রি করেছেন নিজ আয়েস আর প্রয়োজন এবং ভয়ে অপর দিকে ৪৫% স্কটিশ স্বাধীনতাকে হ্যা বলেছেন কিন্তু এখানে আলোচনার কি আছে ? এটাতো এখন সেটেলড ম্যাটার ! আসলেই কি তাই ?
না, বিষয়টি এমন নয় স্বাধীনতাকে হ্যা বলা মানুষগণের সাথে সরাসরি কথা বলে এবং অনেকের কথা বিভিন্ন মাধ্যমে শুনে মনে এটি প্রতিয়মান হয়েছে যে , এখানেই এর শেষ নয় তাই স্বাধীনতাকে যারা না বলেছেন তারা এবং সমাজ সচেতন মানুষগণ এই হ্যা এবং না গ্রুপকে একই সাথে আগামীর পথে হাটতে , রিকন্সিলেয়েশন এর ব্যাবস্থা করছেন
ফিরে যাচ্ছি মূল আলোচনায় বাংলাদেশ এবং আমাদের হুমকিতে থাকা আগামী স্বাধীনতাকে ঘীরে অন্যতম চার ক্যান্সার আমাদের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে , যার আসু মুক্তি  প্রয়োজন চলুন দেখা যাক সেই চার ক্যান্সার কি কি ?
অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় আমাদের বেশ কয়েকটি প্রজন্ম খুব অল্প বয়স থেকে স্বাধীনতা বিষয়ক ভূল তথ্য শিখে বা জেনে বড় হয়েছেন
স্বাধীনতা বিষয়ক কোর বিষয়গুলো নিয়ে সস্তা রাজনীতি চলছে দেশে
জামায়াত স্বাধীনতা বিরোধী ব্যাক্তি , প্রতিষ্ঠান আমাদের জাতীয় রাজনীতি করার সুযোগ করে নিয়েছেন
যে অন্যায় অনাচারের মুক্তি পেতে স্বাধীনতা অর্জন করা হয়েছে তা সাধারণ মানুষ পায়নি বরংচ আমরা এখন স্বদেশীদের হাতে এর চেয়ে ভয়ংকর ভাবে নিঃশেষ হচ্ছি , প্রতিদিন
এই চারটি বিষয়ে আলোচার আগেই যদি আরেকটু গোছানো যায় তবে লেখার উদ্দেশ্য প্রকাশ সহজ হবে
সমস্ত বাংলাদেশি মানুষকে দুই ভাগে যদি দেখা যায় ,
স্বাধীনতার পক্ষ
স্বাধীনতার বিপক্ষ বা বিপক্ষে কাজ করা অথবা মানবতা বিরোধী/যুদ্ধাপরাধী পক্ষ উপরোল্লেখিত চারটি ক্যান্সার সম সমস্যাকে এবার যদি দেখা যায় এভাবে যে , স্বাধীনতার  পক্ষের লোকজন আবার স্বাধীনতার বিপক্ষের লোকদের নিয়ে ব্যাক্তি স্বার্থের কায়েমি রাজনীতি করার কারনে এই চারটি সমস্যার জন্ম তখন বুঝতে আর বাকি থাকেনা যে সত্যিই বাংলাদেশ অদ্ভূত এক উটের পিঠে সওয়ার হয়েছে গত চল্লিশ বছরে তা আজ এমন অবস্থাতে এসে দাড়িয়েছে যে একে অনিবার্য আরেক স্বশস্ত্র সংগ্রামের দিকে নিয়ে যাচ্ছে ফলাফল প্রাণহাণী , ধংষ , আর পিছিয়ে যাওয়া
গত দশ বছর ধরে জাতীয় জীবনে একটি অসুস্থ ধারা চলে আসছে তা হলো মুক্তিযুদ্ধকে ব্যাবহার করে ক্ষমতার বৈতরনি পারি দিতে নিজ মতের বাইরের সবাইকে রাজাকার ট্যাগ দেয়া এই অভ্যাসটি অত্যান্ত ভয়ংকর এক খেলা যার তুলনা করা চলে দূধারী ফলার দুই প্রান্তে ধরে আছেন দুই পক্ষ ফলাফল, ঘায়েল দুপক্ষকেই হতে হবে
আমি খুব খুশি হতাম যদি স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকারকারী , বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধাপরাধী বা মানবতা বিরোধী কাজ সংঘটনকারী সকল ব্যাক্তি বা প্রতিষ্টান কে অন্তত দুশো বছরের জন্য বাংলাদেশের আইন প্রনয়নকারী, জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী , রাষ্ট্র ব্যাবস্থ্যার নীতিনির্ধারণী পদের আসীন কিংবা কোন বাহিনীতে যোগদান , আইন করে বন্দ  করে দেয়া হতো কিন্তু তা হয়নি চল্লিশ বছর পর আজ তা করতে গেলে আমাদের জাতীয় অস্তিত্ত্ব নিয়ে এক অসুখকর পরিস্থিতির উদ্ভব হবে তাই আমি আহবান করছি সকল বাংলাদেশিকে যার যার যায়গা থেকে আশু এই মহা প্রলয় রুখে দিতে কাজ করার জন্য তবে মনে রাখা জরুরী যে এখনো আমরা সেই সব রাজনীতিক দল পালের গোদাদের স্পষ্ট ভাবে ঘোষণা দিয়ে আমাদের জাতীয় রাজনীতে অবাঞ্চিত/অগ্রহণযোগ্য/নিষিদ্ধ করে রাখতে পারি এই লক্ষ্যে প্রধান সব দলকে জাতীয় ঐক্যে আসতে বাধ্য করতে কাজ করতে হবে জনগণকে তাদের জাতীয় ভোটাধিকার প্রয়োগের বেলা স্বাধীনতা যুদ্ধে অপরাধ সংঘটনকারীদের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিতে চাইলে মতামত প্রদানের সুযোগ রাখা হোক


সেই সাথে স্বাধীনতা উত্তর প্রজন্মের সাথে যে কোন প্রকার বিবেধ , শ্রেণী বৈষম্য , অন্যায় যা জাতীর মাঝে বিবেধ আনয়ন করে এমন সব কিছু নিষিদ্ধ করা হোক এবং এসব অগ্রহণযোগ্য কাজের শাস্তি ৩০ বছরের জামিনহীন জেল বিধান রাখা হোক যাতে করে মানুষের মনে এমন চিন্তা না আসতে পারে আর কেউ তা করলেও যেনো সে শাস্তি পাবার পর আর কিছু করার যোগ্যতা না রাখে

Friday 19 September 2014

একা পাখি ...

যে বিছানাতে আমি সটান হয়ে মাঝ রাত থেকে দিন দুপুর পর্যন্ত শুয়ে থাকি , সেখান থেকে পায়ের দিকের  একমাত্র জানালা করে ,সামনের রাস্তার ওপারের বাড়ীটির ছাদে ,প্রতি রাতে একটি পাখি একা বসে থাকে মাঝে মাঝে আরো একটি পাখি আসে তবে সারাটা সময় ধরে থাকে না, একা পাখি আবারো একা হয়ে যায় আমি আর পাখি বিনা ভাব বিনিময়ে অপেক্ষাতে থাকি পাখির অপেক্ষার গল্প কল্পনা করে নেই আর আমার অপেক্ষা  নাই বা বললাম আজ ...

আমি উঠ বস করি পাখিটির নড়া-চড়া দেখতে , এটি পাখিতো ! তা যাচাই করতে , যখন অন্য পাখিটি আসে তখন দেখতে চাই তারা কি ডানা ঝাপটে কিংবা ঠোট ঠুকে কিছু বলে কি না, অথবা প্রহরীর পায়চারী করলো কি না ...
সময় সময় ব্যাস্ত হই এই ভেবে যে বৃষ্টি এলে বা ঠান্ডা পড়লে কি করবে ? পাখি থাকে নিরব অপেক্ষায় !
আমি ঘুমিয়ে যাই, দিনের বেলা আমি আর খুজতে যাইনা কোথায় আছে পাখিটি কিন্তু প্রতি রাতে জানালার পর্দা সড়িয়ে  দেখি সে আছে কি না মন চায় সে থাকুক আর আমি গাই সে যে বসে আছে...

প্রায় সকালেই ঘুম থেকে উঠে আধ নাঙ্গা দেহে প্রথমেই জানালায় পাখিটিকে খুজতে চোখ রাখি , জানি থাকবেনা তবুও ...
যেদিন চাদের আলো থাকে সেদিন আমি তার রুপ দেখি খুটিয়ে খুটিয়ে আর চাদ পালালে তার অস্তিত্ত্ব কল্পনা করি চোখের আলোতে ...আমার ক্লান্ত চোখ কি কারনে যেনো কয়েক ফোটা জল ফেলে দেয়, বিনা কারনেই মেঘের রং, স্ট্রিট ল্যাম্প আর দালানের রং এবং অন্ধকার মিলে অদ্ভুত এক পৃথিবীর গোপন জানালা তৈরী হয় সে সময়, প্রতিরাতে আমি আর পাখি এবং আমাদের অন্য আরেকটি ভোর থাকে অপেক্ষায়

গত কয়েকদিন থেকে অন্য পাখিটি নিয়ম করে আসছে আমি প্রার্থনার জপের মতো বলে যাই কাছাকাছি আয় কিন্তু তারা আসেনা মনে হয় রেল লাইন সমান্তরাল প্রমানের চেস্টায় দুজন পণ করেছে মাঝে মাঝে আমার জানালা করে দেখার সীমার বাইরে চলে যায় আমি চোখ কুচকে খুজি ওদের ... গতকাল একটি আরেকটির পিছে প্রহরীর মতো করে হেটে মাথা থেকে আরেক মাথায় হেটেছে একা পাখি আবারো একা হয়ে বসে আছে
আমি ভাবি বেকুব পাখি কেনো যায়না তার মা বাবা কিংবা সঙ্গি-সাথিদের কাছে ?

আমার সকালে পর্দা সড়াতেই দেখি অনেক গুলো সাদা পালক ঝরে পড়া পালকের গতিপথ আমার জানালা ধরে নিচে নেমে গেছে ...

আমি বলি, এসোনা এতো কাছে এসোনা ... এতো প্রেম সবার সইবেনা ...

Wednesday 17 September 2014

যে থমকে যাওয়া সময় কে বিশাল এক ধাক্কা দেয়ার এসেছে আহবান

নাম দিয়া কাম কি , কর্ম দেখো ! এমন কথা এই সমাজের মানুষ হয়তো ভুলেই গেছে সব সম্ভবের দেশ, প্রিয় বাংলাদেশ
আমি আর তর্ক করবোনা, বলবোনা সরকার একটা সিস্টেম, একে সময় দিতে হবে, মানুষ দিয়ে পরিচালিত তাই ভুল বিবেচনায় আনতে হবে
আমি বলছি, রাজনীতি  আমাদের সরকার আর বেহায়ার দল মিলে নটিখানার আড়ত এই বাংলাদেশ সব সম্ভব এই বাংলাদেশে ( শুনেছি হাসিনা বলেছেন, উনি ছাড়া এই সংসদের সবাই বিক্রি হতে পারেন ...আমি বলি ক্ষমতার জন্য তিনি বারেবার বিছানায় যেতে পারেন ...)
হায় বাংলাদেশ !
কিছু পরিচিত মানুষের জন্য আরো কিছু কথা ...
তোমরা যারা সাঈদী নাম শুনে মনে করো সে নির্দোষ তারা আছো কোন জগতে ? আমি বিবেচনায় নিতে পারি তোমাদের শস্তা বিবেচনা আর স্বল্প ধর্ম জ্ঞান যার কারনে তোমরা নাম মনে রাখ , কাজ বিবেচনায় নাওনা যা ঢাকতে ওরা জড়ায় ধর্মের আল খাল্লা
আমি সেই সব আওয়ামীলীগার (যা পেছন দিয়ে ত্যাগ করে তা সামনে দিয়ে ভোগ করে, শুকর লীগ ) দলহীন সাধারণ মানুষ, ব্রেন নাই প্রাণী ( বিএনপি ), যুক্তিহীন জামাত-শিবির (মানুষের সাথে মিল আছে এমন প্রাণী) সবাইকে বলি বিচার শেষ বিচার নয় , সঙ্গমের বীজ বেরুবেই ...

সব বাতেলা, আমরা রায় দেখে রিভিউ করবো ( ক্ষূর কিন্তে যাবো ) ...

দেশে একটা হেভী কীক লাগবে ...

Friday 20 June 2014

আর কতো হে আর কতো ?

আমি যদি লেখক হতাম তবে হয়তো বলতে পারতাম, আমি রাইটার ব্লকে ভুগছি কিন্তু না আমি এর চেয়ে ভয়াবহ এক অসুস্থতায় সিন গুজরান করছি যা' হোক আমার চারপাশে , আমি শুধুই চোখ মেলে দেখে ফিরছি কোন বিকার নেই মাথায় একটা মায়া বাণী ঘুরছে , let it go , olee... let's say, let it go n then what ???
প্রতিদিন এতো ঘটনা ঘটছে যে, আর বিশ্বাস করতে পারিনা , সব কিছু নস্টদের দখলে যায়নি ...
একটি দেশের জন্য দুস্ট শাষক আর বদ শাষণ সবচেয়ে বড় অভিশাপ ...আর এই বিনাশের জ্বালানী হলো বুদ্ধি বেশ্যা জ্ঞান পাপী দুপেয়ে মানোয়ার

আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন , পাকিস্তানে প্রচুর বাঙ্গালী বসবাস করেন এদের অনেকেই ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাস করছেন সেই পাকিস্তান আমলে একটু অর্থনীতিক স্বচ্ছলতার খোজে স্বজন আর স্বদেশ ছেড়েছিলেন জানিনা কতোটা স্বচ্ছলতা বা সুখের দেখা তারা পেয়েছেন জানতে পেরেছি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পর খুবই মানবেতর জীবন যাপন করছেন তুলনায় নিলে ঢাকার বিহারীদের চেয়ে ভালো কিছু নেই আমাদের স্বজাতী প্রেম কি বাকহীন হবে যদি আমাদের বাঙ্গালীগণ পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার হন কথা গুলো

আমি জানি না , আপনারা কতোটা দেখেছেন কিন্তু আমি দেখেছি বাংলাদেশের মানুষ কতোটা খেটে দিন গুজরান করে , আমি কোন ভাবেই মেনে নিতে পারিনা এদের যুগের পর যুগ অর্থনীতিক দাসত্বের পরও এদের জন্য কোন সরকার ব্যাবস্থার প্রয়োজন আছে
অতি সাধারণ মানুষের কন্ট্রিবিউশনের রাস্ট্রের সম্পদ আর সম্পত্তি লোপাট হচ্ছে , দেখার কেউ নেই মন্ত্রী-আমলা সরকারে থেকে জনগণের সম্পদ বিলিয়ে বেড়াচ্ছেন নিজ শালা গোষ্টীদের মাঝে , সীমান্তে মানুষ মরে পড়ে থাকে তা নিয়ে সরকার বেয়াই-বেয়াইন খেলা খেলে যাচ্ছে,
সরকার যখন বিমাতা সূলভ আচড়ন করে ফিরছে ঠিক তখনই বিরোধী দল গুলো ' আরো একবার মেরে দেখ ' কিংবা আমি কিন্তু ঘুমে আছি মন্ত্র জপে দিন-রাত করছেন
ভাবছেন, এসব আর নতুন কি ?
না, নতুন না তবে আর সহ্য করা চলে না , এতো দিন যুদ্ধাপরাধের বিচার , মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ , আরো হেন তেন বলে মন কে ভুলেয়েছি ... আর নয় , হয় পুরোপুরি মানুষ হবো নতুবা মানোয়ার হয়ে জানোয়ারের অসম্মান আর নয়
সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকায় বিচার বিভাগীয় কিংবা সিস্টেমেটিক হত্যা , দখলদারী , পেশির রাজনীতি আর নির্দিষ্ট শ্রেণী-গোষ্টীর লিপ্সার বলি আর নয়