Tuesday 26 May 2020

আবু তাহের তারেক এবং আমাদের দায়...



“ইয়ে খেল আখির কিসলিয়ে, মন নাহি উবতা,

কোয়ি কোয়ি বার ত খেল চুকে হ্যা্‌

ইয়ে হাম আপনি জিন্দেগি মে,
খেল খেলা হ্যায়, খেলতে রাহে হ্যায়,

নাতিজা ফির ওয়াহি এক জ্যায়সা,

কিয়া বাকি রাহতা হ্যায়, হাসিল কিয়া হোতা হ্যায়,

জিন্দেগি হার এক দুসরে কে আন্ধেরি মে হ্যায়,

- গুলজার।

আবু তাহের তারেক কে আমি চিনি ২০০০ সাল থেকে। স্বল্পভাষী, অন্তঃমুখি ফুলতলি ঘরাণার শান্তশিষ্ঠ একজন মানুষ হিসেবে তাকে দেখেছি। কলেজে জীবনে যোগাযোগ কমে এলেও ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় আবার যোগাযোগ হয়। সেই সময়ে তার সাথে চিন্তার খুবই সংক্ষিপ্ত কিছু বিনিময় বা যোগাযোগ হয়, আমি তখন তার সেই চিন্তার ঝড় ধরতে পারিনি, প্রেজুডিস ও ইগনোরেন্সের কারনে। আবারও যোগাযোগ কেটে যায়। এক সময় তাকে ইউকে’তে দেখতে পাই কিন্তু যোগাযোগ করা হয়ে উঠেনি। অতঃপর সে পর্তুগাল চলে যায় এবং তার সাথে আমার কিছু যোগাযোগ হয়। ভাষা নিয়ে বছর দুই আগে তাকে আমার রেডিও শোতে ইনভাইট করেছিলাম। আমি তাকে তারেক বলেই সম্বোধন করি তাই তাকে তারেক বলেই লিখছি।

সম্প্রতি তারেকের নিজের ফেইসবুক পোষ্ট থেকে জানতে পেরেছি তারেক এবং তারেকের পরিবারকে হেনস্থা করা হচ্ছে। তারেক কে খুনের হুমকি দেয়া হচ্ছে। তারেক কে নাস্তিক ঘোষণা করা হচ্ছে। তার পরিবারকে পাবলিকলি, সামাজিক ভাবে কোণঠাসা করার প্রচেষ্টা দৃশ্যমান।

তারেক ও তার পরিবারকে ঘিরে যে অবস্থা চলছে, যা তারেক আমাদের জানিয়েছে তাকে ৩ ভাবে দেখা যায়,

১। তারেক স্বেচ্ছায় এমন পাবলিসিটি করছে।

২। বাংলাদেশে ধর্ম কেন্দ্রিক যে বিষবাষ্প লালন হচ্ছে, অজ্ঞানতার যে মাতাল হাওয়া বইছে তারই প্রতিফলন এই ঘটনা।

৩। সরকারের বৈরি ভালোবাসা।

তারেকের স্বেচ্ছায় এমন কিছু করার প্রয়োজন নেই। সম্প্রতি সে পর্তুগালে তার সেটেলমেন্ট নিয়ে পাবলিকলি জানিয়েছে। সে তার বা-মা’র জন্য সে যথেষ্ট। তারেকের বাবা তাদের সমাজে একজন সম্মানিত, প্রতিষ্ঠিত ব্যাক্তি। তাদের মাইগ্রেট হবার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয়নি। তারেক নিজেকে পাবলিসিটি দেয়ার জন্য এমন করেছে এমন ভাবারও সুযোগ নেই। এই গেইম খুবই ডেঞ্জারাস, তারেক বুদ্ধিমান মানুষ, এমইন কাঁচা কাজ সে করার কথা নয়। একজন লেখক বা কবি বা আর্ট ও কালচারের মানুষ বেচে থাকেন তাদের কাজ ও প্রচারের মধ্য দিয়ে, এটা তাদের ডিজায়ার হিসেবে থাকা অন্যায় নয় তাই বলে কেউ নিজ ঘরে আগুন দিয়ে দৃষ্টি আকর্ষ্ন করবেন এমন ভাবা শুধুই একজন কন্সপিরেসি থিওরি এডিক্টেড মানুষের পক্ষে সম্ভব। তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম তারেক এমন করছে, তখন আমার প্রশ্ন, ইহকালের, পরকালের পণ্ডিতেরা কি তাসলিমা নাসরিনের সাথে যা করেছেন আর তার হাত ধরে তাসলিমা নাসরিন যেখানে পৌছেছেন তাতে কি তাদের দায় ভুলে গিয়েছেন? তারেক কে বিনা কারনে, বিনা যুক্তিতে কেন এমন হীন গেমের দিকে আপনারা যেতে দিচ্ছেন, আমিতো এতে তারেকের চেয়ে তাদের দায় বেশি দেখি। (ভুলে যাবেন, আমি হাইপোথিসিস দাড় করাচ্ছি, ফ্যাক্ট বলছিনা, ডিফারেন্সিয়াল এনালিসিসে এটা জরুরি)

তারেক কে? তারেক কি করে? এই বিষয়ে তারেক নিজেই লিখেছে, খুবই দৃঢ় প্রত্যয় এবং বিনয়ের সাথে জানিয়েছে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর। দেখতে পারেন এই লিঙ্কে https://www.facebook.com/tarek.ahmed.520900/posts/1690918437716026

আমার চোখে তার এই বিষয়ক প্রথম লিখাটি পড়ার পরই আমার ব্যাক্তিগত ব্লগে লিখেছিলাম, কিন্তু যেভাবে মানুষ এই বিষয়কে নিয়ে যাচ্ছে সত্যের পক্ষে, যুক্তির পক্ষে দাড়াবার।

তারেক নিজে বলছে, সে নাস্তিক নয়। আপনি কে তাকে নাস্তিক ঘোষণা করার? কি অথরিটি রয়েছে আপনার? কি যোগ্যতা আছে আপনার? ইসলামিক জুরিস্প্রুডেন্ট যে স্টেপ ফলো করে ইনসাফের জন্য আপনারা কি তা ফলো করেছেন? আপনারা কি তার লিখা, কনটেক্সট নিয়ে তার সাথে কথা বলেছেন? তাকে ডিফেন্ড করার সুযোগ দিয়েছে? আপনারা কি তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে যেয়ে তার কাজের জন্য তার পরিবারের মানুষদের হেনস্থা করছেন, তা কি দেশীয় বা ইসলামিক আইনে বৈধ?

বাংলাদেশ ইজ আ ল্যান্ড অব হিপোক্রেট। এই রাষ্ট্রের প্রধান থেকে ধরে অতি নিন্ম স্থরে যে মানুষটি কাজ করে তাদের মধ্যে বেশীর ভাগ লোভী, স্বার্থান্ধ, জ্ঞানপাপী, বকধার্মিক। সে নিজে যা জানেনা তার উপর তার পান্ডিত্য জাহির করতে সে মরিয়া হয়ে থাকে। জানিনা, বুঝিনা বলতে তাদের কন্সটিপেশন হয়, টাংসিল হয়, বোবায় ধরে।

খুঁজে দেখুন, আপনার মহল্লার ইমাম, মুয়াজ্জিন, পাশের মাদ্রাসার শিক্ষকের একাডেমিক এক্সিলেন্সির খবর, ক্লাসের কোন লেভেলের ছাত্র ছিলো বা তার চিন্তায় সে কতোটা ডিপ যেতে পারতো নাকি করতে , পড়তে হয় তাওই করি বা পড়ি টাইপের বা এভারেজ পাশ এক মহাপন্ডিত তারা। চর্ম ও যৌন রোগের ডাক্তার যদি আপনার ওপেন হার্ট সার্জারী করতে আসেন তখন যেভাবে আপনি সুস্থ হলে তার চিকিৎসা প্রত্যাখান করবেন একই ভাবে যে যেই বিষয়ে (ধর্ম, রাজনীতি, রাষ্ট্র ইত্যাদি) দক্ষতা , অভিজ্ঞতা নেই তার সিদ্ধান্ত তেমন প্রত্যাখান করবেন, এটা হলো কমন সেন্স।

তারেক যা লিখে তার অনেক কিছুই আমি একমত না। তারেক সর্ব জ্ঞানের একমাত্র জবাব নয়। তারেকের কাছে একটি গিফট আছে, সে নিজে নিজের মতো করে ভাবতে চায়, খুজতে চায়, থিওরি দাড় করাতে চায়, প্রশ্ন করে। এই মহা গুণ সকলের থাকা উচিত। আপনার নাই কেন তা নিয়ে ভাবুন।

ইতিহাস সাক্ষি যারাই ভেবেছেন, কিছু মানুষ হামেশা ছিলো তাদের আক্রমন করতে। কেন? সেই দূর্বল মানুষগুলো ভয়ে থাকতো তাদের এক্সপোজ হয়ে যাবার। তারেক যা লিখছে তার সমালোচনা করুন, আদার সাইড এক্সপোজ করুন। তাকে চ্যালেঞ্জ করুন। যদি এমন না করে কাউকে গুম করে দিতে চান, অবসিলিউট করে দিতে চান, কি এচিভ করবে সমাজ? কি লাভ হবে আপনার? আপনি একজন মর্দে মুজাহিদ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবেন? নিজের প্রচার, প্রসার হবে? এমন ভেবে থাকলে আপনি কি তখন রিয়ায় আক্রান্ত হলেন না?

বাংলাদেশে বেশীর ভাগ মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, সংস্থা, ক্লাবের মালিক, তত্ত্বাবধায়ক দূর্নিতিবাজ, চোর বা চোর ছিলো, তাদের পরিচালিত প্রতিষ্ঠানে আপনারা বসে কখনো শুনিনা আপনাদের ঈমান জেগে উঠতে, মোসাহেবি করতে করতে হাতের দাগ মুছে দেন আপনারা! তারেকের পেছনে না লেগে তার সাথে আলোচনায় আসুন। প্রয়োজনে তার সাথে মোবাহালা করুন যদি আল্লাহর উপরে আপনার যথেষ্ট বিশ্বাস অবশিষ্ট থাকে। কারও নামে মামলা দিয়ে, হামলা করে, কারও পরিবারকে হেনস্থা করে কি পাবেন? তারেকের মা হয়তো জানেনই না তারেক কি লিখে, কি ভাবে? কিন্তু তার মা’কে পাড়ার চাচি, খালারা কথা শুনাতে ছাড়বেন না যখন আপনারা এই সব ধর্মগাথা ভাইরাল করবেন। বাদ দেন এসব।

বাংলাদেশে, পাকিস্তানে, ভারতে একজন নাস্তিককে সমাজের সবচেয়ে খারাপ হিসেবে দেখা হয়। এই ভাবনা সমাজ মানূষের মাথায় প্রোথিত করেছে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের অথরিটি ইষ্টাব্লিষ্ট করতে প্রশ্নহীন ধর্ম বিশ্বাসের শর্ত জুড়ে দিয়েছে। প্রশ্নের উত্তরই একটি নতুন ধর্মের প্রথম সোপান। কিন্তু মানুষ আজ প্রশ্ন ভুলে ভায়োলেন্সের পথকে জিহাদ ভেবে বসে আছে। আপনি নবীকে ভালোবাসেন, আল্লাহ কে পেয়ার করেন কিন্তু আপনার ভালোবাসায় উইশডম নাই কেন? ভেবে দেখেছেন একটা ইয়াং ছেলে, ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলে বা যে কেউ কেন ধর্মগুলোর ব্যাপারে উদাসীন? কেন তারা সংশয়ে থাকে? এদের জন্য আপনারা কাজের কাজ কি করেছেন? কতো জনের সাথে ডায়ালগে এসেছেন? আসমান থেকে আল্লাহ কখনো নেমে আসেন না তাই আপনাকেই এসব ভাবতে হবে, এসবের সমাধান খুজতে হবে, কমন সেন্স দিয়ে, অভিজ্ঞতা দিয়ে আর যদি চান আপনার ধর্মীয় স্ক্রিপচার দিয়ে খুজতে পারেন তবে ভুলে যাবেন মুচি বা চামার হয়ে অপারেশন করতে যাবেন না।

বাংলাদেশের বর্তমান সরকার বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় চোর, ডাকাত, লুটেরা, ভন্ড, জালিম, জাহিল সরকার। বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতার অপমান এই সরকার। এরা প্রশ্নকে নির্মূল করতে চায়। তাই তারা একদল জানোয়ার তৈরি করেছে যারা এদের কে ছাত্রলীগ বা যুবলীগ বলে পরিচয় দেয়। যেখানেই আপনি প্রশ্ন তুলবেন তারা হাজির হবে বিন বুলায়ি মেহমানের মতো। তারা আপনাকে ন্যায়, সঠিক বা সত্যের জ্ঞান দিতে আসবে। যা সরকার শুনতে চায় তা প্রতিষ্ঠিত করতে জান লড়িয়ে দেবে এর বিনিময়ে রাষ্ট্র লুন্ঠনে এরা সিকি ভাগ লাভ করবে। প্রত্যেক সাহসী, সচেতন দেশপ্রেমিক আজ যার যার অবস্থান থেকে লিখছে, বলছে, কিছু করছে। ভয়ে ভয়ে, গোপনে, নিচু স্বরে। তারেকও মাঝে মাঝে কিছু কিছু লিখে, কোন ভাবেই তা এনএসএফ বা ডিজিএফআই বা র‍্যাবের নজর কারার মতো কিছু না। তারেক ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম করেনা। সে একজন মানুষ হিসেবে প্রতিক্রিয়া দেয় মাত্র। তাই বলছি সরকার বাহাদূর এখন লুন্ঠনে মশগুল তারেক কে নজর দেয়ার সময় কোথায়?

আমি তারেকের চিন্তার, প্রশ্ন করার স্বাধীনতার পক্ষে বলিষ্ট ভাবে দাড়াতে চাই, বলতে চাই আমি তার অধিকারের পক্ষে বলতে চাই। তারেক মানুষ, সে ভুল করবে, সে উত্তর খুঁজে নেবে। তারেক কে যেন তাকে বা তার স্বজন কে রক্ষায় কাতর কন্ঠে বা নমনীয় শব্দে লিখতে না হয় আমি নাস্তিক নই, আমি একজন আস্তিক। আমি মাদ্রাসায় পড়েছি, পড়িয়েছি, আমি নবী মুহাম্মদ (স) কে ভালোবাসি। মনে আছে, বিশ্বজিৎ কুপের মুখে মৃত্যের আগ পর্যন্ত বলছিলো, আমিতো হিন্দু… খুনিরা জানতোও না… তারেক জীবিত থাকা অবস্থায় বলছে, জান বাচানোর আকুতি নিয়ে বলছে, আমিও মুসলমান তবে হুয়তো তোমার মতো নই।

আমরা যারা প্রশ্ন করি, সন্দেহ করি, অল্টারনেটিভ থট সামনে আনতে চাই, তার পেছনে এই সমাজ সংসার। রাষ্ট্রের দায় এড়িয়ে আমাদের মারতে আসলে এই সমাজ, রাষ্ট্র একদিন মনুষ্যহীন হয়ে পড়বে। তখন আপনি বুনো শুয়োরের সামনে দাঁড়িয়ে চেচিয়ে চেচিয়ে বলবেন, আমরা আশরাফুল মাখলুকাত!

Thursday 21 May 2020

A Shia, A Hindu Baul, an alleged Agnostic or Atheist.









None considered as a Human being when a culture or politics of levelling covered the ethos of Human brilliance or decency. I am writing in respect to Late Aya Hachem, in solidarity to Baul Ranesh Thakur and Abu Taher Tarek. Who am I or how should we be identified? This so complicated yet so simple question can be answered from one of my favourite poet Gulzar’s Yeh Khel Aakhir Kisliye –



“ye khel aakhir kisliye man nahi ubta
kai kai baar to khel chuke hain
ye khel ham apni zindagi me
khel khela hain khelte rahe hain
natiza fir vahi ek jaisa
ek baaki rahta hain, haansil kya hota hain
zindagi har ek dusre ke andhere me hain
aakhir kisliye” (This is the first part of the poem)


I must say according to the police the tragic killing of Aya Hachem wasn’t motivated by terrorism, racism or any religious ground but its opened up a concealed, centuries old woven poisonous venom of being only true Islam follower than any other. Needless to say the Sunni-Shia conflict was all about a socio-political power game in Islam. Aya Hachem inherited her religious belief from her Lebanese parents. But ignorant hate mongers didn’t miss the chance to show their idiotic knowledge level on social media…



@ibnAthari

May 19

“It is totally permissible to disrespect and hate rafidhism, because that shirk is done in the name of Islam, the rawafidh offend us muslims through their shirk and bid'ah. All done in the name of Islam. This is why we hate them. We don't owe any respect to pagans, especially them”



It’s now clear like daylight that shia-sunni conflict will remain and serve the religious-political elites for many many years to come but if I may suggest I simple rather Islamic way to bring an end of this ill, fruitless conflict once for all. A Shia or a Sunni Muslim can define them according to Quran and declare the other as a new religious identity. Sunnis are claiming Shias root out themselves and Shias are claiming Sunnis blindfolded themselves from truth, justice. There are a strongly stablished practice, precedent and system to determine the authenticity of Quran-Hadith in Shia-Sunni both sect. The same approach can be taken against the claim of Qadiyanis as well. If Sunnis, Shias and Qadiyanis can define them rather than claiming a piece of Islam it will help to bring peace in this chaotic world. I know it’s not like singing a lullaby therefore I can see if OIC, Arab League, UN, EU and certainly America extend their goodwill effort than it may get a chance. The relevant Muslim, Shia or Quadiyani communities, countries also need to ban institutional naming, shaming, blaming, cursing and defining themselves and each other in the name of only true Muslim. Any religion or faith had to go through reformation, changes its requires to survive or being relevant throw-outs the time. So why not reformation in Islam should be discussed? Otherwise we will live in the endless circle of violence, hatred and bigotry. We should listen carefully what Gulzar said in his “Yeh Khel Aakhir Kisliye” –


“ye khel aakhir kisliye man nahi ubta
kai kai baar to khel chuke hain
ye khel ham apni zindagi me
khel khela hain khelte rahe hain
natiza fir vahi ek jaisa
ek baaki rahta hain, haansil kya hota hain
zindagi har ek dusre ke andhere me hain
aakhir kisliye”

You may encounter a recent news from north-eastern part of Bangladesh in Sunamganj District a baul (Folk/Sufi) singer Mr Ranesh Thakur’s home has been torched, vandalised and most sadly he lost different musical instruments and books the Baul gathered for the past 40 years and his research works on music were gutted in the fire. The police couldn’t determine yet whom to hold responsible for the incident. It’s worth to mention here certain sect of Bangladeshi Muslims are non-supportive towards baul music or bauls or bauls culture in large. In last decades there were several hate and violent incident occurred against the bauls in Bangladesh. The burning question Is why?
Music is one of the most discussed tension within Islamic scholars. Interestingly none of them made any blanket statement on music whether it is Halal or Haram (permissible or not permissible) or they reached a general consensus on music. However, Imam Gajjali, Abdul Gani Anablusi had separate chapter in the name of “sama” (one kind of sacred music which is permissible according to them).
According to Islamic scholar, Islam understood how powerful music is and how seductive music can be and the effect it has on people. Al Farabi wrote a huge book on music, named “Kitab al-Musiqa al-Kabir” one of the earliest work on the science of music. Muslim scholar believes music have demonic and angelic effect. For an example the prophet Daud had angelic effect music skill. That’s why Muslim scholar don’t go too far in this matter. Even in the ancient Greek, Plato outlawed certain kind of music/music instrument in his book Republic. Christian & Jews scripture also do not permit music with lust, ungodly words. As an Abrahamic religion it’s no different than Judaism or Christianism but the other two reformed over the time but Islam is still struggling with reformation. Muslims are profoundly refusing to see the other side of the coin or tolerate the different curious minds rational understanding of Islam.
The Sufi sect in Islamic culture deeply followed a very different version Islam than the traditional one. The Sufi sect found their soul in music and created many great numbers but sometime in fact most of the time they have paid a heavy price for their dare to challenge the majority! The traditional Islam and Sufi like sect destined to be clashed as soon as knowledge, practice reached to very ordinary people and they begin to execute fatwas by themselves. We very often see a double standard, hypocrite, corrupt even sometime a paedophile or rapist hold very strong opinion on some of the religious rituals or individuals! We believe it’s comes from a poor upbringing of someone, lack of knowledge and scared to ask questions or have little care to challenge or discover the fact. Therefore, propaganda, lack of understanding many time creates threats towards Baul of Bangladesh.

There is no justification of any violence against anyone and we can’t allow such inhuman treatment towards anyone even its not proven yet who did what! Gulzar rightly said in his poem “Yeh Khel Aakhir Kisliye” –


“ye khel aakhir kisliye man nahi ubta
kai kai baar to khel chuke hain
ye khel ham apni zindagi me
khel khela hain khelte rahe hain
natiza fir vahi ek jaisa
ek baaki rahta hain, haansil kya hota hain
zindagi har ek dusre ke andhere me hain
aakhir kisliye”

What is the achievement? Why do people do such thing?

Abu Taher Tarek was my classmate, we studied class 9 & 10 together and I must say he was an outsider even then. Very quiet, never seen him to show arrogance with masculinity but his affiliation with fultoli and his inner soul searching wasn’t very tough to notice. I have lost the communication after my school year but meet him twice in our university time unfortunately again lost the touch and found him again on Facebook here in the UK and when right time arrived to meet him he left UK for Portugal.
I am not a fan or agree with Tarek but I personally recognise his pursuit to become an intellectual or having different opinion on fundamental things and certainly the strong view on bad governance in Bangladesh.
Recently Tarek posted a very sad story of his, some idiot villagers from his native home area created havoc by alleging “Tarek become an agnostic or an atheist”. The thugs humiliated his family members! I am deeply disturbed by such news. Who we are to judge someone? What is the outcome? Who are those authorities to ask question about someone’s believe? What are the parameters to determine the righteous way? There is no pope or chief rabbi in Islam to give a ruling. If people are not allowed to ask question, explore the horizon of knowledge than Islam will be irrelevant someday.

I must say the “nastic” card is used very wildly recently in Bangladesh. I stand by in solidarity of my schoolmate Abu Taher Tarek and ask you to show respect to his right to be agree to disagree or have a different, unorthodox opinion regarding anything. What will be the outcome of shutting down a voice, what will bring this hatred, haven’t we seen this many many time and always the human decency prevailed, human right adhered eventually and the scumbag thrown into the gutter of lost history… I wish they learn something from Gulzar,



“Yeh Khel Aakhir Kisliye” –


“ye khel aakhir kisliye man nahi ubta
kai kai baar to khel chuke hain
ye khel ham apni zindagi me
khel khela hain khelte rahe hain
natiza fir vahi ek jaisa
ek baaki rahta hain, haansil kya hota hain
zindagi har ek dusre ke andhere me hain
aakhir kisliye”

 


Tuesday 5 May 2020

খোলা জানালা সিরিজ- ৪




এই পর্বের লিখাটি রাজনৈতিক অবজারভেশন মাত্র। আপনি যদি জামায়াতের রাজনীতিক কাঠামো বা ক্যাডারভিত্তিক কাঠামোর সাথে পরিচিত থাকেন তখন এই পাঠ সুখকর হতে পারে।
আমি জন আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ বা জেএবি থেকে আমার বাংলাদেশ পার্টি বা এবি পার্টি হিসেবে আত্মপ্রকাশিত এক নতুন রাজনৈতিক দলের কথা বলছি।
সাধারণ অর্থে কখনো খুঁজে দেখেছেন কেন একটি রাজনৈতিক দল হয়? বাংলাদেশে ৪১টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে (http://www.ecs.gov.bd/page/politacal-party-new)। প্রত্যেক দলই বাংলাদেশের মানুষের অর্থনীতিক উন্নতি, মানবাধিকার, সকলের কল্যাণ, সুশাসন, কোন একটি চেতনা বা বিশ্বাসের প্রতিষ্ঠা, সমতা ইত্যাদি ইত্যাদি আরও ভালো ভালো কথা যা মনমুগদ্ধকারি বলে জনগণের সামনে তুলে ধরেন। মানুষকে আহ্বান করেন তাদের দলে যোগ দিয়ে তাদের হাতকে শক্তিশালী করতে। ভেবে দেখেছেন অন্য একজন করছেনা এই অভিযোগে নতুন আরও একটি দলের জন্ম হচ্ছে এবং প্রত্যেকেই মনে করছেন অপর দল যা করছেনা তারা তা করবেন তাই তারা দল পাকাচ্ছেন। তাহলে আমরা সরল অর্থে বলতে পারি, কোন একটি শক্তি বা গোষ্ঠীর বা রাজনীতিক প্রতিষ্ঠানের বিরোধীতাই একটি রাজনৈতিক দলের জন্মের ইতিকথা। কিন্তু বাস্তব কি তাই বলে? এই ৪১টি পার্টির মাঝে অন্তত ১০টি পার্টির (লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি – এলডিপি, জাতীয় পার্টি – জেপি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি, গণফোরাম, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (পিডিপি), খেলাফত মজলিস,) নাম করতে পারি যারা কোন এক প্রকার কোন্দল, মনমালিন্য, বা অপ্রাপ্তি থেকে নতুন দল গড়েছেন, নতুন কোন আদর্শ বা দিশা দিতে নয়। বিশৃংখল সমাজ ব্যাবস্থায় যেভাবে পান থেকে চুন খসতে তালাক বিনিময় হয় ঠিক তেমনি করে দল গড়া বা ভাঙ্গার খেলা চলে বাংলাদেশে। এছাড়াও পাওয়ার বা সরকারের হাত ধরে বা হাতের নিচে দল গড়া-ভাঙ্গা, রাষ্ট্র ক্ষমতার জবর দখল থেকে দল গড়ার দৃশ্যও আমাদের কাছে অপরিচিত নয়। জাতি হিসেবে খুবই কম বিষয়ে আমরা এক হতে পারি, অন্যের গঠনমূলক সমালোচনা নিতে পারি তাই নতুন কোন রাজনৈতিক দলের সৃষ্টি আমাদের মাঝে সন্দেহ, অবিশ্বাসের জন্ম দেবে তা খুবই স্বাভাবিক।
এবি পার্টির সৃষ্টিতে রয়েছে আলোচনা-সমালোচনা এবং ইন্টারেস্টিং বিষয় হলো বাংলাদেশে কোণ একটি দল সৃষ্টি হলে সাধারণত যে দল থেকে তারা বেড়িয়ে দল গড়েন সে দল সমালোচনা করেন আর বাকিরা আমোদিত হয়ে চুপ থেকে বিনোদন লাভ করেন আর কোন কোন সময় সরকারে থাকা দলটিও আমোদ লাভ করতে পিছপা হননা। এবি পার্টির সৃষ্টিতে আমরা দেখছি স্কোয়ার শেইপ লাভ সাইন। এখানে সরকারের সাপোর্টার একদল মারমুখি, জামায়াত-শিবিরের ট্রোল বা ফ্যান বেইজ অভিসম্পাতকারি, দিল দরিয়া সরকার! এবং এবি পার্টি নিজে নিয়ে এই চতুষ্কোনি রাজনীতির আখ্যান রচনা হচ্ছে।
যেহেতু বাংলাদেশে সরকারের প্রেম ছাড়া কোন রাজনীতি করা যাচ্ছে না তাই এমন সময়ে এবি পার্টির জন্মে এ নিয়ে মৌলিক কিছু প্রশ্নে আলোচনা প্রাসঙ্গিক। তবে জামায়াতের রাজনীতির তর তরীকা বিবেচনা না করে বা না জেনে সামনে যাওয়া উচিত হবে না। বাংলাদেশের আওয়ামীলীগ, বিএনপি বা জাতীয় পার্টির মতো এখানে কোন নেতা বা কর্মি টাকা দিয়ে কোন পদ বাগিয়ে দাড়াতে পারেন না। যিনি তাদের দলে ভীরতে চান তাকে এটলিষ্ট তার চিন্তার জগতে জামায়াতের রাজনীতিক ফিলসফি ধারন করতে হয় এবং তা তাদের কারও মাধ্যমে টেষ্টিফাইড হতে হয়। এখানে একজন কর্মি ধাপে ধাপে পর্যবেক্ষণ, অনুশীলন, নিরীক্ষার মধ্যদিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যান। এই ধাপগুলোকে আপনি মেটালিক শেকলের মতো ভাবতে পারেন, একটি ক্যাপসুল শেইপের লিঙ্ক একে অপরের সাথে শক্ত গাঁথুনিতে আবদ্ধ। এই শক্ত চেইনেও ভাঙ্গন এসেছে অতীতে, ১৯৭৬ সালে মাওলানা আব্দুল রহিম ও তৎকালীন জামায়াত নেতাদের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লীগ, ১৯৭৯ সালে গোলাম আজম তাকে কোনঠাসা করে রাজনীতি থেকে বিদায় দেন, ১৯৮১ সালে যুবশিবির নিয়ে সমস্যার রেষ ধরে জামায়াত-শিবিরে অস্থিরতা আসে, সংষ্কারের দাবি উঠে ২০০৭ সালেও, ২০১০ সালেও জামায়াতের নেতৃত্বের মাঝে বিরল মতভেদ প্রকাশ্য হতে দেখা যায় (কামারুজ্জামান, আবদুর রাজ্জাক ও মীর কাসেম আলী), সর্বশেষ ২০১৯ সালে ব্যারিষ্টার আব্দুর রাজ্জাকের পদত্যাগ। কিন্তু ২০১০ সালের ২৬ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ৭ নম্বর সেল (বকুল) থেকে গোপনে যেমনটা লিখেছিলেন কামরুজ্জামান, জামায়াত সব সময় বিশেষত অল্ড স্কুল গ্রুপটি ভাবেন, ‘যা হবার হবে। আমরা যেমন আছি তেমনি থাকব।’ এবং এমন ভাববার কারনে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের পদত্যাগ কালীন সময়ে মুজিবুর রহমান মঞ্জু সারা দেশে এবং ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অগোচরে একটি সভা করেন যাকে অনেকেই সংস্কারবাদীদের সভা বলে আভিহিত করেন এবং সেই কারনে তাকে শোকজ করলে তা ইগনোর করার কারনে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর জামায়াতে সংস্কারের বিষয়ে সবচেয়ে পরিষ্কার যে ধারণাটি প্রকাশ্যে আসে তা আসে কামরুজ্জামানের লিখা চিঠি থেকে, তিনি রিফর্মড একটি সংগঠনের রূপরেখাও দেন।
- তাঁর মতে, বাংলাদেশের সংবিধান সামনে রেখে যে ধরনের সংগঠন হলে কোনো প্রশ্ন থাকবে না, সে ধরনের সংগঠন করতে হবে।
- ছায়া মন্ত্রিসভা কনসেপ্ট গ্রহণ করতে হবে।
- বিশিষ্ট নাগরিক, প্রবীণ আলেম ও পণ্ডিত ব্যক্তিদের নিয়ে দলের একটি অভিভাবক পরিষদ থাকবে।
- তিনবারের বেশি কেউ কেন্দ্রীয় সভাপতি বা জেলা সভাপতি থাকতে পারবে না।
- সব পদের ব্যবহার বাংলা পরিভাষায় হবে।
- কেন্দ্রীয় কমিটিতে সব পেশার লোকদের প্রতিনিধিত্ব থাকতে হবে।
- নির্বাচনে প্রথমে স্থানীয় সরকারব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব আরোপ করতে হবে।
- সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোকে গতিশীল করতে হবে।
- যুব ও ছাত্রদের সহায়তায় ক্রিকেট, ফুটবল ও হকি দল, প্রয়োজনে ক্লাব গঠন করতে হবে।
- অমুসলিমদের সঙ্গে সামাজিক ও ওয়ার্কিং রিলেশন গড়ে তুলতে হবে।
- সাংবাদিক তৈরি করে বিভিন্ন পত্রিকায় ও টিভি চ্যানেলে ঢোকাতে হবে।
এছাড়াও কামরুজ্জামানের চিঠির প্রায় ১০ বছর পর ব্যারিষ্টার আব্দুর রাজ্জাকের পদত্যাগেও দুটি বিষয় ফিরে আসে,
- জামায়াত ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করার জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চায়নি।
- একবিংশ শতাব্দীর বাস্তবতার আলোকে ও অন্যান্য মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনকে বিবেচনায় এনে দলটি নিজেদের সংস্কার করতে পারেনি।
আজ থেকে প্রায় ৪ দশক আগে ডঃ আহমেদ আব্দুল কাদের বাচ্চু তার জামায়াত-শিবির পরিত্যাগের পরিপ্রেক্ষিত বলেন লিখনি নামের একটি সাপ্তাহিকিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে,
লিখনী : অতীত থেকে শুরু করি। আপনি তো প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে ছাত্রশিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। সক্রিয় কর্মী থেকে একপর্যায়ে আপনি সভাপতিও নির্বাচিত হয়েছিলেন।…
আহমদ আবদুল কাদের : হ্যাঁ, আপনি ঠিকই বলেছেন। ১৯৭৭ সালে ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আমি ছাত্রশিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম। ১৯৮২ সালের মার্চে আমি ছাত্রশিবিরের সভাপতি নির্বাচিত হই। কিন্তু আগস্ট মাসে পদত্যাগ করি।
লিখনী : পদত্যাগের পর আপনি যুবশিবির নামে আরেকটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। ছাত্রশিবির থেকে পদত্যাগের কারণ কী?
আহমদ আবদুল কাদের : ছাত্রশিবিরের পলিসিতে কয়েকটা বিষয় স্পষ্টভাবে উল্লেখ ছিল- এটা কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করবে না, ইসলামের পক্ষে তারা কাজ করবে। প্রথমদিকে পাঁচ-ছয় বছর এটা মানা হলেও পরে এটা ঠিক থাকেনি। জামায়াতে ইসলামের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়াতে থাকে।
লিখনী : শিবির কি জামায়াতের অঙ্গসংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি?
আহমদ আবদুল কাদের : না, জামায়াত-শিবির দুটো আলাদা সংগঠন ছিলো এবং দুটোর গঠনতন্ত্র, মতাদর্শ ও কর্মপরিকল্পনাও ভিন্ন ছিল। ছাত্রশিবির স্বাধীনভাবে তাদের কর্মকা- পরিচালনা করতো। তবে জামায়াত সম্পৃক্ত কিছু নেতা এতে ছিলেন। মাঝখানে শিবিরের কিছু কর্মকাণ্ডে তারা আপত্তি প্রকাশ করে। তবুও আমরা যারা শিবিরকে স্বাধীন সংগঠন হিসেবে পরিচালনা করতে বদ্ধপরিকর ছিলাম তারা কখনও জামায়াতের সম্পৃক্ততা মেনে নিতে পারিনি। এতে জামায়াত ধীরে ধীরে আমাদের কর্মকাণ্ডে ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। আমি সভাপতি হওয়ার পর যখন কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে যাই তখন এই ক্ষিপ্ততা আরও বাড়ে।
লিখনী : আপনার প্রতি জামায়াতের ক্ষিপ্ত হওয়ার কারণ কী?
আহমদ আবদুল কাদের : ’৮১ সালে রমনা গ্রিনে একটি বড় সম্মেলন করা হয়। সেখানে অনেককে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হলেও জামায়াতের নেতাদের কাউকে ডাকা হয়নি। সে কারণে তারা আমাদের প্রতি ক্ষিপ্ত হতে শুরু করে। এখানে স্বাভাবিকভাবে ’৭১-এর প্রসঙ্গটা আসে। আমি ’৭১-এ জামায়াতের অবস্থানের ব্যাপারে আমাদের নেতাদের পর্যালোচনা করতে বলি। কারণ ৭১-এ জামায়াতের যে ভুল ছিল সেই ভুলের খেসারত ছাত্রশিবিরকেও দিতে হচ্ছিলো।
লিখনী : ’৭১-এর বিষয়ে আপনাদের এই বোধটা কেনো এলো?
আহমদ আবদুল কাদের : সেটা আমার না, শিবিরে আমার আগে যারা সভাপতি ছিলেন তাদের অনেকেই প্রশ্নটা তুলেছেন। কারণ আমরা মনে করতাম ’৭১ বিষয়ে অবস্থান পরিষ্কার না করে রাজনীতি করা সম্ভব নয়। যেহেতু এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা হয়েছে স্বাধীনতার পর এবং এটি একটি স্বাধীন ছাত্র সংগঠন। জামায়াত বা অন্যকোনো রাজনৈতিক দলের প্রভাবে যদি এটি প্রশ্নবিদ্ধ হয় তাহলে আমাদের পুরো কার্যক্রমই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যেতো। অথচ ছাত্রশিবির ততোদিনে সারা বাংলাদেশে একটি আদর্শ ছাত্র সংগঠন হিসেবে পরিচিত হয়েছিলো। এমনকি শিক্ষক-অভিভাবকরা ছাত্রদের এই সংগঠন করার ব্যাপারে উৎসাহ দিতেন। সুতরাং জামায়াতের ব্যাপারে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করা আবশ্যক হয়ে পড়েছিলো।
২৬ জানুয়ারি ২০১৬ সালে বাংলা ট্রিবিউন পত্রিকাকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি অনুরূপ অভিমত জানান।
বাংলা ট্রিবিউন: আপনি এক সময় ছাত্র শিবির করতেন, জামায়াতের রাজনীতিতে যোগ না দিয়ে সরে এলেন কেন?


আহমদ আবদুল কাদের: ১৯৮২ সালে আমি ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলাম। তখন শিবিরের আদর্শ ছিল, শিবির কোনও দলের পক্ষে অবস্থান নেবে না। শিবির স্বতন্ত্র সংগঠন হিসেবে ছাত্রদের নিয়ে কাজ করবে। আমি সভাপতি হওয়ার পর জামায়াতের পক্ষ থেকে চাপ এলো, শিবিরকে জামায়াতের পক্ষে কাজ করতে হবে। এক সময় শিবির মানেই ছিল ভালো ছাত্রদের সংগঠন। অভিভাবকরাও চাইতেন, তাদের ছেলে শিবিরের করুক। শিবির জামায়াতের কর্মসূচিতে যোগ দিত না। কিন্তু জামায়াত চাইল শিবির জামায়াতের হয়ে কাজ করুক। আমরা প্রকাশ্যে মিটিংয়ে এ বিষয়ে আলোচনা করার দাবি জানালে তারা (জামায়াত) তা করেনি।
আরেকটা ইস্যু ছিল, আমরা বলেছিলাম, ৭১ সালের জামায়াতের ভূমিকা ঠিক ছিল না। এসব বিষয়ে আলোচনা হওয়া উচিত, রিভিউ করা উচিত। রিভিউ করার জন্য কিছু তথ্য সংগ্রহ করা দরকার । তখন রিভিউ ব্যবস্থা করার জন্য শিবির থেকে একটি কমিটি করা হয়েছিল। সেই কমিটিতে আমি সদস্য ছিলাম।এ উদ্যোগ নেওয়ার পর জামায়াতের মনোভাব বোঝা গেল। জামায়াত ৭১-এর ভূমিকা নিয়ে রিভিউ করা হবে এটা খুব সিরিয়াসলি নিল।আমি শত্রু হয়ে গেলাম, তখন জামায়াত আমাকে সরানোর জন্য তৎপর হয়ে উঠল। এরপর আমরা যারা রিভিউয়ের পক্ষে ছিলাম, তারা সরে আসি শিবির থেকে।
বাংলা ট্রিবিউন: জামায়াতের ৭১-এর ভূমিকা নিয়ে রিভিউ বলতে মূলত আপনারা কী চেয়েছিলেন?
আহমদ আবদুল কাদের: রিভিউ বলতে কয়কটি প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা। প্রায় ২০/২৫ টি প্রশ্ন ছিল আমাদের। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে জামায়াতের অবস্থানের সিদ্ধান্ত জামায়াতের ফোরামে হয়নি।আমারা প্রশ্ন করেছিলাম, এ সিদ্ধান্ত কোথায় হয়েছে? কার সভাপতিত্বে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।২৬ মার্চ পর্যন্ত জামায়াত শেখ মুজিবকে ক্ষমতা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। তাহলে এটা চাওয়া কিভাবে ঘুরে গেল? তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান জামায়াতের নায়েবে আমির ছিলেন মাওলানা আব্দুর রহিম, তার সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছিল। উনি আমাকে বলেছেন, মার্চের আগে মূল জামায়তের শূরা সদস্যদের মিটিং হয়। তখন কেন্দ্রীয় জামায়াত নেতারা বলেছেন, দেশ এক থাকবে না, কারণ ভুট্টো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তিনি ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন না। তখন কেন্দ্রীয় জামায়াত নেতারা বলেছেন, আমরা পশ্চিম পাকিস্তানে আছি। আমাদের এখানেই থাকতে হবে। আপনারা পূর্ব পাকিস্তানে থাকবেন, আপাদের সিদ্ধান্ত আপনাদের নিতে হবে। তখন জামায়াত আনুষ্ঠানিকভাবে না হলেও ভাগ হয়ে যায়। আমরা প্রশ্ন তুলেছিলাম, আপনারা ৭১ সালের এপ্রিলে যে বিবৃতি দিলেন, কোন সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে দিলেন? আমরা প্রশ্ন তুলেছিলাম আপনারা আলবদর বাহিনী গঠন করলেন, এটা কোথায় করলেন, কে এই সিদ্ধান্ত নিলেন? এসব জামায়াত পছন্দ করেনি। জামায়াত ভুল করেছে। জামায়াত নাম-ই থাকা উচিত ছিল না। গোলাম আযম বুঝতে পারেননি এ অবস্থা হবে।

জামায়াতের এমন বাস্তবতায় একজন মুজিবুর রহমান মঞ্জু এমনি এমনিতেই গড়ে উঠেননি। একজন শুভাকাংখি/সমর্থক থেকে কর্মি, সাথি, সহযোগি সদস্য, সদস্য হয়ে তিনি শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতা হয়ে উঠেছেন। এই সময়ে তার মনস্তত্ব গঠনে জামায়াতের সিলেবাস, ট্রেনিং, স্কুলিংয়ের ভেতর দিয়ে তাকে যেতে হয়েছে। জামায়েতের রাজনীতি আর দশটি রাজনীতির মতো ভাবলে আমর আভুল করবো। একজন নারী বা পুরুষ কর্মি তার রাজনীতিকে তার ধর্মের কাজ বা সোয়াবের কাজ হিসেবে বিশ্বাস করেন। অন্যান্য দলের লোকজন নিজ দলের জন্য কাজ করলে এক সময় রিওয়ার্ড হিসেবে তারা লুট করার লাইসেন্স পাবেন যেমন বিশ্বাস করেন তেমনি জামায়াতের লোকবল পরকালে রিওয়ার্ডেড হবেন তা তারা বিশ্বাস করেন।
প্রত্যেকটি বিশ্বাস ডেষ্টিনড টু বি চ্যালেঞ্জেড, বা অবিশ্বাসে পরিণত হবার জন্য এবং তা হতে পারে ব্যাক্তির নিজ প্রয়োজন থেকে কিংবা এক্সটারনাল প্রেশার থেকে বা বোধ থেকে। বাংলাদেশের রাজনীতিক কালচারে যারা পাওয়ারে থাকে তারা অন্য দল থেকে তাদের চ্যালেঞ্জারকে তাদের ষ্টুজ বানাতে হেন কাজ নেই করেন না। তাই মানুষ জানতে চায় বা ভাবতে ভালোবাসে এবি পার্টি সরকারের সৃষ্টি অথবা সরকারের আশির্বাদে রয়েছে।
স্বভাবতই জানতে চাইবে,
- ১। কে তাদের ফাইন্যান্স করে? এবি পার্টি নতুন ধারার ট্রান্সপারেন্ট পলিটিক্সের কথা বললেও তারা জানান নি যে কোটি টাকা সংগ্রহের সিংহ ভাগ কাদের থেকে বা কার থেকে এসেছে?
- ২। ‘মহান মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কোর্ধ্ব জাতীয় অর্জন’ আখ্যা দিয়ে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, ‘ধর্ম ও স্বাধীনতাকে সকল বিতর্কের ঊর্ধ্বে রেখে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাবে এবি পার্টি।’ ধর্মকে তারা উর্ধে রেখে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি করবেন নাকি ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি করবেন? যদি কোন ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি করেন তবে তাদের পূর্ববর্তী কোন সংস্কারবাদী ব্যাক্তি তাদের সংস্কার ভাবনায় তারা ধর্মনিরপেক্ষতাকে এড্রেস করেন নি, সেক্ষেত্রে তারা জামায়াতের ফেলে আসা সাথিদের কিভাবে আহ্বান করবেন? (বিএনপি বা আওয়ামী রাজনীতিতে তাদের কর্মিদের কাছে এবি পার্টি সেল করার নতুন কি দাবি তারা রাখছেন?)
- ৩। বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ বারেবার তাদের বক্তব্যে এসেছে, যাদের মুখে এর আগে এই দুই শব্দ বিরল ছিলো কিন্তু বাংলাদেশের সংসদে প্রতিষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা ৩০ লাখ কে তারা বারেবার লাখ লাখ বলে কি প্রতিষ্ঠিত ৩০ লাখ সংখ্যাকে আন্ডার মাইন করছেন?
- ৪। আহ্বায়ক কমিটির ২২২ জনের দীর্ঘ তালিকায় আইনজীবিদের নামের প্রাধান্য ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের ফ্যান ফলোয়িং বা প্রভাব পরিষ্কার। কিন্তু জামায়াতের চেয়েও কম মহিলা সদস্য নিয়ে নতুন ধারার রাজনীতি কিভাবে তুলে ধরছেন?
- ৫। “আল্লাহর আইন চাই, সৎ লোকের শাসন চাই”, কোরান যাদের কাছে সংবিধান, এই কথা বিশ্বাস করে ও ট্রেইন্ড হয়ে রাজনীতি করেছেন তাদের কে আপামর জনগণ কেন বিশ্বাস করবে? বা করা উচিত? এখনও কি তারা ঐ সব চান? চাইলে অন্যান্য ইসলামি দলগুলো কোথায় কোথায় ইসলাম ভঙ্গ করায় তাদের সাথে না যেয়ে জনগণ এবি পার্টিকে ফলো করা উচিত।
- ৬। পেটের দায়ে বাইরে বের হওয়া লোকদের পুলিশ তাড়া করলেও কিভাবে বা কার ছায়ায় তারা লকড রাজধানীতে দলের আত্মপ্রকাশের অনুষ্টান করতে পারলেন?
- ৭। তাদের গঠন, কর্মসূচী ইত্যাদি পর্যালোচনা করলে কামারুজ্জামান তার চিঠিতে মূলত জামায়াতের টিকে থাকার কৌশল হিসেবে যে তিনটি বিকল্প উল্লেখ করেছিলেন তার দ্বিতীয় প্রস্তাবটির (পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জামায়াত সিদ্ধান্ত নিয়ে পেছন থেকে একটি নতুন সংগঠন গড়ে তুলবে। এই সংগঠন প্রজ্ঞা ও দৃঢ়তার সঙ্গে ধর্মহীন শক্তির মোকাবিলা করবে।’) আদলে এবি পার্টির সব কিছু গঠন করা। এটি কি তবে জামায়াতের একটি রাজনীতিক কৌশল?
তথাকথিত অনেকেই এদের সমালোচনা করছেন যাদের কাছে কিছু প্রশ্ন থেকে যায়-
-১। কেন এবি পার্টির রাজনীতি করার অধিকার থাকবেনা?
- ২। কেন একটি ছেলে শিবির/জামায়াত করতে হয়েছে এই প্রশ্নে দেশের রাজনীতিক প্রতিষ্ঠান সমূহের কি দায় নেই? অন্যান্য দলের লোকেরা দল বদলে সমস্যা না থাকলে এদের বেলা কেন আপনার আপত্তি?
- ৩। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কি ইসলামের বিপক্ষে ছিলো নাকি একদল মুসলমানের বিরুদ্ধে ছিলো নাকি পাকিস্তানি শোষক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ছিলো? ইসলামিক/হিন্দু বা নাস্তিক বা অন্যান্য বিশ্বাস / মতবাদ কেন্দ্রিক রাজনীতি কেন করা যাবে না? জমহুরিয়াত বা গণতন্ত্র কি এই সকলের অংশ গ্রহন বা অধিকারের চটি বিক্রি করছে না?
নতুন কে স্বাগত জানাতে হবে তবে চোখ খোলা রাখতে হবে কারন এই জনপদ অবিশ্বাসের, প্রশ্নের আর সত্য কে জানতে , খুজতে দূর্বার সংগ্রামের।