Monday 15 August 2011

আজ পনের আগষ্ট। যে দেশটি থেকে আমি এসেছি সে দেশে আজ শোক দিবস। শোক একজন মানুষের নির্মম ভাবে প্রাণ হারানোর। আমি মনে করি, আমার শোক অন্য যায়গায়, তিন যুগ ধরে বিচার না করার যে রেওয়াজ চলে আসছে তার চেয়ে বড় শোকের আর কিছু নেই। আমার শোক, মানুষ হত্যাকে যে বা যারা জায়েজ/হালাল/প্রয়োজনীয়/অবশ্যম্ভাবি ভাবে তাদের জন্য।
বুঝতে চেষ্টা করেছি, যারা বিশ্বাসী (ইহকাল/পরকাল/বিচার) তারা কেনো এমন বর্বর ভাবনায় আর কাজে মেতে উঠেন। স্মরণকালের ইতিহাসে হিটলারের পড়ে সবচেয়ে বড় গণ হত্যা এবং মানবতা বিরোধী কাজ সংঘটিত হয়েছে আমাদের ছোট্র বদ্বীপে, আমাদের বাংলাদেশে। কিছু মানুষ আজো বিশ্বাস করে, এসব গণহত্যা কিংবা মানবতা বিরোধী কাজ গ্রহণ যোগ্য।.. কারন কি ? কেনো তারা এমন ভাবেন ?
আমার অনুধাবন ধর্ম গোষ্ঠীর নেতৃত্ব আর ধর্ম গ্রন্থ গুলো বিকৃত চিন্তার মানুষ হতে যোগান যুগিয়েছে। সেই চিন্তা থেকেই জানতে চেষ্টা করেছি, কোথা থেকে এলো এই সকল ধর্ম গ্রন্থ।
আমার ব্যাক্তিগত আগ্রহের কারনে, প্রথমেই শুরু করেছিলাম, ভারতীয় হিন্দু ধর্মের গ্রন্থ গুলো থেকে, এই সিরিজে বাইবেল ও কোরান নিয়েও খুজবো কিভাবে এলো ধর্মের কাগুজে লাঠিয়াল এই সব ধর্ম গ্রন্থ।

ধর্ম গ্রন্থের সৃষ্টি আর মানুষের লিখার জ্ঞান অর্জনের ইতিহাস খুব কাছাকাছি হতে হবে। তবে লিখিত রুপ ছাড়াও স্মৃতিতে ধরে রাখার মাধ্যমে ধর্মের মন্ত্রের চর্চা হয়ে থাকতে পারে।
প্রায় ২০০ অধ্যায়ের ''দি বুক অব ডেড'' ছিলো পৃথিবীর প্রাচীণতম ধর্ম গ্রন্থ।  বুক অব ডেডে থেকে যে কয়েকটি বিষয়টি উঠে আসে তার মাঝে,
১। মানুষ হত্যা না করা,
২। ক্ষুধার্তকে সাহায্য করা,
৩। স্বজাতীর বিনাশ বা ক্ষতি না করা,
৪। কাউকে দুঃখ না দেয়া,
৫। পানির প্রবাহ রোধ না করা,
৬। লুট বা চুরি না করা ইত্যাদি।

পাঠক লক্ষ্য করুন, এক সাথে বসবাস করতে এবং নিজেকে অন্যের থেকে নিরাপদ্ রাখতে যা প্রয়োজন তার সব কিছুই এই বিধান গুলো গুঢ় অর্থ। নিজের অস্তিত্ব ধরে রাখতে অন্যের বিনাশ গ্রহণযোগ্য সেই আদিকাল থেকেই। মিশরের পিরামিড গুলোতে যেসব চিত্রের পাঠোধ্বার হয়েছে তার মাঝে ঈশ্বর বা খোদা সংক্রান্ত চিত্র গুলো শুধূ হাস্যকর নয়, যুক্তিহীন কূপমন্ডুকতা মাত্র। তাই ঈশ্বরের যে চিত্র মানুষের মাঝে পাওয়া যায় তার পক্ষে কোন আইন তৈরী করা আর মানুষের পৃথিবীতে আসা শুধু কঠিন নয় অসম্ভব আর অবাস্তবও বটে।

মানুষের ইতিহাসে ব্যাবিলনের সম্রাট হাম্মুরাবি'র আইন গুলোকে সবচেয়ে বিন্যাস্ত আর তুলনামূলক সফিস্টিকেটেড আইন বলা চলে যা আজকের যুগে অগ্রহণযোগ্য, কিছু কিছু বর্বর বলে বিবেচিত।
মজার বিষয় হলো, মানুষ আইন করে কিন্তু যখন সে তার প্রয়োগ নিয়ে চিন্তিত হয়েছে তখনই সে উদ্ভাবন করেছে এক কল্পিত ঈশ্বরের, যার দোহাই দিয়ে সাধারণ মানুষ, বিরোধী মতকে দমন করা যায়। শ্রেণী ভিত্তিক সমাজের রক্ষা কবচ হয়ে উঠে ধর্ম আর ধর্মের আইন গুলো। চলুন দেখা যাক এক নজরে ভারতীয় হিন্দু ধর্মের ভিত্তি ধর্মগ্রন্থ গুলো কি কি...