Sunday 26 August 2018

সৌদি বর্বরতার লাগাম এবং একটি আত্মিক সমাধান। Part-2


সৌদি আরব ইয়েমেনে এই হামলা চালানো বাবদ প্রতি মাসে ২৫ কোটি ডলার ব্যয় করছে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক এ হিসাব দিয়েছে। অথচ সৌদি আরব নির্মাণ কোম্পানিগুলোর দেনা পরিশোধ করতে পারছে না। অথচ ৬৯.৪ বিলিয়ন ইউএস ডলার খরচ করে পৃথিবীর মাঝে সামরিক ব্যায়ের হিসেবে তৃতীয় অবস্থানে অবস্থান করছে। এই আর্টিকেলেই উল্লেখ করেছি ২০১৫ সাল থেকে অদ্যাবদি আমেরিকা ও ব্রিটেন ৫ বিলিয়ন ইউএস ডলারের অস্ত্র বা মারনাস্ত্র সৌদি আরবকে সরবরাহ করেছে। খুব সহজেই বিবেক-বিবেচনা সম্পন্ন মানুষ অনুধাবন করবেন যে বিশ্ব মোড়লগণ সৌদির বিরোধীতা করবেই না উপরন্তু সব কিছুকে তারা সৌদির জন্য ম্যানেজ করবে। এমন বাস্তবতায় আপনি কি করতে পারেন?




যে সকল দরিদ্র দেশগুলো থেকে লাখ লাখ শ্রমিক সৌদি আরবে কাজ করতে যান তাদেরকে এই মহান সংগ্রামে আহবান করে লাভ নেই উপরন্তু দরিদ্র মানুষ ও দেশগুলোতে এর প্রভাব মানুষের দূর্ভোগ আরও বাড়াবে। কিন্তু আমি আপনাদের সামনে একটি প্রস্তাবনা করতে পারি যা সাপও মারবে আবার লাঠীটিও ভাঙবে না।
আপনি জানেন কি, বিশ্বব্যাপি ১.৭ বিলিয়ন মুসলমানের মাঝে ২০১৭ সালে ২.৪ মিলিয়ন মক্কা আগমন করেন হজ্জ করার জন্য। ২.৪ মিলিয়ন মুসলমানের মাঝে ১.৮ মিলিয়ন মুসলমান ছিলেন সৌদি আরবের বাইরের অঞ্চল বা দেশ থেকে। অপর দিকে একই বছর ৮ মিলিয়ন মানুষ উমরাহ করতে সৌদিতে এসেছিলেন।
আপনি জানেন কি, ২০১৭ সালেই হজ্জের মৌসুম ৮ বিলিয়ন ইউএস ডলার  এবং উমরাহ খাত থেকে আরও ৪ বিলিয়ন ইউএস ডলার সৌদি ইকনোমিতে যোগ করেছে যা হজ্জ ও উমরাহকে তেলের পর সবচেয়ে লাভ জনক আয়ের উৎস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
আপনি জানেন কি, সৌদি সরকার তাদের ভীষণ ২০৩০ পরিকল্পনায় প্রতিবছর ৩০ মিলিয়ন উমরাহ পালনকারিকে আকর্ষিত করতে চাইছে।
আপনি জানেন কি, মক্কা চ্যাম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির মতে সৌদির প্রাইভেট সেক্টরের ২৫-৩০% হজ্জ-উমরার উপর নির্ভরশীল এমনকি আরব রাষ্টগুলোর এভিয়েশন বিজনেসেও এই হজ্জ-উমরা গুরুত্বপূর্ণ পালন করে।
আপনি জানেন কি, সৌদি আরবের ন্যাশনাল রিয়েল এষ্টেট কমিটি আশা করছে হজ্জ-উমরা থেকে আগামি পাঁচ বছরের মাঝে ১৫০ বিলিয়ন ইউএস ডলার আয় করতে সক্ষম হবে এবং হজ্জ-উমরা কেন্দ্রিক ১০০০০০ স্থায়ী জব ক্রিয়েট করবে।
উপরের তথ্যগুলোকে যদি একটু সতর্ক ভাবে বিবেচনা করেন তবে সহজেই আপনি আমাদের সাথে একমত হবেন একমাত্র সৌদি আয়ের উৎসে যদি আমরা কম্পন সৃষ্টি করতে পারি তবেই উট পাহাড়ের নিচে আসবে।
এবার আমরা যদি আপনাকে পৃথিবীর কয়েকটি দেশের নাম স্মরণ করিয়ে দেই তবে আপনাদের স্মরণে আসবে ইকনোমিক্যাল সেঙ্কশন কিভাবে তাদেরকে নতজানু করেছিলো। সাদ্দামের ইরাক, খোমেনির ইরান, কিম জং উনের নর্থ কোরিয়া, এরদোগানের তুরস্ক, পুতিনের রাশা, তালেবানদের আফগানিস্তান কাছের ইতিহাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দেশ সমূহ। আমরা আশা করছিনা সৌদি আরবকে তাঁর প্রভুরা এমন কোন  ইকনোমিক্যাল সেঙ্কশন প্রদান করবে কিন্তু আপনি পারেন সৌদি আরবকে আরও মানবিক হতে, মানুষের মর্যাদা প্রাদানে বাধ্য করতে, অন্যায়  ও অযৌক্তিক ভাবে মানুষ হত্যা থেকে বিরত রাখতে।  তাই যদি মুসলিম প্রদান দেশগুলো এবং মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মুসলমানগণ যদি ২০১৯ সাল থেকে ৫ বছরের জন্য হজ্জ-উমরা  সাময়িকভাবে  রহিত করেন তবে আপনার টাকায় আর কোন ইয়েমেনিকে তাঁর প্রাণ হারাতে হবেনা। কোন শিশু পানিয় কেনার সময় কোন ঘাতক বোমায় তাঁর শরীর ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হবে না। আমি নিশ্চিত আপনার আল্লাহ আপনার মনের কথা জানেন, আপনার সামর্থ-ইচ্ছা তাঁর অজানা নয় তাই পাচটি বছর যদি এক জালিমকে শিক্ষা দিতে আপনি হজ্জ-উমরা না করেন তাতে আপনি বা আপনার আল্লাহর কিছু কমতি হবেনা। আর যদি কোন ঈশ্বর মানুষকে রক্ষায় ব্যার্থ হবার পরও কোন মানবিক ইনিশিয়েটিভের কারনে অফেন্ডেড হন তবে তাঁর ঈশ্বর ভাবনায় রয়েছে ভয়াবহ আত্মতৃপ্তির উন্মাদনা।
আসুন সবাই একটু মানবিক হই। মানুষের জন্য মানুষ হয়ে ভাবি। যদি মানুষই না থাকে তবে খোদার খোদায়ি দিয়ে কি হবে?   

Saturday 25 August 2018

সৌদি বর্বরতার লাগাম এবং একটি আত্মিক সমাধান।


আমাদের মনে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক, কেন সৌদি আরব ইয়েমেনে বোমা মারে?
ইয়েমেনে হচ্ছেটা কি? সৌদির বোমা বর্ষণের প্রকৃত কারন কি?
হুতি কারা?
সৌদি ও হুতিরা কি মানবতা বিরোধী অপরাধ করছে?
শিশুরা কেন আক্রমণের শিকার হচ্ছে?
মুসলমানগণ কেন নিশ্চুপ?
এটি কি শিয়া-সুন্নি যুদ্ধ?
ইরানের স্বার্থ কি?
এই সকল প্রশ্নের উত্তর খুব সহজ নয়। এই মানবিক শঙ্কটের কারন খুঁজতে গেলে আমাদের কে একটু পেছনে যেতেই হবে।
 শঙ্কটের শুরু আরব বসন্ত থেকে, এই বসন্তের আগে যে খরা-বর্ষা আর শীতের প্রকোপ এই জাতি সয়েছে তাঁর বিবরণ অন্যদিনের জন্য তুলে রাখলাম।
হঠাৎ করেই আরবের আলিম-জাহিল, মূক-বধির জনগোষ্ঠী জেগে উঠতে শুরু করে। এই বসন্তের হাওয়ার দোলা লাগে ইয়েমেনে।  ৩৩ বছর চেপে থাকা দুনিয়ার সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্থ সরকারের প্রধান শোষক আলি আব্দুল্লাহ সালেহ ক্ষমতার মসনদ থেকে নামতে বাধ্য হয়, ২০১১ সালে ক্ষমতার ছড়ি হাতে পান সালেহর ডেপুটি আবদরাব্বুহ মনসূর হাদি।
মূল্য পড়তে থাকা তেল, পানি শঙ্কট আর বেড়েই চলা কর্মহীন যুব সমাজের ত্রিশূল ধেয়ে আসতে থাকে সানার সরকারের দিকে। অপর দিকে এক যুগেরও বেশী সময় ধরে সালেহ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে আসা যায়েদি শিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের বিদ্রোহ যা হুতি মুভমেন্ট নামে অধিক খ্যাত মরার উপর খরার ঘা হয়ে আসে।  চরম বিশৃঙ্খল সেই জনপদে হুতি শিয়াদের পাশে এসে দাঁড়ায় সাধারণ সুন্নি ইয়েমেনিগণও এবং এরপরই ২০১৫ শুরুর দিকে হুতি বিদ্রোহীগণ রাজধানী সানা দখল নেন। হাদি সানা ছেড়ে পালিয়ে যান, সালেহ ও হুতিদের মাঝে সমঝোতা হয়। এই অস্থিরতা এবং ভূ-রাজনীতির নতুন সমীকরণ দুশ্চিন্তায় ফেলে সৌদি রাজপরিবার আল সৌদকে। এর মাঝে হুতিদের বিরুদ্ধে সৌদি বর্ডার ফোর্স সদস্য হত্যা, সীমান্তবর্তী অঞ্চল দখলের অভিযোগ উঠলে শক্ত হাতে সৌদি তা দমন করে এবং হাদি সরকারকে পুণঃস্থাপনের অজুহাতে দশ মস্তকের রাবণ-রাষ্ট্রগুলো ইয়েমেনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। সৌদি আরব এখন লেবাননের বৈরুত, ইরাকের বাগদাদ, সিরিয়ার দামাস্কাস এবং ইয়েমেনের সানার শিয়া ক্ষমতা বা প্রাধান্য দিয়ে বৃত্ত-বন্দি। শিয়াদের পাওয়ার হাউজ হিসেবে বিবেচিত ইরানকে সৌদি ও তাঁর এলাইরা এই হুতি বিদ্রোহীদের মদদদাতা হিসেবে নিশ্চিত করে আসছে। এমন বাস্তবতায় সৌদি আরব মিডল ইষ্টে তাদের প্রভাব-প্রতিপত্তি ধরে রাখতে ইয়েমেনকে গিনিপিগ হিসেবে নিয়েছে এবং তাদের এই হামলা হামলা ক্রীড়ায় অংশ নিতে গঠিত হয়েছে আরব কোয়ালিশন। এই কোয়ালিশনকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্স, তুরস্ক, পাকিস্তান, মরক্কো, জর্ডান, কুয়েত, কাতার, বাহরাইন, আরব আমিরাত, মিশর, সুদান এবং আমাদের বাংলাদেশ।
গত বছরের শেষের দিকে হুতি বিদ্রোহীগণ সৌদি আরবের রিয়াদের দিকে ব্যালিষ্টিক মিসাইল ছুড়লে সৌদি ও তাদের আরব দোসরগণ ইয়েমেনকে ঘিরে ফেলে এবং জল-স্থল ও আকাশে অবরোধ আরোপ করে এবং এর পরই শুরু হয় চরম মানবেতর অবস্থা।  দেখা দেয় দুর্ভিক্ষ। এই অবরোধ ও বিমান হামলাগুলোকে সম্ভাব্য ওয়ার ক্রাইম হিসেবে উল্লেখ করেছে। জাতিসংঘ বলছে হিউম্যানিটেরিয়ান ক্যাটাসট্রফি।  কিন্তু ওআইসি বা মানবতা ও গণতন্ত্রের ফেরিওয়ালা সাহেবেরা এবং মুসলিম দেশ গুলো বেহায়াপনার কালা চশমা পড়ে বসে আছে, তারা এই সৌদি বর্বরতার কোন প্রতিকার করছেনা। অবশ্যই মনে রাখবেন কোন ঈশ্বর বা খোদা তা’লা কোন প্রতিকারে এগিয়ে আসবেন না কারন ধনবান আর ক্ষমতাবানদের কুঠিতে বসবাস করেন তেনারা তাই নিজ জাতের বিনাশে বা নিবৃত্ত করতে কেন আসবেন তিনি? আবশ্যই আমি বলতে পারি তিনি থাকলে তো আসবেন? আমরা জানতে চেয়ে ব্যাকুল সৌদি আরবকে কোন ইকনোমিক্যাল সেঙ্কশনের মুখোমুখি হতে হচ্ছেনা। কেন? ডোনা ট্রাম্প কোথায় আর কে ধরে রেখেছে তাঁর ট্রাম্প কার্ড?
২০১৫ সালে এই যুদ্ধ শুরু হবার পর থেকে অদ্যাবধি সৌদি আরবের কাছে আমেরিকা ও ব্রিটেন ৫বিলিয়ন আমেরিকান ডলারের অস্ত্র বিক্রি করেছে। এই সকল কিছুই পয়সা ও ক্ষমতার খেলা। কিন্তু এর মূল্য পরিশোধ করছে সাধারণ মানুষ।
ইয়েমেনিরা কি মূল্য পরিশোধ করে যাচ্ছেন?
          এই যুদ্ধ ১০০০ দিন পারি দিতে দিতে ৮মিলিয়ন লোক অনাহারের মুখোমুখি হবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
            ২। ১৪ ডিসেম্বর ১৪ পর্যন্ত ৯২৪৫জন প্রাণ হারিয়েছেন বা খুন হয়েছেন। যার মধ্যে ৫৫৫৮ জন ছিলেন নিরস্ত্র সিভিলিয়ান।
            ৩। ৫২৮০০ জন আহত বা পঙ্গু হয়েছেন। যার মধ্যে ৯০৬৫ সিভিলিয়ান।
            ৪। ৫ বছরের নিচে প্রায় ৪০০০০০ শিশু মারাত্মক পুষ্টি-হীনতায় ভুগছে।
            ৫। ১৬.৪ মিলিয়ন লোক প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ৭০০০ চিকিৎসা কেন্দ্রের মাঝে মাত্র ৩৫০০ চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা নেয়ার ব্যবস্থা কোন রকম করে চলছে।
            ৬। কলেরায় ২২৪৮ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ১ মিলিয়ন মানুষ কলেরায় আক্রান্ত হয়েছেন।
            ৭। ৩ মিলিয়ন মানুষ নিজ বাসস্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। ২ মিলিয়ন মানুষ বাস্তুহারা রয়েছেন।
            ৮। প্রাণ বাচাতে পলায়ন-রত মাইগ্রেন্টদের নৌকা, পাবলিক যানবাহন, রাত্রিকালীন বাজার, আবাসিক ভবন, সরকারি স্থাপনা হামলার শিকার হচ্ছে।  

জাতিসংঘের নিজস্ব অনুসন্ধান বলছে, সৌদি কোয়ালিশন ২০১৭ সালে ৬৭০ জন শিশুকে হত্যা বা আহত করেছে এবং  ২০১৬ সালে ছিলো ৬৮৩ জনকে হত্যা বা আহত করা হয়। অপর দিকে ২০১৭ সালে স্কুলের উপর হামলার সংখ্যা ছিলো ১৯টি এবং ২০১৬ ছিলো ২৮টি। হাসপাতালের উপর ২০১৭ হামলা হয়েছে ৫টি এবং ২০১৬ সালে তা ছিলো ১০টি।
এই অগাস্ট মাসেই স্কুলের শিশুদের একটি বাসে সৌদি বাহিনী হামলা চালালে ৪৩ জন প্রাণ হারায় যার মধ্যে ২৯জন ছিলো শিশু।  



এখন পর্যন্ত ইয়েমেনের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ কৃষি ও গ্রামীণ পশুপালনের ওপর আংশিক বা পুরোপুরি নির্ভরশীল। এফএওর তথ্যমতে, ইয়েমেনের মাত্র ২ দশমিক ৮ শতাংশ ভূমিতে চাষ হয়।

উদ্দেশ্যমূলক-ভাবে ইয়েমেনের ছোট কৃষি খাতেও হামলা চালানো হচ্ছে। এতে করে যুদ্ধ-পরবর্তী ইয়েমেনে শুধু খাবারের অভাবই দেখা দেবে না, সেখানে মানুষের বেঁচে থাকার জন্য পুরোপুরি খাদ্য আমদানির ওপর নির্ভরশীল হতে হবে এবং সেই আমদানির সিংহভাগ যোগানদাতা হবে উপসাগরীয় দেশগুলো, যারা এ মুহূর্তে ইয়েমেনে বোমা বর্ষণ করছে। এতে করে তারা একই মৃত লাশকে দুবার খুন করে লাভবান হবার সুযোগ পাবে।

লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের ইমেরিটাস অধ্যাপক মার্থা মুন্ডি ইয়েমেনের কৃষি মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান জোগাড় করেছেন। এগুলো বিশ্লেষণ করে তিনি দেখেছেন, ‘সৌদি আরব ইয়েমেনের কৃষি অবকাঠামোতে হামলা চালিয়ে যে বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করে দিচ্ছে, তা এখন স্পষ্ট হতে শুরু করেছে।তিনি দেখিয়েছেন, ইয়েমেনের কৃষি ও সেচ মন্ত্রণালয়ের একটি সতর্ক প্রতিবেদন অনুসারে, দেশটির ২০টি প্রদেশের ৩৫৭টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে, যার মধ্যে আছে কৃষি-খামার, প্রাণী, পানি অবকাঠামো, খাদ্যের গুদাম, কৃষি ব্যাংক, বাজার ও খাদ্যের ট্রাক।
এর মধ্যে ইয়াসনিম, সাদাহ্ প্রদেশের বাকিম জেলা ও মারানের কৃষি খামারও আছে। মুন্ডি এই হামলাগুলোর সঙ্গে ইয়েমেনের ডেটা প্রজেক্টের পরিসংখ্যানের তুলনা করেছেন। ধ্বংসপ্রাপ্ত খামার, কারখানা ও মৃত প্রাণীর প্রচুর ছবি পাওয়া যাচ্ছে, কৃষকেরা বহুদিন ধরেই কাজে ফিরতে পারছেন না। মুরগি ও মৌমাছি পালন-শিল্প একেবারেই ধ্বংস হয়ে গেছে।
 জেনেভা কনভেনশনের সুস্পষ্টভাবে বলা আছে: সুনির্দিষ্টভাবে বেসামরিক মানুষের জীবনযাপন অসম্ভব করে তোলা বা অন্য যেকোনো উদ্দেশ্যেই হোক না কেন, বেসামরিক মানুষের জীবনযাপনের জন্য অপরিহার্য উপাদান যেমনখাদ্যবস্তু, কৃষিজমি (যেখানে চাষাবাদ ও প্রাণী চরানো হয়) ধ্বংস, আক্রমণ, সরানো বা তাকে অকার্যকর করা নিষিদ্ধ।
ইতিমধ্যে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠেছে। কাহাতক আমরা দেখতে থাকবো?
সৌদি আরব ইয়েমেনে এই হামলা চালানো বাবদ প্রতি মাসে ২৫ কোটি ডলার ব্যয় করছে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক এ হিসাব দিয়েছে। অথচ সৌদি আরব নির্মাণ কোম্পানিগুলোর দেনা পরিশোধ করতে পারছে না।


জালিম, জুলুম ও ভদ্র পাড়ার ঈশ্বর

আজ সকালে ঘুম ভেঙ্গে গেলো একটা স্বপ্ন দেখতে দেখতে... কি দেখেছিলাম স্বপ্নে?
আমি ও আমার এক পরিচিতজন কোন এক বিশাল ক্যাম্পাসে আরো শত শত মানুষের সাথে বসে আছি, কারো মাঝে উতকন্ঠা আছে, আছে উদাসীনতা অথবা শুধুই সময় কাটানো আমেজ। হঠাত করে একদল লোক মাঠের এক কোনা থেকে গুলি ছুড়তে ছুড়তে এগিয়ে আসছে। সাথে সাথেই যা হবার তাই, মানুষ দিক-বিদিগ ছুটোছুটি শুরু করেছে। মানুষের চিৎকার! আর আমারও ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো...মোবাইলটা হাতে নিলাম। নিউজ পড়তে শুরু করতেই সিরিয়ায় কুকুর-মেকুর আর পেঁচার সম্মিলিত আক্রমণের খবর পড়েই মনটা খারাপ হয়ে গেলো।
বিশ্বের বড় বড় অস্ত্রের মজুতদার, ব্যাবসায়ি্গণ ক্যামিকেল ওয়েপন রাখার এবং ব্যাবহারের বাহানায় হামলে পরেছে একটি দেশে যে দেশে আলরেডি তার দেশের জারজগণ যুদ্ধ লিপ্ত...যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় অলরেডি লাখ লাখ মানুষের জীবন বিপন্ন।
একদল আসাদকে সড়াতে চায়, একদল গণতন্ত্র ফেরী করতে চায়, একদল নিজ সীমান্তে একজন দাসানুদাস দেখতে চায়, একদল নিজেদের মোড়লদারী পূণপ্রতিষ্ঠা করতে চায়, একদল জাতীয় উন্নয়নে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে অস্ত্রের কারবার বাড়াতে চায় আর একদল ভাবে ইমাম মাহাদী এসে সব ঠিক করে দিয়ে যাবে।
এই যে এতো দলের মহাকাব্য তার শুধু দুটি চেহারা, জালিম ও মজলুম। আমরা এই বিষয়টি বুঝতে দেরী করছি। আমরা আফগানিস্তান দেখেছি, আমরা ইরাক, লিবিয়া, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, আফ্রিকান দেশগুলোকে দেখেছি। আগেই বলা বাহানায় এরাও যুদ্ধ যুদ্ধ খেলেছেন। নিজের সাজানো বা চলনসই দেশে দেখেছেন অন্তত যুদ্ধ-উত্তর দেশের চেয়ে যুদ্ধ-পূর্ববর্তি দেশকে এমন তর দেখেছেন। সেই দেশগুলোতে জাতীয় ইনফ্রাষ্ট্রাকচারের বিনাশ, শিক্ষা ব্যাবস্থার অধঃপতন, চিকিৎসা ব্যাবস্থার বেহাল দশা , বিচার ব্যাবস্থার ব্যার্থতা, দূর্নিতি চরম বিকাশ ছিলো যুদ্ধের উপহার বা গনিমত। প্রশ্ন হলো সেই দেশের সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের কাছে জানতে চাইলে তারা কি যুদ্ধের পক্ষে থাকবেন? কখনোইনা না। এই যুদ্ধ তাদের উপর চাপিয়ে দেয়া অন্যায্য অন্যায় যুদ্ধ ব্যাবসা। এতো এতো ধ্বংসের চেয়ে একজন হিটলার-মুসোলিনি কিংবা বুশের-ব্লেয়ারের ভূতের সিষ্টেমেটিক অত্যাচারও মানুষ মেনে নেবে তবুও গণতন্ত্র আর আরব বসন্তের পিরিয়ডের রক্তে স্নান করতে চাইবেনা।
বাংলা ভাষায় যে মগের মুল্লুকের কথা আমরা শুনেছি, কিংবা তুঘলকি কারবারের কথা আমরা শুনেছি এসব কিছুই আজ এদের কাছে নস্যি মাত্র। একটি স্বাধীন-স্বার্বভৌম রাষ্ট্র অপর একটি স্বাধীন স্বার্বভৌম রাষ্ট্রের উপর হামলা চালায়, রাতে নয়, দিনে-দুপুরে। সমস্ত বিশ্ব আজ ভুলে গেছে জিজ্ঞেস করতে এই যেকোন অজুহাতে অন্যকে আক্রমনের হালালা তারা কোথা থেকে পেয়েছেন? কিসের অধিকারে, কিসের দায়ে তারা এমন বর্বরতার দিকে এগিয়ে চলেছেন? আমি শুধু একটি উত্তরই দেখি, ক্ষমতা, অর্থ আর ব্যাবসার নেশায় তারা এমনটা করে।
মাত্র একদিন আগে ফ্রান্সের মেকুর রাশার খেকশিয়ালকে ফোন দিয়েছে, বেয়াই-বেয়াইন টাইপ কথা বলেছে, আমেরিকার কুকুর কিংবা ব্রিটিশ পেঁচা নীরবে ছক কাটায় ব্যাস্ত ছিলো তারপর আজ সকালে তারা ঝাপিয়ে পড়লো তথাকথিত টার্গেটেড হামলা বাস্তবায়নে। তারা মাদের বলতে চায়, আমরা সিভিলিয়ানদের হামলা করিনা (ভুলে যাবেন না, স্কুলে, হসপিটালে তাদের হামলার কথা!), কেন ভুলে যাও হে হারামজাদারা সেই দেশের টয়লেট থেকে রাজ প্রাসাদ সব কিছুই সেই দেশের মানুষের, তাই তুমি তোমার পশু মুখ যেখানেই দেখাও না কেনো তা সেই দেশের সর্বনাশের জন্য যথেষ্ঠ।
যারা একটু আধটু খবরাখবর পড়েন তারা জানেন যে যুদ্ধে বিদ্ধস্ত্ব একটি দেশ সিরিয়া। আসাদ তো দূরে থাক ট্রাম্পের মতো খবিসও যদি সিরিয়ার শাষক থাকত তবে এহেন অবস্থায় নিজ দেশে কোন ক্যামিকেল এটাক করার সাহস বা সুযোগ কোনটাই নিতোনা।
মাত্র কয়েকদিন আগে ট্রাম্প ভাড়টা বলেছে তার দেশের জারজদের সিরিয়া থেকে তুলে নেবে আর তারপরই ক্যামিকেল এটাক! মনে আছে গত বছরের ক্লোরিন এটাকের কথা, মনে আছে সেই ড্রামা!?
প্রত্যেক একনায়ক, স্বৈরাচার শাষণ করতে চায়, জুলুম করতে চায়, সে তার ক্ষমতা থেকে উতখাত হতে চায়না সেখানে কোন যুক্তিই আসাদকে এমন তর বুর্বকের কাজ করার উতসাহ যোগায় না। এছাড়া রাশিয়ার জন্য সিরিয়া একটি সাকসেসের বিশাল মডেল, তারাও চায় না এই সফলতা ভেস্তে যাক।  তবে পেছনের ড্রামাটি কি? আপনাকে বক্সের বাইরে ভাবতে হবে।
অন্যায় অন্যায্য সব খানে। আমরা সবাই বোবা প্রাণীদের চেয়েও অসহায় হয়ে আছি। কিসের স্বাধীনতা? কিসের মানবতা? শক্তিমানই সঠিক এবং একমাত্র সত্য... বাকি মানুষ সব ঘুমিয়ে আছে, চোখ বন্ধ করে আছে, কানে তুলো দিয়ে আছে... তবে কিছু মানুষ চরম বিপ্লব করছে... যেমন কুকুর-মেকুর,প্যাচার কুশ পুত্তলিকা দাহ করা, মিছিল করে ক্লান্ত হয়ে আখের রস সেবন করা, জুমআর নামাজে “আল্লাহ তোমার কাছে বিচার দিলাম” বলে চেচানোর মতো কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আর এটা ঈমানের সর্বোচ্চ প্রকাশ...
আপনাদের কাছে একটাই প্রশ্ন রাখি, আপনি কি গত দুই হাজার বছরের ইতিহাসে এমন কোন জালিমের বিচার শুনেছেন বা পড়েছেন  যারা এখনের জালিমদের চেয়ে কম বা বেশী ছিলো?
আমি খুজে পাইনি। আমি দেখেছে শক্তিমানেরা আরো শক্তিশালী হতে, ধনী আরো ধনী হতে, জালিম আরো বড় জালিম হতে... কোথায় গেলো এতো মজলুমেরে কান্নার জল, কোথায় গেলো এতো এতো প্রার্থণা?
আমি জেনেছি কোন ঈশ্বর জালিমের মহল্লায় থাকেনা, আসেনা... দুনিয়ার সবচেয়ে বড় ঘুষখোর এই ঈশ্বর মহোদয়। গত দুই হাজার বছরেও তেনার কোন মজলুমের দরজায় এসে দাড়াতে দেখিনি। ইয়েমেন থেকে ফিলিস্তিন,     

   

Saturday 11 August 2018

ঈমাম ও সম্মান।


শুনেছেন খবর একখান, জবর খবর। এরশাদ মামু এইবার ইমাম অয়েচেন। ইসলামি মহাজোটের চেয়ারম্যান আবু নাচের ওয়াহেদ পারুক সাব বুলেচেন, ইমামতির জইন্য কিচু যোগ্যতার প্রয়োজন, সেটা এরশাদ মামুর আচে। জব্বর আচে। তিনি আরও বলিলেন, আমরা তাঁকে ইমামতি দিয়েচি কারন কোনো মহিলাকে ইমামতির দায়িত্ব দেওয়া যায় না !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
কেনেরে মুমিন? কেনে যায়না?
তোমার চৌদ্দগুষ্ঠির কসম লাগে পোলায় কি বিয়াইতে পারে এমন যুক্তি আর দিয়োনা...
৩৪টি বলদের দল লিয়া করলা জোট, নাম দিচ ইসলামি মহাজোট !!! কোন মহিলা পেটে ধরছে তোমার মতো নিমক হারামকে, লালন পালন করতে পারছে, তোমাদের সবগুলারে কানে ধইরা বড় করতে পারছে, দাড়ি-মোছ গজাইয়া আইজ বলো সেই মহিলাগণ তোমার নেতা হইতে পারবোনা...
বাংলাদেশের কোন মহিলা এরশাদ কাগুর মতো লুইচ্চা, বদমাশের ইমাম হইতে চাইবে না তাই তোমাদের ইমামতি তোমরা নিজের বগলে রাখো। এরশাদ কাগু হাম্বালীগের প্রধান এবং জবর দখল করা প্রাই মিনিষ্টারের বিশেষ দূত, ভুলিয়া যাইয়োনা।
এরশাদ কাগু বলেচেন, ইসলামের চেয়ে বড় শক্তি আর নেই কিন্তু অনৈক্যের কারণে ইসলাম আজ ধ্বংসের মুখে ইসলামকে দেশে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে ইসলামের আওয়াজকে বুলন্দ করতে হবে
 এই যে ইসলামই বড় শক্তি, এই চিন্তাই মুসলিমদের পতনের সব চেয়ে বড় কারন। কাগুর সাথে কাঠ মোল্লাদের ঐতিহাসিক ৬ দফা চুক্তি হয়েছে, সেই ছয় দফার চুক্তির উল্লেখযোগ্য হচ্ছে পবিত্র কোরআন-সুন্নাহবিরোধী আইন না করা, সংবিধানে আল্লাহর প্রতি আস্থা বিশ্বাস কথাটি পুনঃস্থাপন করা, কওমি শিক্ষার সনদের স্বীকৃতি দিয়ে জাতীয় সংসদে আইন পাস করা, সব ধর্মের লোকদের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করা
যদি সত্য সত্যই চাও সব ধর্মের লোকদের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত হউক তবে কেন বলোনা, কোরান-হাদীস,গীতা-রামায়ন,বাইবেল সহ আরও যতো ধর্মীয় গ্রন্থ আছে সবগুলোর বিরোধী কোন আইন করা যাবেনা। কেন তুমি চাওনা তোমার আল্লাহর সাথে সাথে ভগবান আর জিসাসের অথবা আদিবাসী-পাহাড়ী ঈশ্বরের কথাও সংবিধানে লিখা হোক। তারপর এই বাংলাদেশ পুরাই ধর্মময় একটি রাষ্ট্রে রুপান্তরিত হবে। এটলিষ্ট কোন সংখ্যালঘু ব্যাক্তি তার জোয়ান মেয়ে ভয়ে থাকবেনা যে যেকোন অযুহাতে অযু করে কোন মুসলমান বা হরে রাম বলে কোন শক্তিমান তার জান-মাল-সম্মানকে হালালা করে ফেলবে।
এরশাদ কাগু কতোবড় মুসলমান তা বুঝাতে তিনি বলেছেন,
ইসলামের জন্য সবচেয়ে বেশি কাজ করেছেন তিনি তাঁর দল জাতীয় পার্টি তিনি বলেন, ‘ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করেছি শুক্রবারকে সাপ্তাহিক ছুটি করেছি সব মসজিদের পানি বিদ্যুতের বিল মাফ করে দিয়েছি সবই করেছেন কিন্তু মানুষকে বোকা বানানোর জন্য করেছেন তা বলেননি। আপনার নিরাপত্তায় থাকা স্পেশাল এডভান্স টীম এক সাপ্তাহ আগে থেকেই গ্রাউন্ড করতে শুরু করলেও কোন একদিন জুম্মার নামাজে এসে বলেছেন, গত রাতে (স্বপ্ন দোষে) সেই মসজিদে নামাজ পড়তে দেখেছেন তাই আপনি এই মসজিদে শরিক হতে এসেছেন। বিনা প্রয়োজনে, জনগণের দাবী না থাকা সত্ত্বেও নিজেকে পপুলার করার জন্য বাংলাদেশের কপালে ইসলাম একে দিয়েছেন। যেমনটা জিয়া সাব করেছিলেন। ওহ ভুলেই গিয়েছিলাম আপনাদের ট্রেনিং তো পাকিস্তানে হয়েছে!!!
এই সভায় চার চান লাগাতে উপস্থিত ছিলেন আরেক মহারতি, জনাবে বুলবুলি, খেলাফত মজলিসের আমির সিলেটের কাজীরবাজার মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমান। তিনি  বলেন, ‘ইনশা আল্লাহ আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশে ইসলামি শাসন কায়েম করব বিজয়ের নিশানা উড়িয়ে দেব উড়িয়ে দেন, কিন্তু ভোটের মাধ্যমে দেন। জঙ্গিবাদের মাধ্যমে নয়। জঙ্গিদের, মুজাহিদদের থেকে উৎসাহিত হয়ে নয়। মাদ্রাসার ছোট ছোট ছেলেদের নিজ রাজনীতিক লালসায় ব্যাবহার করে নয়। তাদের দারিদ্রতাকে পূজি করে তাদের নামে সংগৃহিত টাকায় নিজ বাড়ি করে নয়।

এরশাদের নেতৃত্বে বর্তমানে ৫৮ দলের সম্মিলিত জাতীয় জোট আছে খেলাফত মজলিস এর সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় সম্মিলিত জাতীয় জোটে জাতীয় পার্টিসহ মোট দলের সংখ্যা দাঁড়াল ৬০ এই দলগুলোর বেশীর ভাগ ফলোয়ার বা সমর্থকগণ দরীদ্র মাদ্রাসা পড়ুয়া সমাজ। বাংলাদেশ এমন এক দেশ যে তার নিজের জনগণের একটি অংশকে যুগের পর যুগ তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক বা তারও নিচে করে রেখেছে। এরা আর কেউ নয়, বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসার ছাত্র সমাজ। এরা সাম্রিক-আধাসামরিক, বেসামরিক বা সরকারি দপ্তরের কেরানি তো বহু দূর , পিয়ন হবার অনুমতি নেই। এদের ঠিকানা মসজিদ, মাদ্রাসা, ফসলের মাঠ, বেশী থেকে বেশী দোকান। অহ ভুলেই গেছি ডেষ্টিনি বা আপনাদের লিল্লাহ, সদকা, ফিদিয়া গ্রহিতা হিসেবে তো আছেনই। স্বাধীনতার ৪ দশক হলেও আজও এদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়নি। কিন্তু এদের উপর ভর করে, এদের রক্তে নিজেদের রাস্তা রঙ্গিন করে ক্ষমতার পালা বদল চলে আসছে যুগের পর যুগ। হায়রে বাংলাদেশ তুমি তোমার সন্তানের মাঝেও করে রেখেছ ভেদ। ধিক এই নেতা, দেশ আর সংবিধান যা দিতে পারেনা মানুষের সম্মান।
  

কৃতজ্ঞতা @ দৈনিক প্রথম আলো।