Friday 13 December 2019

নিজের পায়ে কুড়াল মারা জাতির প্রতি...





রাত তখন ২টা, বৃটিশরা বলেন সকাল ২টা। এক্সিট পোল থেকে নিরাশা দিয়ে শুরু করে এক সময় নিজের ভেতরই আওয়াজ পেলাম এবারো হবেনা। গণ- মানুষের সরকার আসবেনা। এরপরও যদি কিছু হয়ে যায়, হয়ে যাক এমন আশা নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। সকালে উঠে মন খারাপের দিন শুরু করলাম।
কেন জেরেমি করবিন সরকার ফর্ম করতে পারলেন না, কি কি মহাপাপে তিনি পাপি ছিলেন তা খুড়ে খুড়ে বের করতে প্রেস্টিটিউটরা কঠোর পরিশ্রম শুরু করে দিয়েছেন এবং আরও করবেন।
এই ইলেকশন একটি প্রশ্ন নিশ্চিত দাড় করাবে, গণপ্রতিনিধিগণ কি জনগণের বাবা হয়ে উঠা বন্ধ করে তাদের সার্ভেন্ট হয়ে উঠবেন কিনা? যে সার্ভেন্ট শুধুমাত্র তাই করে যা তার মুনিব চায়! গণপ্রতিনিধিগণ কি পপুলিজম আর মিথ্যার বেসাতীর পসরা সাজিয়ে কর্পোরেটদের সেবা দাশ হতে সচেষ্ট হবেন? যদি এমনটা হয় ভবিষ্যতের রাজনীতি তবে তার দায় কার?
জনগণ কি তাদের পায়ে মারা কুড়ালের প্রায়শ্চিত্ত করতে জেগে উঠবে কোনদিন ? নাকি একধরণের জাতীয় উদাসীন এবং প্যারালাইজড স্তরে পৌছাবে।
ভারতের মোদি ও বিজেপি, আমেরিকার ট্রাম্প ও রিপাবলিকান, ব্রিটেনের বরিস ও কনসারভেটিভ তখনই সফলতা পেয়েছে যখন তারা মেজরিটিকে গ্রান্টেড করে নেয়নি এবং মেজরিটিকে শুনেছে। বাংলাদেশেও তাই হবে, সময়ের ব্যাপার মাত্র।
সন্তানের ভালো সকল বাবা-মা চান তারপরও কোন কোন সময়ে সন্তানদের উপর তাদের ভালোর জন্য সিধ্বান্ত চাপিয়ে দিলে তা বুমেরাং হয়ে যায়...এই ইলেকশন তারই সমার্থক ছবি। ব্রেক্সিট ব্রিটেনের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবেনা... “টেইক বেক কনট্রোল” নামের আকর্ষক ফ্রেইস শুধুমাত্র কথাতেই, একই রকম “গেট ব্রেক্সিট ডান”।
মানুষেরও সবকের প্রয়োজন আছে। তবে টাইম বোমা বা পিন ছাড়া গ্রেনেড হাতে নিয়ে ঘুরলে শুধু যে বহনকারি খতম হয় তা কিন্তু নয়, তার আশ-পাশের দোষী বা নির্দোষ সকলেই ধ্বংসের স্বাধ লাভ করে।
সব শেষ প্রশ্ন, কেমন নেতা চাই? এই প্রশ্নের ট্র্যাডিশনাল যে উত্তর আছে তা শুধুই কেতাবি... মানুষ এমন নেতা চায়, যে থুরাসা বদমাশ, থুরাসা বেইমান, থুরাসা খুরুস আর থুরাসা ইনসান। কারন ভালোর অস্তিত্বে তারা বিশ্বাস ধরে রাখেননি। পলিটক্সের এই খেলায় আজ জনগণও জানে, এই গেইম বেইমানির...      


1 comment: