আমার প্রথম ই-বুক
মাদ্রাসা ও জঙ্গিবাদ।
পৃথিবীর
সব
দেশেই
ভীন্ন
ভীন্ন
মানুষের
মাঝে
কলহ
হয়ে
থাকে, কলহের
কারনও
নানাবিধ
হয়ে
উঠবে
কিন্তু
যখন
কোন
দেশের
মানুষ
সংখ্যার
বিবেচনায়
সংখ্যাগরিষ্ঠ
মানুষ
সংখ্যা
লঘিষ্ঠ
মানুষকে
নির্যাতন
করবে
তখন
আর
তা
মানুষের
কাজ
বলে
বিবেচনা
করা
যায়
না।
এই
অপরাধগুলো
সম্পর্কে
যদি
মানুষের
দৃষ্টিভঙ্গী
এমন
হয়
যে
এসব
স্বাভাবিক
বা
হতে
পারে
বা
গ্রহণ
যোগ্য
কিংবা
এই
দেশে
ঐ
দেশেও
হচ্ছে
বা
হয়
তখনই
জাতীর
বিবেকদের
জেগে
উঠতে
হবে
কেননা
এমন
চিন্তা
মানুষকে
যুক্তির
বিপরীতে
বিশ্বাসের
বল
দিয়ে
কাজ
করায়।
যে
কোন
ঘটনার
পেছনে
কারন
বা
ইন্দন
থাকতে
পারে
কিন্তু
তা
কোন
ভাবেই
অন্য
আরও
একজন
মানুষকে
নির্যাতনের
বৈধতা
দেয়না।
একটি
ক্লাসিক
উদাহরণ
থেকে
বাঙ্গালী
মুসলমানের
দ্বিখণ্ডিত
হিপোক্রেট
মনের
লুকিয়ে
থাকা
দিক
আরো
ভালো
বুঝা
যাবে, বাংলাদেশে
অধিকাংশ
মানুষের
মাঝে
হিন্দু
মানুষের
প্রতি
এক
গোপন
ক্ষেদ, অপসন্দ
ভাব
,
নীচু
চিন্তা, বিরাজ
করে।
বৃটিশ
আমলে
হিন্দু
এলিট
শ্রেণীর
কায়েমী
স্বার্থে
সংশ্লিষ্ঠ
বর্বর
কাজের
জন্য
হিন্দু
বিদ্বেষ
থাকা
সত্ত্বেও
হিন্দু
মুসলমান
সবাই
ধর্মাচার
না
করা
মানুষ
সইতে
পারেন
কিন্তু
নাস্তিকতা
সইতে
পারেন
না।
একই
সমাজে
বসবাস
করা
মানুষদের
মাঝে
এমন
চিন্তার
মিল
থাকা
স্বাভাবিক
হলেও
এঁকে
অপরের
প্রতি
গোপন
অবিশ্বাসের
বাসার
বুনিয়াদ
গাথা
হয়
অন্য
কোন
খানে...
আমাদের
সমাজের
পাড়ার
মসজিদে
প্রতি
সপ্তাহে, বিশেষ
দিবস
সমুহে, পালা
করে
বিদ্বেষের
যে
জপ
মানুষের
কানে
তুলে
দেয়া
হয়
তা
সমাজের
ভেতর
অসহনশীলতার
স্থায়ী
আবাস
গড়ে।
সেই
অসহনশীলতা
থেকে
মেজরিটির
একটি
অংশ
যখন
দেখে
ভোগবাদ
তাঁর
বিশ্বাসকে
গ্রাস
করছে
তখন
সে
তুলনামূলক
ভাবে
আরও
গোড়া
এপ্রোচের
দিকে
ধাবীত
হতে
থাকে।
বাংলাদেশে
যারা
মাদ্রাসায়
পড়াশুনা
করেন
আর্থ-সামাজিক
বাস্তবতায়
সমাজের
সবচেয়ে
ননরিকগনাইজ
অংশের
সাথে
জড়িত
থাকায়
এবং
কোরআন
হাদীসের
ভেতর
থাকা
এলিমেন্ট
যা
তাকে
আল্লাহর
আইনের
রাষ্ট্র
গঠনে
হরদম
ডেকে
যায়
তাঁর
মিলনেই
স্বশস্ত্র
বিপ্লবের
স্বপ্ন
দেখতে
থাকে।