Sunday 10 September 2017

Lilu and Sir God...

লীলু ও ঈশ্বর মহোদয়...














(সত্যেরও উর্ধ্বে নিখাত সত্য থেকে প্রেরণা নিয়ে এই গল্পের সৃষ্টি)।
জিগজ্যাগ রোড যে কি তা আমি এই ক্যান্টনমেন্ট এরিয়াতে না আসলে এতোটা হয়তো বুঝে উঠতে পারতাম না। পাকা যে সড়কটি খালের প্যারালালি চলে গেছে ভেতরে অনেক ভেতরে যেমন দুষ্ট ছেলেরা লুকোচুরি খেলতে খেলতে কোথায় কোথায় কোন কোঠায়, আরালে বা কোন ডিবিতে বা ঝোপঝাড়ে হারিয়ে যায় তেমনি এই রাস্তাটিও চলে গেছে পাহাড় কে কখনো পাশে নিয়ে কিংবা পিছনে ফেলে। ফায়ারিং রেঞ্জের শুরুর সীমানা থেকেই পাহাড় ও কোমল হালকা শীতল আবেশ টা হারিয়ে যায়।  জীবরাঈলের দুটি ডানার মতো করে দুপাশে খোলা ফসলের মাঠের মধ্যখান দিয়ে পাহাড়ের আড়ালে হারিয়ে যাই এই সড়কটি। ঠিক সেই সড়কের মোড়ে যেখানে ফায়ারিং রেঞ্জের শেষ ও সবচেয়ে বড় ফায়ারিং বে’টি দাঁড়িয়ে আছে সেখানেই লীলুর সাথে আমার দেখা।

Saturday 26 August 2017

Divorce: Triple Talak (Islamic Divorce)





তিন তালাক, ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট এবং তালাক বিষয়ক রিফরমেশন ইন ইসলামিক সোসাইটি নিয়ে আমার ভাবনা প্রকাশ করবো আগামীকাল।

আমি চাইছি তিন তালাক নিয়ে আপনার ভাবনা আমাদের সাথে শেয়ার করুন। ইসলামিক কিংবা অতি সাধারণ একজন মানুষের পয়েন্ট অব ভিউ থেকে আপনি এই ডিসকাশনে যোগ দিতে পারেন। তালাকের অধিকার, প্রয়োজনীয়তা, একজন স্ত্রী বা মহিলার সম্মান, তার অধিকার এবং পুরুষ নিয়ন্ত্রিত সমাজ ব্যাবস্থা, তালাক বানিজ্য, হিল্লা বিয়ে ইত্যাদি আপনার আলোচনায় সংযুক্ত করতে পারেন অথবা এই বিষয়ে যেভাবে আপনি চান সেভাবেই আলোচনা রাখতে পারেন।

email me- arolee.ce@gmail.com

Thursday 24 August 2017

Saudi police detain 14-year-old boy for dancing in the street







মাত্র ১৪ বছর বয়স। তাকে শিশু বা কিশোর যাই বলেন না কেন, অন্তত তাকে খুনি, ডাকাত, দেশদ্রোহী, সমাজ বিনষ্টকারী বলবেন না কারন এসবের কিছুই সে করেনি। তাকে ফ্যাভিকলের আঠা বলা যাবেনা যার কারনে সবাই তার সাথে চিপকে যাবে... আর সে বব মারলেও না।
কি তার অপরাধ? সে রাস্তায় দাড়িয়ে কানে হেডফোন দিয়ে কমর দুলিয়ে দুটো ঠুমকা দিয়েছে। তার জন্মের অপরাধ সৌদিআরবে সে জন্মেছে। যেখানে মানবাধিকার নেই, মানুষের মর্যাদা নেই সেখানে কালচার আর ধর্ম রক্ষা জবরদস্ত ভাবে আছে। কালচারের নাম দিয়ে বাদশাহ ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে তলোয়ার নিয়ে নাচতে পারেন কিন্তু দিন দাহারে এক কিশোর হেডফোন কানে দিয়ে সবার সামনে নাচতে পারবেনা। এক বছর আগের এক ভিডিওর জন্য তাকে ও তার বাবাকে লিখিত মুচলেকা দিয়ে শুদ্ধতার পথে হাটতে হবে। সৌদি নামের বদ রাষ্ট্রটিকে বিশেষ করে রয়াল ফ্যামিলিকে ইরাক আফগান বা সিরিয়ার মতো করে দিয়ে এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেয়াল দিয়ে এদের ঘেরে দিয়ে এদেরকে সেই ১৪০০ বছর আগে পাঠিয়ে দিলে পৃথিবী আরো সুন্দর হয়ে উঠবে।
নিন্দা এই রাষ্ট্রের মূক বধির আর কালা জনগণকে যারা আজ জালিম শাহীর বিরুদ্ধে দাড়াতে চাইছেনা। নাচ ও গাণ নিয়ে ইসলামের রিফরমেশন জরুরী। সময় বদলেছে, এই শতাব্দীতে রিলেভেন্ট থাকতে এখন ইসলামের ইন্টারপ্রিটেশন এবং এটিচ্যুডও বদলানো জরুরী।

Title Credit- The Guardian

Monday 21 August 2017

Lipstick Under My Burkha



সুদানের পার্লামেন্টিয় ইতিহাসে সর্বপ্রথম নারী সদস্য ফাতিমা আহমেদ ইব্রাহিম, কিংবা শ্রিমাভো বন্দরনায়েকে অথবা আমাদের খালেদা-হাসিনা এবং মালালা যে নামগুলো আমাদের আশার আলো দেখায় নারীমুক্তির, এর বাস্তবতা কতোটুকু?

Friday 11 August 2017

আজকে জনৈক ল’ইয়ার মাহমুদুল হক মুন্সির একটি পোষ্ট নিয়ে জানতে চাইলেন, আমি সেই পোষ্টটি পড়িনি। উনি জানালেন...
পরকিয়া নিয়ে মুন্সি যে লিখা লিখেছেন সেখানে নবী মুহাম্মদ য় উম্মে হানী এবং সেলিব্রেটি বিভিন্ন জন এবং বাংলাদেশের হুমায়ুন-শাওন, মজহার-রুপা জুটিও আছেন।
আমি বললাম দুজন প্রাপ্ত বয়ষ্ক মানুষের কনসেন্টে সেক্স বা রিলেশন নিয়ে আমার কোন ইস্যু নেই। পালক ছেলের বউকে বিয়ে করা নিয়ে যার যার কালচার অনুযায়ী মানুষ ভাববে, আমি আমার কালচার দিয়ে আরেক জনকে বিচার করবোনা তবে বলপ্রয়োগ ও বাল্য বিবাহ, শিশুকাম নিয়ে আমি প্রশ্ন তুলব, খুজবো আর জানতে চাইবো যেই খোদা ভবিষ্যত জানে সে কেন বুকিং দিয়ে রাখাতে গেলো?

ধর্ম বাড়ান, রিফর্ম করেন কিন্তু নিজেরটা সেরা বইলা ডিভাইন জোচ্চুরিটা করবেন না...

ভালো থাকেন, ভালো রাখেন...

Tuesday 23 May 2017

ম্যানচেষ্টার হামলাঃ এটি শুধুই একটি ভাবনা



এটি শুধুই একটি ভাবনা...আমার আহবান জাষ্ট একবার ভেবে দেখুন, ক্ষতি হবেনা...
বর্তমানে ব্রিটিশ মিডিয়া সেটি প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক্স যা'ই হোকনা কেন তাতে খুব সামান্য হলেও পরিবর্তন এসেছে... কি পরিবর্তন ? তারা জেরেমি করবিন ও লেবারকে নেগেটিভ কাভারেজ না দিতে বাধ্য হয়েছে। ডেমিয়েন গ্রীন, বরিস জনসন, আম্বার রাড, মাইকেল ফ্যালন কিংবা থেরেসা মে'র মতো ট্রেইন্ড অসত্য বলা কনসারভেটিভ কনদের লেবার নেতৃবৃন্দের হাতে পরাজিত ও স্বরুপ উদ্ঘাটিত হতে দেখছি। আমরা জরিপে লেবার ও কনজারভেটিভের ব্যাবধান রিসেন্ট সময়ে ৯ পয়েন্টে নেমে আসতে দেখছি। মানুষ লেবার নিয়ে কথা বলছে, ভাবছে। এই কাতারে সামিল বয়ষ্ক এবং তরুণ ও যুব সমাজ।

ম্যানচেষ্টারে যে বর্বর হামলা হয়েছে তাতে মিডিয়াতে স্বাভাবিক ভাবেই প্রাইম টাইম স্লটগুলো এখন এই বিষয়ে কথা হবে ইনফ্যাক্ট কথা হওয়া উচিত কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে দিন বদলের যে আহবান করবিন নিয়ে আসতে চাইছিলো তা ব্যাহত হবে।


থেরেসা মে’র বক্তব্য শুনলাম, সেই গতবাধা অল্টারনেটিভ ফ্যাক্ট প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা। থেরেসা ম্যানচেষ্টারে যে বর্বর হামলা হয়েছে সেই প্রেক্ষিতে তার নির্বাচনী ক্যাম্পেইন সাস্পেন্ড করেছে যা লেবার পার্টি বা করবিনের জন্য অপ্রত্যাখানযোগ্য শাস্তি বৈ কিছুই নয়।যে মূহুর্তে ব্রিটেনের তরুণ, যুবক এবং সাধারণ মানুষ জেরেমি করবিনের কথা শুনার সুযোগ পাচ্ছিলো, তার পলিসি নিয়ে ভাবছিলো সেই মূহুর্তে তরুণ-যুবাদের সমাবেশে হামলা এবং ফিয়ার কালচার প্রতিষ্ঠা আমাকে সন্দিহান করে তোলে? কেন নর্দাণ ইংল্যান্ড? কেন ম্যানচেস্টার ? আমি বলছিনা অন্য কোথাও হামলা হোক কিন্তু সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা অঞ্চল হিসেবে আলোচিত নর্দান পার্ট কেন হামলার জন্য বিবেচিত হলো?

Sunday 14 May 2017

নারী ধর্ষণ ও বাংলাদেশ এবং সভ্য মানুষের ব্যার্থতা।

ফেইসবুকে, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া বা ব্লগের দুনিয়ায় ইদানিং সবচেয়ে চর্চিত নাম আপন জুয়েলার্স। যে জুয়েলারি নারীর সৌন্দয্যের অহংকার বলে বিজ্ঞাপন করে বেড়ায় সেই প্রতিষ্ঠানের নাম আসে নারীর প্রতি সহিংসতায়।
আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার হোসেনের কুপুত্র সাফাত জঘন্য অপরাধ করেছে এবং সে গ্রেফতার হয়েছে। তার সহযোগী সাদমান সাকিফ (সাকিফের পিতা মোহাম্মদ হোসেন জনি ইভেন্ট এরেঞ্জমেন্টের ব্যাবসা করেন) ও গ্রেফতার হয়েছেন। কিন্তু যেই হোটেলে এই জঘন্য কাজটি হয়েছে এবং যেখান থেকে সিসি টিভি ফুটেজ ডিলিট করা হয়েছে, এমনকি ৭০২ নাম্বার রুমের টয়লেটে , রুমের অভ্যন্তরে ক্যামেরা স্থাপন করে রাখার জন্য বনানীর রেইনট্রী হোটেল এর মালিক কতৃপক্ষ বা ঝালকাঠি ১ আসনের সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুন এর পুত্র মাহিদ হারুন যে সাফাত-সাকিফের ফ্রেন্ড তাদের সম্পর্কে কেউ কিছু বলছেনা।(ভিকটিমের বক্তব্য থেকে প্রাপ্ত তথ্য) দেখে শুনে মনে হয় আওয়ামিলীগের এই এমপি বা তার পুত্রের নাম আমাদের কারো কারো শ্বশুর বা ভাশুরের নামের সাথে মিলে যায় তাই লজ্জা বসত নাম নেয়া হচ্ছেনা। যদি বলতে চান উনারা innocent until proven guilty তখন এই থিওরীর ভাজে ভাজে আপনি সাফাত-সাকিফ এবং আপন জুয়েলার্সকে সংযুক্ত কেন করতে পারেননি? অনুগ্রহ করে স্মরণ রাখুন, আমি পলিটিক্যালি কারেক্ট ভার্শন নিয়ে আমাদের সমাজের মাঝে চেপে রাখা ধর্ষকামি, ধর্ষন্মাদ বা পুরুষ পশুদের হাত থেকে মুক্তির পথ দেখিনা।
মেয়েগুলো কেন সেই হোটেলে গিয়েছিলো, কেন এক মাস সময় নিলো পুলিশ রিপোর্ট করতে, কেন সাফাতের স্ত্রী এখানে সংযুক্ত, মেয়েগুলো ব্ল্যাকমেইল করারা চেষ্টা করছে ধনীর ছেলেদের, কেন মেয়েটি মিউচুয়াল করতে দুজন বড় ভাই পাঠিয়েছিলো, তারা স্বেচ্ছায় ধর্ষিত হয়েছে কিংবা কেন কয়েকদিন আগের হযরত আলি ও তার মেয়ের জন্য মানুষ ও মিডিয়া দাড়ায়নি, এই সব কথার জবাব আপনি খুজতে পারেন, পুলিশ বা আদালত এগুলোর জবাব নিংড়ে নিংড়ে বের করবে।
এই কেন কেন করে আমরা যা করছি তা ধর্ষণের মতো জঘন্য কাজের জন্য আমাদের মাঝের ধর্ষকেদের বাহানা বের করে তাদের আরো একটি ধর্ষণের জন্য আহ্বান করছি।

Saturday 29 April 2017

এই সময়ের কাশেমনামা আর ঠগ বিপ্লবীদের লজ্জা...


কাশেম বিন আবু বকর নিয়ে যখন এতো কথা তখন নিজের ব্যাক্তিগত কিছু স্মৃতি রোমন্থন করা যায়...
প্রথম কাশেম বিন আবু বকর পাঠ...
আমাদের এক প্রতিবেশী ছিলেন সুজারা আপা। মেধাবী এই আপাটির বিয়ে হয়ে গেলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যের সাথে হঠাত করেই, তিনি তখন মহিলা কলেজে ইন্টারে পড়তেন। বৌ ছাড়া যখন সেই নতুন জামাই একা ফিরে যাচ্ছিলেন ফিরতি যাত্রায় আমি ও হিরা তাদের মেহমান হলাম। সুজারা আপা তার স্বামীর জন্য একটা বই ব্রাউন কাগজে সুন্দর ভাবে প্যাক করে উপহার দিয়েছিলেন। আমার চোখ তখন সেই প্যাকেটে মোড়ানো বইয়ে। কখন পড়ব আমি, ব্যাকুলতা আর সব আগ্রহ তখন সেই বইয়ে। নিজের উচাটন সামলাতে না পেড়ে প্যাকেট কিছুটা ছিড়ে ফেললাম, শুধুই নামটা পড়তে পেরেছিলাম।
বর্ষার সিজনে বন্দি আমি দোয়ারা বাজারের শরীফপুরে থাকতেই শেষ করেছিলাম সেই বইয়ের পাঠ।
আমার প্রথম কাশেম নামা ছিলো, ফুটন্ত গোলাপ। সম্ভবত আল্লাহ খোদা বা সুবহানাল্লাহ বলে বলে শরীরের রক্তের চাপ বাড়ানো আমার প্রথম পাঠ।

Saturday 22 April 2017

পাহাড় ও সমতলের মানুষের বাচ্চার চোখের জলের স্বাধ নোনাই হয়... প্রথম কিস্তি...

অভিযোগ রয়েছে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও পিসিপি (পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ) নেতা রমেল চাকমাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হত্যা করেছেন। তার মরদেহ তার স্বজনদের বা তার বাড়ীতে ফেরত নিতে দেয়া হয়নি।
একজন মানুষের প্রাণ নেয়া হয়েছে, খুন করা হয়েছে, মানবতার প্রতি সংবেদনশীল হতে মানবতার চেয়ে বেশী কিছুর প্রয়োজন নেই। মৃত ব্যাক্তি হিন্দু নাকি মুসলিম, নাকি পাহাড়ী-আদিবাসী নাকি একজন বাংলাদেশ বিরোধী তা বিবেচ্য হতে পারেনা তবে যদি আমরা আমাদের কাজকে জাষ্টিফায়েড করাতে চাই কেবল তখনই নির্যাতীতের পরিচয় প্রয়োজনীয় হয়ে উঠে।কিন্তু আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখি এই হত্যাকে পাহাড়ী-বাঙ্গালী, বাংলাদেশ সেনা বাহিনী, ইসলাম, মুসলমান নানা রকম লেভেলে নানা মোড়কে অলরেডি প্রচার করা হচ্ছে। এই আলোচনার পরবর্তী পর্যায়ে যাবার আগে কয়েকটি প্রশ্ন এবং এর উত্তর খোজা খুব জরুরী।

Thursday 20 April 2017

আজান: সময়ের বাস্তবতা।

ভারতের খ্যতিমান গায়ক সনু নিগম গত ১৬ এপ্রিল ৪টি টুইটে আজান এবং মন্দির, গুরুদুয়ারা থেকে যে শব্দ ভেষে আসে তার প্রতি তার বিরক্তি বা ভাবনা জানিয়েছেন। সবগুলো টুইট পড়লে সহজেই তার কাভার আপ ষ্ট্রাটেজি চোখে পরার মতো। রিলিজিয়াস ফ্রিডম বা ফ্রিডম অব স্পিচ এসব আলোচনার বাইরে আমি আমার ভাবনা জানাতে চাই।
যেই যুগে আজান প্রবর্তিত হয়েছিলো সেই যুগে টেকনোলজি ছিলোনা যার কারনে আজান জাষ্টিফায়েড হতে পারে। একই অঞ্চলে এক মসজিদের পর আরেক মসজিদের পালাক্রমে আজান বিরক্তি সৃষ্টি করবে, এটাই স্বাভাবিক।

Monday 20 March 2017

‘তোরা প্রচন্ড সুশীল মাইরি...’





(বিশেষ টিপ্পনী)
এই লিখাটি অত্যন্ত সফট লাইট হার্টেড ফুল অব লাফিং গ্যাস। শুধু মজা নেবার পরামর্শ রইলো। কারো ঘোমটা কি কারো খেমটা কিংবা কার কি কাচ কলা খোয়া গেলো এইসব ভেবে ব্যাকুল হবেন না। এই সময়টা ফেইক নিউজ আর দেউলিয়া বিপ্লবীদের। এটা সম্পূর্ণ আমার কথা নয়, স্যার দোনা ট্রাম্পও অংশীদার।

“দেখ দোস্ত আমি কিন্তু আবুল বা পরিমল বিষয়টা তোকে বলবোনা।”
“স্যার আপুনি শিক্ষিত মানুষ, আমি কিন্তু আপনাকে ছোট লোক, কুত্তার বাচ্চা, হারামি এসব গালি দিচ্ছিনা, আমাদেরও মান সম্মান আছে, গালি দিবেন না...”

এই টাইপের কথা আমরা আমাদের চার পাশে বলার মতো লোক সব সময়ই দেখি। এদের মাঝে দুই ভাগ, এক ভাগে আছে নিতান্তই সহজ সরল আর অপরভাগে হাড়ে হাড়ে হারামজাদা চতুর লোকজন।

এমনই এক চতুর লোক ছিলেন মাহমুদুর রহমান, চিনতে পারেননি তাকে?

Sunday 19 March 2017

এবারের হোলির রঙের মাঝে বিনাশী এক রঙের উপাখ্যান।



গত রবিবার সন্ধ্যা ১২ মার্চ থেকে সোমবার সন্ধ্যা ১৩ মার্চ পর্যন্ত হোলি উদযাপিত হয়েছে। হোলি উদযাপনের সময় বাংলাদেশের কোথাও কোথাও বিশেষত ঢাকায় উশৃংখল তরুণ-যুবকদের হাতে নারী নিগ্রহের ঘটনা সংঘটিত হওয়ায় এবারই প্রথমবার হোলি নিয়ে অনেকের মাঝে ভীন্ন রকমের আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। নিজেকে প্রশ্ন করে দেখলাম আমিও হোলি সম্পর্কে তেমন কিছু জানিনা, হিন্দি সিনেমা থেকে যা জেনেছি এই রঙ ছোড়াছুড়ি পর্যন্ত। এবারের হোলি উদযাপন সংশ্লিষ্ট আলোচনায় ধর্ম-শালীনতা, মুসলিম-হিন্দু ইত্যাদি বিষয় এসে যোগ হয়েছে। হোলি নিয়ে যে হোলিগানিজম শুরু হয়েছে বিভিন্ন পক্ষের মাঝে তাঁর অনুধাবনে হোলি সম্পর্কে সবিস্তারে জানা জরুরী। আসুন জানার চেষ্টা করি হোলি, সেই শুরু থেকে...


হোলি কি নতুন যোগ হওয়া বা কর্পোরেট বা পুজিবাদের চাপানো কোন নতুন আইডিয়া?

Friday 10 March 2017

Article One Nine - 5 March with Dr Abul Kalam Azad.

প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমান কিংবা মওলানা শফি অথবা এই পীর ঐ পীর বা বাবু নগরী ও আওয়ামীলীগের মাঝে সহবাসের নষ্ট বাষ্প আমরা আজকের বাংলাদেশে দেখছি তাঁর পেছনে আরো কিছু কথা আছে। ধর্ম সব সময় একটি লাভজনক ব্যাবসা মাধ্যম। এই মাধ্যম ব্যাবহারে সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং সংখ্যালঘু উভয় শ্রেণীর একদল বুদ্ধি বেশ্যা (যৌন কর্মির পেশাকে নির্দেশ করা হয়নি) সবসময় তৎপর। এদের এই অপতৎপরতা তখনই সফল হয় যখন আমরা অজ্ঞান থাকি। প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকি।
আপনাদের অনেকের স্মরনে থাকবে তসলিমা নাসরীন তখন নতুন লেখিকা, বাংলাদেশে হাতে গোনা মানুষ তাকে চেনে কিন্তু হঠাৎ করে বাংলাদেশে সবাই তাকে চিনতে থাকে, জানতে শুরু করে তসলিমা ইসলাম নাশ করে দিচ্ছে। দেশের মানুষ কান নিয়েছে চিলে মনে করে সবাই চিলের পেছনে ছুটছেন্ দূর্বার গতিতে। আপনি জানেন কি এই উন্মাদনার কলকাঠি কে নাড়ছিলো সামনে ও পেছন থেকে? কাজির বাজার মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমান (বুলবুলি) তাঁর সমমনা ধর্ম উন্মাদ্গণ। এই মানুষটি এক সফল আন্দোলন ও ভীতি এবং মিথ্যা, আধা সত্যের সুরেলা ধারেলা আক্রমনে সরকারকে নতজানু করে তসলিমা নাসরিনকে দেশ ছাড়া করেছে এবং নিজেকে ইসলামিক রাজনীতির অপ্রতিরোধ্য নেতা হিসেবে প্রতিষ্টিত করেছে।
এরাই আবার একজোট হয়েছে ভাষ্কর্য বা মূর্তি প্রতিরোধের নামে। মনে রাখবেন এরা বাংলাদেশের আইনকে ইসলামের আইন মনে করেনা যার কারনে তারা খেলাফত বা ইসলামিক রাষ্ট্র ব্যাবস্থা চান। আবার তারাই মানব রচিত আইনের বিচারালয়ের সামনে কি স্থাপন হবে বা না হবে তাঁর জন্য আন্দোলন করেন। বাংলাদেশে ভাষ্কর্য বা মূর্তির চেয়ে শক্তিশালী ইস্যু নিয়ে তারা চুপটি মেরে থাকলেও যেখানেই ধর্ম সুড়সুড়ির সুযোগ রয়েছে সেখানে তাদের অনুভূতি সজাগ হয়ে উঠে।
অপর দিকে এই রায় বা রয়, আমদার জামদার নামে একদল লামখোর সবার মাঝে বিশেষত সংখ্যায় কম এমন সম্প্রদায়, ধর্ম বা জাতীর মানুষের নাম করে প্রসাদ লুটতে শুরু করে। এরা সরকারের ব্যার্থতাকে মিনমিনে গলায় সমালোচনা করবে যা শুনলে মনে হয় উপরেরটাকে দখল নেবে আর নিচেরটাও কুড়াবে। এরা বলবে, কি আর করা প্রগতি ও মুক্তমনাদের শেষ আশ্রয় আওয়ামীলীগ। এরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের দরদীয়া সেজে ধান্ধা করতে নামবে।
ভাষ্কর্য কি হবে, কেমন হবে, হাসিনার কার্ভে হবে নাকি গাউন পরা রোমান মহিলা হবে এসব নিয়ে আলোচনা হতে পারে, দ্বিমত থাকতে পারে। কিন্তু এর মাঝে সব কিছু পেছনে ফেলে ধর্মকে সামনে নিয়ে এসে জল ঘোলা সন্দেহজনক।
রাষ্ট্র যেখানে ব্যার্থ সেখানে আমরা তাতে গা ভাসিয়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারিনা, না জঙ্গি না এই সরকার ব্যাবস্থা আমাদের হীতে আসবে তাই নিজেদের মাঝে জ্ঞানের চর্চার বিকাশ ঘটিয়ে নিজের পরিবর্তন নিশ্চিত করে মোকাবেলা করতে হবে।
মূর্তি বা ভাষ্কর্য এবং ইসলাম নিয়ে কথা বলেছি একনিষ্ঠ ভাবে ইসলাম অনুসরণকারী ডঃ আবুল কালাম আজাদ এর সাথে। আমি উনার প্রজ্ঞাকে সম্মান করি এবং ইসলাম নিয়ে খোলামেলা আলোচনায় বিশ্বাস রাখাকে সাধুবাদ জানাই। আমার ও উনার রেডিও ইন্টারভিউ শুনতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন। আসুন ভালো থাকি, ভালো রাখি।




https://soundcloud.com/user-3652610/2017-mar-05-17-article-1-9

Article One Nine- 19 February with Abu Taher Tarek



আমি ও তারেক এক সাথে পড়াশুনা করেছি, তারেক আমাদের চেয়ে চিন্তার জগতের স্বাধীনতার ঘোষণা আগে দিয়েছে। মাদ্রাসায় পড়াশুনা করেছে, এরপর কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে বিদেশে এসে ভীনদেশি ভাষা-কালচার নিয়ে পড়াশুনা করছে। আমি তাকে বেতার বাংলায় আমার রেডিও শো আর্টিকেল আইন নাইন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। তারেকের অনেক বক্তব্যের সাথে এমনকি এই ইন্টারভিউয়ের অনেক অংশের সাথে আমি একমত নই, কিন্তু এই দ্বিমত আমাকে তাঁর কন্ঠকে রুখে দিতে উৎসাহিত করেনি। অনুষ্ঠানের কন্টিনিউটি বা সময়ের কলেবর মাথায় রেখে আলোচনা এগিয়ে নিয়ে আমাদের কথার বলার পৃথিবীটা অবারীত রেখেছি।

আলোচনায় আপনিও যোগ দিন, আপনাদের জন্য ৩ পর্বের আলোচনা তুলে দিলাম।, কথা চলুক আর কাজের জন্য মানুষ জেগে উঠুক...


https://soundcloud.com/user-3652610/2017-feb-19-article-1-9-part-1


https://soundcloud.com/user-3652610/2017-feb-19-article-1-9-part-2


https://soundcloud.com/user-3652610/2017-feb-19-article-1-9-part-3

Sunday 12 February 2017

রবি বারের ভাবনা।



আজ সন্ধায় ঘুম থেকে উঠে কিছু কাজ করতে করতে ভাবলাম গাণ শুনি। ইউটিউবে শানে'র গলায় রবীন্দ্র সঙ্গীত খুব ভালো লেগেছে। গাণ শুনতে শুনতে মনে হলো আমি আমার শরীর উষ্ণ জলে ধুয়ে এলাম। আমার আব্বা আমায় প্রতিদিন সকালে কোরআন পাঠের জন্য বাধ্য করতেন। আমি বাধ্য হয়ে পড়লেও কিছু বুঝতাম না, তাই সেই পাঠ যে কি নিরানন্দের ছিলো তা ভাষায় প্রকাশ যোগ্য নয়। আমি অনেকের গলায় কোরআন শুনেছি কারো কারো পাঠ মোহময়। কিন্তু অর্থ না জানলে মোহ আর কতক্ষণ থাকে? আমি জানিনা যারা গীতা কিংবা বাইবেল বা তাল্মুদ পাঠ করেন তাদের বেলায়ও কি এমনটা ঘটে? আমাদের সমাজের যারা মুসলিম তারা তাদের নামাজে, জুমার খুতবায় কিংবা কোরআনে যা আছে তাঁর কতোটা জানেন? কিংবা এই জানার প্রয়োজনীয়তা টুকু অনুভব করেন কি না?


কথার ভেতরে কথা থাকে, যেভাবে থাকে মনের ভেতর মন তেমনি সুন্দর কিছু পাঠের মাঝে আছে অপ্রকাশিত ভয়ঙ্কর সুন্দর কিংবা অসুন্দর। তাই জাগতে হবে, দেখতে হবে আর প্রশ্ন করতে হবে।

Sunday 5 February 2017

চেতনায় গণজাগরণ।

গতকাল ছিলো কাদের মোল্লার প্রথম রায়ের দিন, গতকাল ছিলো গণজাগরণ মঞ্চের (শাহবাগ, ঢাকা, বাংলাদেশের) প্রথম দিন, গতকাল ছিলো এক নতুন দিনের সম্ভাবনার সূচনার সম্ভাব্য দিন, গতকাল ছিলো বাংলাদেশ বদলে যাবার অন্য আরেক রকম প্রথম দিন।
গতকাল আইসিএসএফ’র ফেইজবুক পেইজে শেয়ার করা শাহবাগের উপর নির্মিত একটি টাইম ল্যাপস ভিডিও আমি শেয়ার করলে আমার আজীবনের বন্ধু অলি আমার কাছে জানতে চেয়েছে আমার মূল্যায়ণ কি?
আগামী ৮  ফেব্রয়ারি  গণজাগরণ মঞ্চ লন্ডন,ইউ কে’র প্রথম দিন, পরিকল্পনা করে রেখেছিলাম একটা স্পেশাল রেডিও শো করবো। ঠান্ডা লেগে এই সপ্তাহে অনুষ্ঠান করার অবস্থা আর নেই তাই আগামী সপ্তাহে করবো কিন্তু এর মাঝে  আবার আমার রেডিও শো আর্টিকেল ওয়ান নাইন আসতে আসতে ৮ তারিখ চলে যাবে আর আমার বন্ধুর প্রশ্নের জবাবে আজকের এই লিখা।
শাহবাগকে মূল্যায়ণ করার আগে আমি নিজেকে একটি ছোট মূল্যায়ণ প্রক্রিয়ার মাঝে নিয়ে যেতে চাই, কিছু প্রশ্ন আমাকে করতে চাই? (প্রিয় পাঠক এই প্রশ্নগুলো আপনিও নিজেকে করুন এবং নিজেকে নিজের উত্তর দিন)
আমি যে ব্যাবস্থায় পড়াশুনা করেছি, আমি যে সমাজে বেড়ে উঠেছি, আমি যে সময়ে বসবাস করেছি, আমি যে রাজনীতির (ইসলামিক ও নন ইসলামিক)  স্পর্শে এসেছি  সেখানে আমাকে মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামিলীগ, জামায়াত, রাষ্ট্র, সমাজ এসব কে সেখানে কিভাবে দেখা হয়, কিভাবে আমরা সেগুলোকে অবজার্ভ করেছি? আমি কি উদাস কিংবা হতাশ অথবা প্যাশনেট ছিলাম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, রাষ্ট্র, সমাজ, ধর্ম, রাজনীতি নিয়ে?

Monday 30 January 2017

মাদ্রাসা ও জঙ্গিবাদ-১১

আমার প্রথম ই-বুক
মাদ্রাসা ও জঙ্গিবাদ। 


পৃথিবীর সব দেশেই ভীন্ন ভীন্ন মানুষের মাঝে কলহ হয়ে থাকে, কলহের কারনও নানাবিধ হয়ে উঠবে কিন্তু যখন কোন দেশের মানুষ সংখ্যার বিবেচনায় সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ সংখ্যা লঘিষ্ঠ মানুষকে নির্যাতন করবে তখন আর তা মানুষের কাজ বলে বিবেচনা করা যায় না। এই অপরাধগুলো সম্পর্কে যদি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গী এমন হয় যে এসব স্বাভাবিক বা হতে পারে বা গ্রহণ যোগ্য কিংবা এই দেশে দেশেও হচ্ছে বা হয় তখনই জাতীর বিবেকদের জেগে উঠতে হবে কেননা এমন চিন্তা মানুষকে যুক্তির বিপরীতে বিশ্বাসের বল দিয়ে কাজ করায়। যে কোন ঘটনার পেছনে কারন বা ইন্দন থাকতে পারে কিন্তু তা কোন ভাবেই অন্য আরও একজন মানুষকে নির্যাতনের বৈধতা দেয়না।
একটি ক্লাসিক উদাহরণ থেকে বাঙ্গালী মুসলমানের দ্বিখণ্ডিত হিপোক্রেট মনের লুকিয়ে থাকা দিক আরো ভালো বুঝা যাবে, বাংলাদেশে অধিকাংশ মানুষের মাঝে হিন্দু মানুষের প্রতি এক গোপন ক্ষেদ, অপসন্দ ভাব , নীচু চিন্তা, বিরাজ করে। বৃটিশ আমলে হিন্দু এলিট শ্রেণীর কায়েমী স্বার্থে সংশ্লিষ্ঠ বর্বর কাজের জন্য হিন্দু বিদ্বেষ থাকা সত্ত্বেও হিন্দু মুসলমান সবাই ধর্মাচার না করা মানুষ সইতে পারেন কিন্তু নাস্তিকতা সইতে পারেন না। একই সমাজে বসবাস করা মানুষদের মাঝে এমন চিন্তার মিল থাকা স্বাভাবিক হলেও এঁকে অপরের প্রতি গোপন অবিশ্বাসের বাসার বুনিয়াদ গাথা হয় অন্য কোন খানে...
আমাদের সমাজের পাড়ার মসজিদে প্রতি সপ্তাহে, বিশেষ দিবস সমুহে, পালা করে বিদ্বেষের যে জপ মানুষের কানে তুলে দেয়া হয় তা সমাজের ভেতর অসহনশীলতার স্থায়ী আবাস গড়ে। সেই অসহনশীলতা থেকে মেজরিটির একটি অংশ যখন দেখে ভোগবাদ তাঁর বিশ্বাসকে গ্রাস করছে তখন সে তুলনামূলক ভাবে আরও গোড়া এপ্রোচের দিকে ধাবীত হতে থাকে।
বাংলাদেশে যারা মাদ্রাসায় পড়াশুনা করেন আর্থ-সামাজিক বাস্তবতায় সমাজের সবচেয়ে ননরিকগনাইজ অংশের সাথে জড়িত থাকায় এবং কোরআন হাদীসের ভেতর থাকা এলিমেন্ট যা তাকে আল্লাহর আইনের রাষ্ট্র গঠনে হরদম ডেকে যায় তাঁর মিলনেই স্বশস্ত্র বিপ্লবের স্বপ্ন দেখতে থাকে।