Tuesday 23 May 2017

ম্যানচেষ্টার হামলাঃ এটি শুধুই একটি ভাবনা



এটি শুধুই একটি ভাবনা...আমার আহবান জাষ্ট একবার ভেবে দেখুন, ক্ষতি হবেনা...
বর্তমানে ব্রিটিশ মিডিয়া সেটি প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক্স যা'ই হোকনা কেন তাতে খুব সামান্য হলেও পরিবর্তন এসেছে... কি পরিবর্তন ? তারা জেরেমি করবিন ও লেবারকে নেগেটিভ কাভারেজ না দিতে বাধ্য হয়েছে। ডেমিয়েন গ্রীন, বরিস জনসন, আম্বার রাড, মাইকেল ফ্যালন কিংবা থেরেসা মে'র মতো ট্রেইন্ড অসত্য বলা কনসারভেটিভ কনদের লেবার নেতৃবৃন্দের হাতে পরাজিত ও স্বরুপ উদ্ঘাটিত হতে দেখছি। আমরা জরিপে লেবার ও কনজারভেটিভের ব্যাবধান রিসেন্ট সময়ে ৯ পয়েন্টে নেমে আসতে দেখছি। মানুষ লেবার নিয়ে কথা বলছে, ভাবছে। এই কাতারে সামিল বয়ষ্ক এবং তরুণ ও যুব সমাজ।

ম্যানচেষ্টারে যে বর্বর হামলা হয়েছে তাতে মিডিয়াতে স্বাভাবিক ভাবেই প্রাইম টাইম স্লটগুলো এখন এই বিষয়ে কথা হবে ইনফ্যাক্ট কথা হওয়া উচিত কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে দিন বদলের যে আহবান করবিন নিয়ে আসতে চাইছিলো তা ব্যাহত হবে।


থেরেসা মে’র বক্তব্য শুনলাম, সেই গতবাধা অল্টারনেটিভ ফ্যাক্ট প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা। থেরেসা ম্যানচেষ্টারে যে বর্বর হামলা হয়েছে সেই প্রেক্ষিতে তার নির্বাচনী ক্যাম্পেইন সাস্পেন্ড করেছে যা লেবার পার্টি বা করবিনের জন্য অপ্রত্যাখানযোগ্য শাস্তি বৈ কিছুই নয়।যে মূহুর্তে ব্রিটেনের তরুণ, যুবক এবং সাধারণ মানুষ জেরেমি করবিনের কথা শুনার সুযোগ পাচ্ছিলো, তার পলিসি নিয়ে ভাবছিলো সেই মূহুর্তে তরুণ-যুবাদের সমাবেশে হামলা এবং ফিয়ার কালচার প্রতিষ্ঠা আমাকে সন্দিহান করে তোলে? কেন নর্দাণ ইংল্যান্ড? কেন ম্যানচেস্টার ? আমি বলছিনা অন্য কোথাও হামলা হোক কিন্তু সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা অঞ্চল হিসেবে আলোচিত নর্দান পার্ট কেন হামলার জন্য বিবেচিত হলো?



ট্যাক্স পেয়ারদের মিলিয়ন মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করে লালিত পালিত সো কলড ইন্টিলিজেন্স গ্রুপ গুলো কেন এধরণের বর্বর জঙ্গি হামলা রুখতে ব্যার্থ হলো? জঙ্গি বর্বর গুলো কি এলিয়েন? এরাতো আসমান ভেঙ্গে বা জমিন ফুড়ে বের হয়নি। এই দেশের সরকার এদের সম্পর্কে কি কি জানতো? না জানলে কেন জানতে পারেনি? আপনাকে প্রশ্ন করতে হবে। এই হামলায় কারা লাভবান হচ্ছে, কারা সুবিধা পাচ্ছে তা বের করতে হবে।


আমি এই নষ্ট সময়ে অলমোষ্ট সকল সরকার ও পূজিপতি এলিটদের অবিশ্বাস করি এবং মনে করি তাদের পক্ষে সব সম্ভব। আমেরিকা , ফ্রান্সের ইলেকশনে রাশান ইন্টারফেয়ারেন্স আজ সর্বজন বিধিত। আমাদের জাতীয় নির্বাচনে ভীনদেশীদের নিয়ন্ত্রণ কাদের অজানা ?


আমি জানতে চাই কেন জঙ্গি, জঙ্গি সিমপ্যাথাইজারদের বিরুদ্ধে অল আউট এসল্ট করা হোক, জঙ্গিবাদের সাথে সংস্লিষ্ঠ সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হোক। মুসলিম টেররিষ্টদের তথ্য প্রদানে তাদের পরিবার বা কর্মস্থল বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকে আইন করে বাধ্য করা হোক। টেররিজম বা রিলিজিয়াস এক্সট্রেমিজমকে মানষিক ভয়ংকর ব্যাধি হিসেবে বিবেচনা করে নতুন বা মিড লেভেলের সন্ত্রাসী বা সম্ভাব্য সন্ত্রাসীদের অন্ত্রীণ করে চিকিৎসা প্রদান করা হোক তবে রাষ্ট্রের ব্যায়ে নয় তাদের পরিবার থেকে সেই ব্যয় আদায় করা হোক।


যে সব মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন সমবেদনা তাদের ফিরিয়ে আনবেনা তবে তাদের পরিবার, বন্ধু, স্বজনদের যে যন্ত্রণার মাঝে যেতে হবে তা ভাষায় বর্ণনা স্মভব নয়। যারা আহত হয়েছেন তারা সঠিক সাপোর্ট সমাজ রাষ্ট্র থেকে পাবেন আই আশা ও দাবী আমরা রাখি। কনসারভেটিভের ফান্ড কাটের যে উন্মত্ত উল্লাস তা মানুষকে ভলানেরবল করে রেখেছে তাই আমি জানিনা আহত মানুষ কতোটা সাপোর্ট পাবে...


পরিশেষে আপনার কাছে আকুল নিবেদন, ঘর থেকে বেরিয়ে আসুন, মানুষকে জানান ও জানুন এবং ৮ জুন লেবারকে/ করবিনকে ভোট করুন।





মানুষ ও সময়ের প্রতি আমার অগাধ বিশ্বাস, একদিন সব মিথ্যার পর্দা উন্মোচিত হবে আর সত্য উদ্ঘাটিত হবে।

No comments:

Post a Comment