উত্থান দশ টাকার চালে। আপনি একে ধোকাবাজি প্রতারনা বা মিথ্যার বেসাতি বলতে পারেন কিন্তু আ-লীগের মাইন্ডার মহোদয়গণ তখন ভাবলেন দশ টাকা টাইপ ট্যাগ অনেক কম হয়ে যাওয়ায় মানুষ শক খেয়েছিলো তাই তারা মেহেংগায়ির দিকে গেলেন। শ্রমিকের মর্যাদার কথা ভাবতে শুরু করলেন। গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে কোন কিছু বের না করতে পেরে বঙ্গবন্ধুর সোনার স্বপ্নকে স্বপ্নদোষে রুপান্তরিত করতে বিএনপি বালিশ-গেইট ক্যালাঙ্কারির জন্ম দিয়েছে। মুজাহিদে মিল্লাত, হাকিমুল হেকমত শেখজি বলেছেন, শিশুগণ এখন থেকে প্রতিদিন শ্রমিকের মর্যাদা রচনা পড়বা। একটু কারেন্টের জীবনী পড়বা, একটি চাকরির ইশতেহার লিখবা, স্বপ্নের মাঝে কিভাবে মুক্তচিন্তা করা যায় তার স্টার্টাটাপ নিয়ে মনলগ লিখবা, মদিনার সনদের সরল ভাবসম্প্রসারণ শিখবা। দরদে দিল, বেফানা হুকুমত শ্রমিকের পাওনা বাড়াতে এমন নজিরের জাতিয় প্রশিক্ষণের বিকাশ ঘটাবে। সবাই বলো আমিন। শাটাপ ইয়ার...যাহ অফ গেলাম
Monday 20 May 2019
Saturday 18 May 2019
খোলা জানালা সমাচার-২
গত পর্বে আমরা
লিখেছিলাম কেন “সম্প্রীতি বাংলাদেশ” এবং “দেশপ্রেমিক সচেতন নাগরিক” নামে যে প্রচারনা চালানো হচ্ছে তা বাংলাদেশের বিনাশের জন্য যথেষ্ঠ।
আসুন কল্পনা করি
একটি মেটাফরিক্যাল ইমেজ,
দবির আর কবির দুই
প্রতিবেশী। যুগ যুগ থেকে দুই পরিবার এক বিশাল আয়ানার উত্তরাধিকার ভোগ করে আসছেন।
কোন এক কারনে দুজনে তর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। এক পর্যায়ে সেই আয়নায় দবির কবিরের প্রতিচ্ছবিতে মুখ বরাবর একটি পাথর ছুড়ে মারলেন।
কোন এক কারনে দুজনে তর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। এক পর্যায়ে সেই আয়নায় দবির কবিরের প্রতিচ্ছবিতে মুখ বরাবর একটি পাথর ছুড়ে মারলেন।
কবির কোন ভাবেই
আহত হননি। দবির ও কবির দুই পথে হেটে চলে গেছেন। তাদের মাথায় আকা রয়েছে এক ছবি
যেখানে একজনের মুখাবয়ব বিনষ্ট হয়েছে, আর
আরও একবার এমন হামলার সম্ভাবনার ভয়।
এরপর কি কি হতে পারে আর কি কি এই আগুনে ঘি ঢেলে দিতে পারে সেদিকে আমাদের যাবার আর এই মুহুর্তে প্রয়োজন নেই। কিন্তু দবির ও কবিরের মনের মাঝে থাকা চাপা ভাবনা মাথায় রাখতে হবে।
এরপর কি কি হতে পারে আর কি কি এই আগুনে ঘি ঢেলে দিতে পারে সেদিকে আমাদের যাবার আর এই মুহুর্তে প্রয়োজন নেই। কিন্তু দবির ও কবিরের মনের মাঝে থাকা চাপা ভাবনা মাথায় রাখতে হবে।
আমাদের জীবনে
সংখ্যার প্রভাব এবং গুরুত্ব অত্যধিক। কখনো কখনো এই নাম্বার আমাদের জালিমে পরিণত
করে আবার কখনো কখনো মজলুম হতে বাধ্য করে। আমাদের প্রতিবেশী ভারতের কথাই বিবেচনা
করুন, সেখানে ভারতীয় জনতা দল বা বিজেপি
নামে যে রাজনীতিক প্রতিষ্ঠান আজ দেশ চালাচ্ছে তাদের বিকাশের কথা ভাবুন। হিন্দু
প্রধান সেক্যুলার একটি দেশে হিন্দু জীবন যাপনকারী মানুষকে যখন তারা মিথ্যার সাথে
সাথে অনুধাবন করাতে সক্ষম হয়েছে যে তারা নিগৃহীত, তাদের
বিশ্বাস জাতীয় জীবনে উপেক্ষিত বা অপ্রাসঙ্গিক, তাদের
ধর্ম-জীবন-আশা হুমকিতে রয়েছে তখন কংগ্রেসের মতো ঐতিহাসিক দলকে জাতীয় সংসদে
পঞ্চাশের কোঠায় নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। সংখ্যায় অধিক জনগোষ্ঠীকে ম্যানুপুলেট করে
তাদের এবং তাদের বিশ্বাসকে মাইনোরিটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে এবং মানুষের
মাঝে ক্ষোভ-প্রতিহিংসা জাগিয়ে তুলছে। এক ভারতীয় অপর ভারতীয়ের দেশপ্রেম, দেশের প্রতি আস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। মানুষকে মানুষ হত্যা করছে গো-রক্ষার
নামে, কোন হিন্দু-মুসলিম ছেলে/মেয়ের স্বভাব প্রেমকে
লাভ-জিহাদ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতি বিকাশ লাভ করছে এবং এর
বলি হচ্ছে সাধারণ এবং বিশেষত দরীদ্র শ্রেণীর মানুষ। গ্রাম সরকার থেকে কেন্দ্রীয়
সরকার এই বিষ বাষ্পে নিমজ্জিত হচ্ছে। এই হাওয়া শুধু যে ভারতে এমন নয়। এই হাওয়া
বাংলাদেশে, পাকিস্তানে, ইউকে, আমেরিকা অলমোষ্ট সব দেশ-জাতীতে ছড়িয়ে পড়েছে।
“সম্প্রীতি
বাংলাদেশ” সন্দেহভাজন জঙ্গি সদস্য শনাক্তকরণের (রেডিক্যাল ইন্ডিকেটর) নিয়ামক্সমূহ
প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ সরকার নিয়ন্ত্রিত “বাংলাদেশ বেতার” তাদের ওয়েবসাইটে সেই
নিয়ামক সমূহ হুবহু প্রচার করেছেন। http://www.betar.gov.bd/site/notices/079959aa-8950-467e-be15-fef211d34ee7/%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B9%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A8-%E0%A6%9C%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A6%A6%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%B6%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%A3%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%95%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%B9-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A5%A4
আপনি খোলা চোখে দেখলে এই
প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাতে হবে যদি আপনি প্রত্যেক লাইনের শুরুতে “হঠাৎ” শব্দটি যোগ করে নেন। এবার আপনাকে
ভাবতে হবে এই “হঠাৎ” শব্দটি যোগ করা
এবং তা ভুলে যাওয়া নিয়ে। তার আগে আপনাকে মনে করিয়ে দিতে চাই “কাক ও কালো বাচ্চা’র” গল্প। এক মহিলার এক সন্তান হয়েছে। তিনি ও তার স্বামী
কৃষ্ণ বর্ণের। তাদের প্রতিবেশী নতুন সেই শিশুকে দেখে সেই কথা তার এক প্রতিবেশীকে
বলেছেন পাশের বাসার ভাবির একটি সন্তান হয়েছে যে কালো বর্ণের বা কৃষঙ্কায়। সেই খবর
ভাবি হতে ভাবি অথবা ভাই থেকে ভাই হতে হতে এমন হয়েছে যে
কালো, খুব কালো, কাকের মতো কালো এবং
শেষতক কাক জন্ম নিয়েছে মানুষের ঘরে।
ঠিক একই ভাবে “সম্প্রীতি বাংলাদেশ” বা “বাংলাদেশ
বেতার” তাদের ওয়েবসাইটে প্রচারিত সেই নিয়ামক সমূহ” হতে এক সময় “হঠাৎ” শব্দটি
হটে যাবে। এবং “দাড়ি রাখা এবং টাখনুর উপর কাপড়
পরিধান শুরু করা”, “অতিমাত্রায় ধর্ম চর্চার প্রতি ঝোক”, “তাওহীদ, শিরক, বেদাত, ইমান,
আকীদা, সালাত, ইসলামের
মূলনীতি, দাওয়া/হালকা ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করা” ইত্যাদি
হয়ে উঠবে সন্দেহভাজন জঙ্গি সদস্য শনাক্তকরণের (রেডিক্যাল ইন্ডিকেটর) নিয়ামক্সমূহ । আমি কোন ভাবেই সাধারণ মানুষের ইন্টিলিজেন্স কে চ্যালেঞ্জ করছিনা কিন্তু
মানুষের ফিতরৎ এবং সুযোগ সন্ধানীদের অবস্থানকে নজর আন্দাজ করছিনা।
“সম্প্রীতি
বাংলাদেশ” সন্দেহভাজন জঙ্গি সদস্য শনাক্তকরণের (রেডিক্যাল ইন্ডিকেটর) নিয়ামক্মূহ
প্রকাশ করেছে যেখানে বলা হয়েছে, (নিন্মোক্ত
নিয়ামক সমূহ ছাড়াও আরও নিয়মকসমূহ মূল পাবলিকেশন্সে রয়েছে।)
১/চ- গণতন্ত্রকে
ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক মনে করা। ইসলামি শাষণ ব্যাবস্থা, শরিয়া আইন এবং খিলাফাহ প্রতিষ্ঠার জন্য অতিমাত্রায় আগ্রহ
প্রকাশ করা।
১/জ- হঠাৎ করেই
অতিমাত্রায় ধর্ম চর্চার প্রতি ঝোক এবং নির্দিষ্ট কিছু ব্যাক্তির সাথে গোপনে
যোগাযোগ রক্ষা করা।
১/ঝ- হঠাৎ করে
দাড়ি রাখা এবং টাখনুর উপর কাপড় পরিধান শুরু করা।
১/ঞ- সাংস্কৃতিক
অনুষ্ঠান, বিয়ে, গায়ে
হলুদ, জন্মদিন পালন, গান বাজনাসহ
পারিবারিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান হতে নিজেকে গুটিয়ে রাখা এবং শিরক/বেদাত বলে যুক্তি
প্রদান করা।
১/ট- বাবা-মাসহ
পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও আন্তীয়স্বজনদের নিজের পরিবর্তিত মতাদর্শ বিশ্বাস করতে ও
তা মানতে বাধ্য করার চেষ্টা করা।
১/ড- কুরান ও
হাদিসের অরিজিনাল কপি না পড়ে অনলাইনে প্রাপ্ত রেফারেন্স ও একই মতাদর্শী নির্দিষ্ট
কিছু ব্যাক্তির মতামতকে বেশি যৌক্তিক মনে করা এবং কোনো ইমাম/জ্ঞানী ব্যাক্তিদের
পরামর্শ না নেওয়া।
১/থ- মিলাদ, শবেবরাত, শহীদ মিনারে ফুল দেওয়াসহ
প্রচলিত সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দিবসসমূহে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে সমালোচনা করা।
১/দ- প্রচলিত
মাযহাবকে ভুল প্রমাণের প্রবণতা এবং তথাকথিত আহলে হাদিস/সালাফী/ওয়াহাবী মতাদর্শের
প্রতি আস্তে আস্তে ঝুকে পড়া ও নিজেকে লা মাযহাব দাবি করা।
রেডিক্যালাইজেশনের
০৪টি ধাপের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে তারা বলেছেন
২/ক- তাওহীদ, শিরক, বেদাত, ইমান,
আকীদা, সালাত, ইসলামের
মূলনীতি, দাওয়া/হালকা ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করা।
২/খ- মাযহাব হতে
লা মাযহাব, ইসলাম ও গণতন্ত্র সাংঘর্ষিক, সামাজিক অনুষ্ঠানাদি বর্জন, শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া,
স্মৃতিসৌধ, সরকার তাগুত/কাফির, বিচার ব্যাবস্থা ইত্যাদি সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব।
পরিশেষে তারা
আহবান জানিয়েছেন,
আপনার পরিবারে বা
আশেপাশে কারও মধ্যে এ লক্ষণসমূহ দেখা গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নিন।
মনে রাখতে হবে এই প্রচেষ্টাকে
সাধুবাদ জানাতে হবে এদের অবজারভেশনের জন্য। কিন্তু যে আলোচনায় এসে সাবধান হওয়া খুব
জরুরী এর কাউন্টার ইফেক্ট কি হবে? ব্যাক্তি,
ব্যাক্তি স্বাধীনতা, সামাজিক সম্প্রীতি,
নিজ রাষ্ট্রে বৈরী নাগরিক তৈরির সম্ভাবনা, সেগ্রিগেশন
ইত্যাদি যে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় হুমকি হয়ে উঠতে পারে তা বিবেচনায় না নিয়ে মিডিয়া
সার্কাস প্রশ্ন এবং সন্দেহের উদ্রেক করতে বাধ্য।
সময় বদলে যায়, প্রতি নিয়ত বদলে যাচ্ছে আমাদের সমাজ, রাষ্ট্র,
পৃথিবী। গতকাল যা চিরন্তন সত্য ছিলো আজ তা চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, আগামীকাল হয়তো তা বদলে যাবে। ১৪০০ বছরের ইসলামে পরিবর্তন এসেছে। আরও
পরিবর্তন আসবে। রেডিক্যাল পরিবর্তন আসবে। যেমনটা এসেছে অন্যান্য বিশ্বাসে, ধর্মে এবং ধারনায়। আজকের গণতন্ত্র কোন ভাবেই খ্রিষ্টানিটির ভালো-মন্দের
প্রভাবের বাইরে নয়। আজকের ব্যাক্তিস্বাধীনতা অতীতের কোন এক পক্ষের ক্রঢ়তা এবং কোন
এক ব্যাক্তি বা গোষ্ঠীর উদার মুক্ত চিন্তার ফল মাত্র। ঠিক এমনই এক ধারাবাহিকতায়
ইসলাম, ইসলামি রাজনীতি, খেলাফত নিয়ে
কয়েক শতাব্দীর পুরনো তাত্ত্বিক তর্ক। ডেমোক্রেসি যদি খেলাফতকে নিজের চ্যালেঞ্জার
হতে বাধা দেয়, রুখে দেয় তবে সেই ডেমোক্রেসি আর অটোক্রেসি এবং
সমালোচিত খেলাফতের মাঝে তফাৎ কি বাকি থাকবে? কোন ব্যাক্তি
ডেমোক্রেসির সমালোচক কিংবা খেলাফতে আগ্রহী হলে তাকে জঙ্গি সন্দেহ সমাজে ব্যাক্তিকে
অনিরাপদ এবং সিষ্টেম্যেটিক এবিউজের শিকার করবে না কি?
বাংলাদেশে একটি বিশাল সংখ্যক
মানুষ তাদের রিটায়ারমেন্টের পর কিংবা তাদের বয়স ৪৫/৫০ এর পর অথবা মা/বাবা/সন্তান
কিংবা কোন এক্সিডেন্টের পর ধার্মিক হয়ে উঠার প্রবণতা প্রকট। এছাড়াও ১২ থেকে ৩৫
বছরের মানুষদের মাঝে তাবলিগ জামাত/বিভিন্ন পীরবাদ/ইসলামিক দলগুলোর কার্যক্রমের
প্রভাবে ধর্মের দিকে ঝুকে পড়ার প্রবণতা দেখা দেয়, এমনকি
চাকরির এক জীবনে অসৎ কর্মকর্তা/কর্মচারি আখেরাতের ভয়েও ধার্মিক হয়ে উঠেন।
ধার্মিকদের প্রথম ও প্রধান প্রবনতা থাকে তার চারপাশের মানুষের মাঝে ধর্ম বা
ধার্মিকতা ছড়িয়ে দেয়া। এই সব মানুষ তাদের ধর্মময় জীবনে নিজ মসজিদ, নিজ পরিবার এবং
কাছের গণ্ডি নিয়ে থাকেন। এরা রাজণিতিক ইসলামে আগ্রহী হয়ে উঠেন না, কেননা তারা
রোজা-পূজার স্বাধ নিয়েই মুসলিম হতে চান। তাত্ত্বিক একিউরেসিতে তাদের আগ্রহ নেই।
মনে রাখবেন প্রাকৃতিক ভাবেই সকলের যোদ্ধা বা বীর হওয়া হয়ে উঠেনা।
সহজ ইন্টারনেট ফেসিলিটির কারনে এদের কেউ কেউ নিজেকে, নিজের প্রচলিত বিশ্বাস/জ্ঞান/ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছে। যে তথ্য বা জ্ঞান পরিবার বা মহল্লার মসজিদের ইমাম থেকে লাভ করেছে তা অনলাইনে এভেইলেবল তথ্যের সাথে তুলনা করে অনেকেই নিজের অবস্থান পরিবর্তন করছেন। এমন বাস্তবতায় ১২ থেকে ৩৫ বছরের মানুষদের যদি আমরা মার্জিনালাইজ করি, আইসোলেট করার চিন্তা করি তখন চোখের জালায় না আমরা নাক কেটে বসি।
সহজ ইন্টারনেট ফেসিলিটির কারনে এদের কেউ কেউ নিজেকে, নিজের প্রচলিত বিশ্বাস/জ্ঞান/ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছে। যে তথ্য বা জ্ঞান পরিবার বা মহল্লার মসজিদের ইমাম থেকে লাভ করেছে তা অনলাইনে এভেইলেবল তথ্যের সাথে তুলনা করে অনেকেই নিজের অবস্থান পরিবর্তন করছেন। এমন বাস্তবতায় ১২ থেকে ৩৫ বছরের মানুষদের যদি আমরা মার্জিনালাইজ করি, আইসোলেট করার চিন্তা করি তখন চোখের জালায় না আমরা নাক কেটে বসি।
পৃথিবীর সকল মত-পথ-বিশ্বাসের
মতো ইসলামও নানা দলে উপদলে বিভক্ত। ইসলামের বিভিন্ন স্কুল অব থটের যে মত ভিন্নতা
তা ভারতীয় উপমহাদেশে চরমপন্থিদের কোন কিছুতেই কম নয় তাই বলে রাষ্ট্রীয়
পৃষ্ঠপোষকতায় বা জাতীয় ভাবে কোন এক পক্ষের পালে হাওয়া দেওয়া আগুন নিয়ে খেলার
নামান্তর। এই আগুনে রাষ্ট্র নিজেও দহিত হবে। আমরা ইতিহাস জুড়ে দেখেছি যখনই রাষ্ট্র
তার গায়ে ধর্মের আলখাল্লা জড়িয়েছে তখন মানবতা ভুলুন্ঠিত হয়েছে।
আধুনিক সময়ে ধর্মের এই মায়াময়
আফিম রাষ্ট্র নিজেই ধারন করেছে। রাষ্ট্রের নিজস্ব আচার-আচড়ন, তাহজিব, মান্য-অমান্য
তৈরি রাষ্ট্র ও ধর্মের প্ররথকিকরণের সময় রাষ্ট্রের উপর আরোপিত ধর্মের অভিশাপ বৈ-কিছু
নয়। ভুলে গেলে চলবেনা যে সমাজ-রাষ্ট্রের যে অংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ ধারার সাথে জুড়ে যেতে
পারেনি তাদের মাঝে মাদ্রাসা শিক্ষিত জনগোষ্ঠী অন্যতম। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে
ইসলাম ভিত্তিক রাজনীতিক প্রতিষ্ঠানের(জামায়াত ও অন্যান্য) ভুল সিদ্ধান্ত এবং
মানবতা বিরোধী জঘন্য কর্মকান্ডের কারনে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে সমস্ত ইসলাম
ভিত্তিক এনটিটিগণ সিস্টেম্যাটিক সেগ্রিগেশন বা নেগ্লিজিয়েন্সের শিকার হয়েছেন। যার
দরুন এতো বড় এই মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাস রচনায়, প্রচারনায় কোন ইমাম, মুয়াজ্জিন,
মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষদের কোন বয়ান নেই। এই ভয়েডের লুপ হোল দিয়ে একদল মুক্তিযুদ্ধ
ব্যাবসায়ি নিজেদের আখের গুছিয়েছেন আর মতিভ্রষ্ট মাদ্রাসার নেতৃবৃন্দ নিজেদেরকে আরও
হালাল-হারাম-বেদাত এবং পিছিয়ে থাকার হেরেমে নিজেদের বন্দি করে রেখেছেন। যার ফলে
সময়ের সাথে সাথে কালচারে, জাতীয়-আঞ্চলিক জীবনে যে বিবর্তন এসেছে তাকে তারা নিজেদের
শেষ পরিচয় ধর্মের প্রতি হামলা বা শঙ্কা হিসেবে দেখেছেন এবং দেখিয়েছেন। ভুলে গেলে
চল্বেনা এদের এই ইষ্টাব্লিশ্মেন্ট কে যারা জঞ্জীবনে জিইয়ে রেখেছেন তাদের সব চেয়ে
বর এজেন্ট ছিলেন মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনগণ। আমরা এই ইমামদের প্রজ্ঞা নিয়ে অচেতন
থাকি কারন ধর্ম নিয়ে আমাদের জ্ঞান অতি সামান্য কিংবা আমরা অতি উদাসীন। কোন এক কলেজ
বা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন এক ব্যাচে ভর্তি হওয়া সকল ছাত্র যেভাবে ফাইনেস্ট
দাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার/একাডেমিক হয়ে বের হননা, প্রত্যেকে যেভাবে বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠেন না
তেমনি বেশীর ভাগ ইমাম মানুষকে যা বলছেন তা সম্পর্কে তাদের নিজেরই জ্ঞান অপ্রতুল। এই
রিয়েলিটি আমাদের পূর্বজ প্রজন্ম যতোটা উপলব্ধিতে ব্যার্থ ছিলেন নতুন প্রজন্ম
সেক্ষেত্রে অনেক বেশী সফল।
এমন বাস্তবতায় যদি আমরা আরও
একবার পূর্বে উল্লেখিত দবির-কবির রুপক গল্পে ফিরে যাই তখন দেখবো এক ভয়, টেনশন,
অবিশ্বাস আর ক্ষমতা/রাষ্ট্র/আইনের অপব্যাবহারের এক উৎসবে মেতে উঠেছে আমাদের জাতি।
যদিও দবিরের ছোড়া পাথরে কবির আহত হননি কিন্তু দবির জানেন তার ছোড়া পাথরের জবাব
কবির একদিন দেবেন। তাদের দুজনার অভিন্ন আয়নাটি ভেঙ্গে গেছে। সেই আয়নায় তারা আর মুখ
দেখতে পাবেন না।
বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা
রক্ষাকারী বাহিণীর অন্যতম পুলিশ বিভাগের প্রতি সূচনা দেয়ার যে উন্মাদনাময় আহবান “সম্প্রীতি বাংলাদেশ” করেছে তাতে সমাজে বিরাজমান শান্তি-সম্প্রীতি
হিংসা-অবিশ্বাসে পরিবর্তীত হবে। বাংলাদেশের পুলিশ-র্যাব যেখানে বিচার বহির্ভূত
হত্যার জন্য কুখ্যাতি কুড়িয়েছে সেখানে শুধু মাত্র দাড়ি/টাখনুর নিচে পেন্ট পড়ার
কারনে জঙ্গি সন্দেহে পুলিশের হাওলা হলে তাদের কি দশা হবে? কোন এক পরিবারের কোন এক
সদস্য আক্রান্ত হলে তারা কিভাবে রিএক্ট করবে? এই নিয়ে যে অস্থিরতার সৃষ্টি হবে তখন
তার প্রভাব সমাজে-রাষত্রে কি হবে?
কখনো ভেবেছেন যে ছেলেটিকে বা
যুবকটিকে আপনি তার দাড়ি/টুপি/পাঞ্জাবি/টাখনুর নিচে পেন্ট পড়া নিয়ে জঙ্গি সন্দেহ
করছেন সেখান থেকেই সে নিজেকে সমাজহীন/রাষ্ট্রহীন/বঞ্চিত ভাবতে শুরু করবে। সেই
রাষ্ট্র আর তার নিজের থাকবেনা। মনের ভেতর সে মুক্তি খুজবে বৈরী রাষ্ট্র থেকে। আপন
রাষ্ট্র খুজবে। আর আমরা সকলে তার মনে তার প্রতি জালিম এবং সে একজন মজলুম হিসেবে বেচে
থাকবো। এই আগুন সেখানেই থেমে থাকবেনা, মানুষ দল পাকায়, সংগঠিত হয়। একদিন আসবে তারা
আর আমরা রক্ত দিয়ে এর সমাধান লিখবো আর জানেনতো রক্তে লিখা ইতিহাস কখনও শেষ হয়না। এ
ঘুরে ফিরে আসে, যুগে যুগে, বারে বারে।
বিবেচনাহীন এই কাজের রিয়েকশনারি
আরেক বিবেচনাহীন কাজের নমুনা দেখতে নিচের লিঙ্কে যান।
এখানেই শেষ নয়। এক অতি সাধারন
ব্যাক্তির জীবনের নিজ কাজো নিন্মোক্ত নিয়ামক দিয়ে বিবেচনা করতে তুষে আগুন দেয়া
হচ্ছে।
সন্দেহমুক্ত যুবসম্প্রদায় সনাক্তকরণের নিয়ামকসমূহ কেমন হবে
একবার দেখুন :
ক। ধর্ম বিষয়ে একেবারেই পড়াশোনা থাকবে না।
(অথচ পবিত্র কোরআনের প্রথম নাজিলকৃত শব্দ ‘পড়ো’!)
খ। বহির্মুখী স্বভাবের হবে, প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে কথা বলবে, গ্যাজাবে, একে-ওকে কাঠি মারবে।
(অথচ মহানবীর শিক্ষা অপ্রয়োজনে কথা না বলা। চুপ থাকা।)
গ। রুমে থাকবে না। ঝোপে-জঙ্গলে সময় কাটাবে। মাঝেমধ্যে রাস্তা-ঘাটে টাল হয়ে পড়ে থাকতে পারে।
ঘ। নবীজীর সুন্নত মানবে না। সবসময় ক্লিন শেভড থাকবে, প্যান্ট পায়ের তলায় ছেঁচড়ে বেড়াবে। হাতে-পায়ে-শরীরে ট্যাটু, রিং এসব থাকতে পারে।
ঙ। এলাকায় বিয়েশাদি, গানবাজনা প্রভৃতি অনুষ্ঠানে সবার আগে হাজির থাকবে। এসব মেইনটেইন করতে গিয়ে একটু টানাটানি, ছ্যানাছ্যানি হতেই পারে।
চ। মুসলমান মরলে তালিয়া বাজাবে, অন্য কারো ক্ষতি হলে প্রতিবাদ, মানববন্ধন করবে। শোকে নাওয়া-খাওয়া ভুলে যাবে।
ছ। ভুলেও ফরজ নামাজ পড়বে না। তবে মিলাদ, ‘বইস্যা যান’ টাইপের জিকির হলেই সবার আগে দৌড়াবে।
জ। কানা বাবা, জটা বাবা, পেটলাবাগীর মুরিদ হলে তো কথাই নেই!
ক। ধর্ম বিষয়ে একেবারেই পড়াশোনা থাকবে না।
(অথচ পবিত্র কোরআনের প্রথম নাজিলকৃত শব্দ ‘পড়ো’!)
খ। বহির্মুখী স্বভাবের হবে, প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে কথা বলবে, গ্যাজাবে, একে-ওকে কাঠি মারবে।
(অথচ মহানবীর শিক্ষা অপ্রয়োজনে কথা না বলা। চুপ থাকা।)
গ। রুমে থাকবে না। ঝোপে-জঙ্গলে সময় কাটাবে। মাঝেমধ্যে রাস্তা-ঘাটে টাল হয়ে পড়ে থাকতে পারে।
ঘ। নবীজীর সুন্নত মানবে না। সবসময় ক্লিন শেভড থাকবে, প্যান্ট পায়ের তলায় ছেঁচড়ে বেড়াবে। হাতে-পায়ে-শরীরে ট্যাটু, রিং এসব থাকতে পারে।
ঙ। এলাকায় বিয়েশাদি, গানবাজনা প্রভৃতি অনুষ্ঠানে সবার আগে হাজির থাকবে। এসব মেইনটেইন করতে গিয়ে একটু টানাটানি, ছ্যানাছ্যানি হতেই পারে।
চ। মুসলমান মরলে তালিয়া বাজাবে, অন্য কারো ক্ষতি হলে প্রতিবাদ, মানববন্ধন করবে। শোকে নাওয়া-খাওয়া ভুলে যাবে।
ছ। ভুলেও ফরজ নামাজ পড়বে না। তবে মিলাদ, ‘বইস্যা যান’ টাইপের জিকির হলেই সবার আগে দৌড়াবে।
জ। কানা বাবা, জটা বাবা, পেটলাবাগীর মুরিদ হলে তো কথাই নেই!
মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার
চলা অবস্থায় আমরা নাস্তিক ট্যাগের অপব্যাবহার আমরা দেখেছি, দেখেছি মাদ্রাসা পড়ুয়া
বা দাড়ি-টুপি পরিহিত মানুষদের প্রতি সমাজের একাংশের মনোভাব! সেই ক্ষত এখনো কাটেনি।
বাংলাদেশ এখন এমন ক্ষতি বহন
করতে সক্ষম নয় তা যদি “সম্প্রীতি বাংলাদেশ” অনুধাবন
করতে পারতো হয়তো তারা এমন বিবেচনাহীন কাজ করতেন না। আমরা নিশ্চিত জানি, আজকের
ইসলাম পরিবর্তিত হবে যেমন টা হয়েছে হিন্দু ধর্ম, খ্রিষ্ট ধর্ম বা অন্যান্য ধর্ম
সমূহ। বিশ্বাস চিরন্তন নয়। আমরা ইসলামের রিফরমেশনের জন্য কথা বলতে পারি।
রাষ্ট্র জনগণকে নিয়ে, এই যুব
শক্তিকে নিয়ে ডায়ালগে বসতে পারে। তাদের কে দিশা দিতে পারে। তাদেরকে নিজ আর্গুমেন্ট
রাখতে প্রচলিত ব্যাবস্থা যে স্বাধীনতা উন্মুক্ত রেখেছে তা তুলে ধরতে পারে। রাষ্ট্রের
কাজ যদি “সম্প্রীতি বাংলাদেশ” এর মতো কোণ সংগঠন আঞ্জাম দিতে চায় তখন লিবিয়ার
উন্মাদ ট্রাইবদের মতো বিশৃঙ্খলার সূচনা হবে যার সমাধান একমাত্র গাদ্দাফীর মতো
ডিকটেটরই কেবল ম্যানেজ করতে সক্ষম।
ছোড়ার আচড় বা আঘাত হয়তো মলমে
সেড়ে উঠবে কিন্তু মুখে দেওয়া ঘা সেরে উঠেনা, এর আঘাত রয়ে যায় , দিনের পর দিন। তাই কিছু
বলার আগে ভাবুন হাজারবার না হলেও অন্তত দুইবার।
Wednesday 15 May 2019
খোলা জানালা-১
বেতার বাংলা আমার জন্য
একটি খোলা জানালার মতো, প্রতি সপ্তাহের রবিবারে আমি সেই জানালা দিয়ে উকি দিতাম,
আলো-হাওয়া পেতাম। রোজা এসে সেই জানালা এক মাসের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে। আমি অলস,
কিন্তু এতো অলস নই যেখানে আমার চিন্তার জগতে আলোড়ন আমায় দীর্ঘ সময় নীরব করে রাখবে।
সেই ভাবনা থেকেই খোলা জানালা সমাচার সিরিজ শুরু করছি...
খোলা জানালা সমাচার ১...
পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায় কে
যারা সমালোচনা করছেন, কেন করছেন? পীযুষ হিন্দু বলে? (নাম থেকে অনুমান করে)।
পীযুসের রাজনীতিক পরিচয় থেকে? তার স্ত্রীর ভারতীয় পতাকা হাতে উল্লাসের ছবি থেকে? শুধুই
পীযুসের অতি সম্প্রতি বক্তব্য থেকে?
আপনাকে জানতে হবে কেন
আপনি কোন এক ব্যাক্তির জেল, ফাঁসি চাইছেন। আপনাকে প্রশ্ন করতে হবে, নিজেকে এবং
আপনার সামনে যা উপস্থাপিত হয় তা নিয়ে।
কেন ফরিদ উদ্দীন
মাসুদ/মাসউদ আপনার সমালোচনার তীরের প্রথম নিশানা হয়নি?
কেন পীযুষ এবং তার সহমতের মানুষদের আলোচনা বা
সমালোচনা দিতে আপনি বা আপনার নেতৃত্ব ব্যার্থ হয়েছেন?
খোলা জানালা সমাচার ২-তে দেখুন কেন “সম্পীতি বাংলাদেশ” এবং “দেশপ্রেমিক
সচেতন নাগরিক” এর প্রচারণা বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকারক।
Subscribe to:
Posts (Atom)