https://www.facebook.com/watch/?v=2476439542665929
ধর্ষণ সেটা হোক পাহাড়ে কিংবা সমতলে অথবা জংগলে বা ভারতের উত্তর প্রদেশের হাথরাসে এই বর্বরতা আপনাকে আমাকে ছুঁয়ে না গেলে , আহত না করলে আমাদের চিকিৎসা প্রয়োজন ।
ধর্ষিতা হিন্দু বা মুসলিম অথবা নিধার্মিক হোক না কেন তা যদি আপনার কাছে মুখ্য বিবেচ্য বিষয় হয় তবে আপনার চিকিৎসা প্রয়োজন।
যখন ধর্ষিতা কায়োমনে আল্লাহকে/ভগবানকে/ অন্যান্য কোন উপাস্যকে স্মরণ করেন , বাচার আঁকুতি জানান তখন তারা কেউ সেই ডাকে সাড়া দেন বা দিয়েছেন এমন কোন নথি পাওয়া যায়নি। সেদিন একজন বললেন , এই ঈশ্বর ভাবনা এভাবে কাজ করেনা। যেহেতু এই ভাবে কাজ করেনা , যেহেতু চাইলেই সরকার সব জায়গায় , সব সময় থাকতে পারবেনা
, যেহেতু রক্ষক নিজেই ঘাতক হবার সুযোগ আছে তাই আমাকে এনলাইট করার জন্য এই লিখা ... আমায় সাহায্য করুন,
আপনি যদি আইন বিষয়ে জ্ঞান রাখেন অথবা অনুসন্ধানী মনের অধিকারি হয়ে থাকেন বা প্রচলিত আইনের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা বোধ করে থাকেন তবে আমায় সাহায্য করুন...
১। যখন রাষ্ট্র
(এখানে একটি ম্যাকানিজম অর্থে বিবৃত) আমার বা আমাদের জন্য কাজ করেনা অর্থ্যাৎ ক্ষমতাধর , কর্পোরেট গোষ্ঠী , প্রিভিলেজড বা এলিট ক্লাসের জন্য কাজ করে তখন সেই রাষ্ট্রের প্রতি আমার কি দাঁয় থাকতে পারে?
২। প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো যখন আমজনতার থাকেনা বা তাদের কথা শুনেনা তখন কি অহিংসা করা মুক্তির শর্ত হিসেবে ক্ষমতার বিরুদ্ধে লড়তে ক্ষমতার প্রত্যংগকে আহত করা কার্যকর বিপ্লব হিসেবা দেখা উচিত নয়?
এই লিখাটি কয়েকদিন আগের , পাবলিশ করার আগেই বাংলাদেশে ধর্ষণের আরাও একটি অঘটন ঘটে গেলো। ইন্ডিয়াকে আরামসে রেণ্ডীয়া বলতে আমরা যারা অতিউৎসুক ছিলাম তারা আজ সোনার বাংলা কে কি ব্যাং-দেশ বলবো?
যারা এই সব অঘটন ঘটনে সরকারের দাঁয় , ব্যার্থতা দেখতে পাননা , যারা উন্নয়নের জোয়ারে মানুষের বলিদান কিংবা মনুষত্যের অবনমনকে স্বাভাবিক দেখেন জেনে রাখবেন এরাই আপনার প্রকৃত শত্রু , অপ্রকাশ্য শত্রু ।
উত্তরপ্রদেশের ঠাকুর আদিত্য নাথ আর বাংলাদেশের শেখ হাসিনার মাঝে তফাৎ কোথায়? প্রত্যেকেই নিজ জাতী ভাইকে বাচাতে মরিয়া ... প্রত্যেকেই অসঙ্গায়িত বিশ্বাসকে পূঁজি করে তাদের পলিটিক্যাল রিজারেকশন করেছেন ।
বদলে যাবেন এমন পূতিময় হাওয়া
, পচে যাওয়া সমাজ বা রাষ্ট্র যদি হাসিনার পতন ঘটানো যায় কিন্তু মানুষের কথা বলায় কিছু মানুষ গড়ে উঠবে , শোষক শ্রেণী নিজেদের স্বার্থেই ভাবতে বাধ্য হবে তাই আসুন আপন আপন দলের গোলাম না হয়ে নিজের সেবক হই , নিজের জন্য । আপনার পুতুলের মতো শিশুটির আগামীর জন্য।
পচে গেছে এই সমাজ। এক সময় নাটক সিনেমায় দেখেছি মেয়েরা ধর্ষক , ইতর , অসভ্যদের হাত থেকে বাচতে বাবা ডেকে দোহাই দিতো যাতে তাকে নির্যাতন করা না হয়, মানুষ আজও সেই বাবা ডেকে মুক্তি পেতে চায় কিন্তু যেমন আল্লাহকে ডেকে পাওয়া যায়না তেমনি বাবা - ভাই ডাক আর ধর্ষকের মনে কোন বিবেচনার ভাব উদ্রেক করেনা। আজ সে শুধুই ধর্ষণ করতে চায়, হোক সে নিজের মা বোন বা তাদের মতো কোনজন...
ন্যায় - নীতি সমাজ থেকে বিদায় নিয়েছে যার শুরু হয়েছে অনেক অনেক আগে...