ভরা এক বর্ষার ঢলে আমি মুক্তি পেয়ে ভেষে আসি, সাথে নিয়ে অভিযোগের পাহাড়। আমার বাবা ঠিক নিতে পারছিলেন না, সমাজে সম্মানিত, ওরাছাতুল আম্বিয়াদের অবিস্বাস করবেন না আমাকে বিশ্বাস করবেন... আমার তাতে কিছু যায় আসে না, আমি মুক্তি পাচ্ছি, এটিই আমার কাচ্ছে স্বপ্ন মনে হচ্ছিল। আমাদের সাথে বাবার এক বন্ধুও ছিলেন। ক্ষোভে কাতর আমার বাবা আমায় বকছিলেন, পড়াবেন না, আজে লাগিয়ে দেবেন, আমি বেয়ারা, বলে নিজের রাগ ঝারছিলেন। আবার এখন কি করতে চাই তা ওনার বন্ধুর মাধ্যমে জানতে চাইছিলেন। অবশেষে বাবার সেই বন্ধুর পরামর্শে ঠিক হলো আমায় এবারও মাদ্রাসায় ভর্তি করা হবে, আমায় জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো কোথায় পড়তে চাই, আমি সাহস করে বলতে পারিনি, আমি আর মাদ্রাসায় যেতে চাইনা। আমায় মুক্তি দাও ! না, আমার মনের কথা শূনেনি সর্বজ্ঞাতা,পরম শ্রোতা কিংবা আমার বাবা...সেই সময় ভাবতাম এই আমার নিয়তি। এবার আমি আরেক নতুন জগতে, নতুন ধারায়, আমি ভর্তি হবো আলিয়া মাদ্রাসায়।
সিলেট শহরে সরকারী আলিয়া মাদ্রাসা থাকলেও আমায় ভর্তি করা হলো শহরের বাইরে অজপাড়া এক গায়ের মাদ্রাসায়। এর বিশেষত্ব এখানে ছাত্র রাজনীতি নেই বিশেষত শিবির নামের আতঙ্ক সেখানে নেই, এক পীর সাহেব এর প্রতিষ্ঠাতা, পড়াশুনার মান ভালো।
বাস চড়ে,টেম্পু করে, চলে এলাম এক নদীর ঘাটে। আমি গাছ বাইতে জানিনা, সাইকেল চালাতে জানিনা আর জানিনা কিভাবে সাতার কাটতে হয়। ডুবে মরার ভঁয় নিয়েই মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল সাহেবের অফিসে এসে পৌঁছলাম। প্রিন্সিপাল সাহেব আমায় দাড়ি কাটতে পারবোনা ( আমার দাড়ি তখনো উঠেনি ), চুল ছেটে রাখতে হবে ( কওমি মাদ্রাসায় ন্যাড়া করে রাখতে হতো ), তাবলীগে নিয়মিত যেতে হবে জানালেন। অতপর একজন শিক্ষক আমার যোগ্যতা যাচাই করে ক্লাস সেভেনে ভর্তি করালেন। বছর শেষ হতে মাস তিনেক বাকি, আমায় প্রমান করতে হবে অনেক কিছু। আমার থাকার ব্যাপারে ঠিক হলো আমি লজিং থাকবো মাদ্রাসার কাছেই এক বাড়ীতে। সেদিন সন্ধ্যায় আমি এলাম আমার নতুন ঠিকানাতে। সেখানে আমি এক ক্ষুদিরাম আমার আবার তিন মেয়ে শিষ্য। পড়ার টেবিলে আমরা চারজন। আমাদের পরিচয় পর্ব শেষ হলে, ওরা আমায় জানালো আমার ক্লাসের এক মেয়ে থাকে ( সেই মাদ্রাসাতে কো এডুকেশন ছিলো )।
ক্লাস রুটিন আনতে পাঠালে সেই সহ পাঠিনি রুটিনের নিচে লাভ সিম্বল একে তাতে এ + আর লিখে পাঠান। আমি তাকে আমার সময়ে কখনো সরাসরি দেখিনি।
রাত পোহালে হলো শুরু এক নতুন দিনের, নতুন যাত্রার।
বাস চড়ে,টেম্পু করে, চলে এলাম এক নদীর ঘাটে। আমি গাছ বাইতে জানিনা, সাইকেল চালাতে জানিনা আর জানিনা কিভাবে সাতার কাটতে হয়। ডুবে মরার ভঁয় নিয়েই মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল সাহেবের অফিসে এসে পৌঁছলাম। প্রিন্সিপাল সাহেব আমায় দাড়ি কাটতে পারবোনা ( আমার দাড়ি তখনো উঠেনি ), চুল ছেটে রাখতে হবে ( কওমি মাদ্রাসায় ন্যাড়া করে রাখতে হতো ), তাবলীগে নিয়মিত যেতে হবে জানালেন। অতপর একজন শিক্ষক আমার যোগ্যতা যাচাই করে ক্লাস সেভেনে ভর্তি করালেন। বছর শেষ হতে মাস তিনেক বাকি, আমায় প্রমান করতে হবে অনেক কিছু। আমার থাকার ব্যাপারে ঠিক হলো আমি লজিং থাকবো মাদ্রাসার কাছেই এক বাড়ীতে। সেদিন সন্ধ্যায় আমি এলাম আমার নতুন ঠিকানাতে। সেখানে আমি এক ক্ষুদিরাম আমার আবার তিন মেয়ে শিষ্য। পড়ার টেবিলে আমরা চারজন। আমাদের পরিচয় পর্ব শেষ হলে, ওরা আমায় জানালো আমার ক্লাসের এক মেয়ে থাকে ( সেই মাদ্রাসাতে কো এডুকেশন ছিলো )।
ক্লাস রুটিন আনতে পাঠালে সেই সহ পাঠিনি রুটিনের নিচে লাভ সিম্বল একে তাতে এ + আর লিখে পাঠান। আমি তাকে আমার সময়ে কখনো সরাসরি দেখিনি।
রাত পোহালে হলো শুরু এক নতুন দিনের, নতুন যাত্রার।