আগামীকাল রবিবার, আমি
বললেও রবিবার না বললেও রবিবার। বলা বা না বলা কিংবা মানা-নামার প্রশ্নে, কি হবে
বলে বা লিখে এই হতাশায়, এত শত ঘটনার ঘন ঘটায় কিংকর্তব্য বিমূঢ় আমি ফেইস বুকে আসা
একরকম ছেড়েই দিয়েছি। মানুষ যেকোন পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নেয় দ্রুত কিংবা নিজের
জন্য নিজের মত করে নিজ পৃথীবি গড়ে নেয় খুব সহজে কিংবা সংগ্রাম করে।
আমি আমার জন্য একটা জগতে
অনেক দিন থেকে বস্ত করে চলেছি। আমার রেডিও, আমাদের বেতার বাংলা http://www.betarbangla.net/ এই কমিউনিটি রেডিতে একটা অনুষ্ঠান করি, ‘আর্টিকেল ওয়ান
নাইন’ নামে প্রতি রবিবার বিকেল ৫-৬ পর্যন্ত। আমি প্রতি রবিবারের জন্য অপেক্ষা করি।
রবিবারের জন্য এই দেশ, বিদেশ, বাংঙ্গালী-অবাঙ্গালী, মানুষের অধিকার চিন্তার, বলার,
কিছু করার, কিছু মানার বা না মানার অধিকার অথবা মাথা তুলে প্রশ্ন করার, যেকন
অথরিটির সামনে বা বিপক্ষে...রবিবার আমার প্রিয়, অনেক প্রিয়। মাঝে মাঝে নানা কারনেই
বাধ্য হয়ে রবিবারকে আমার ফাকি দিতে হয়, আমি সেদিন দুঃখিত থাকি, বিরক্ত থাকি।
আমাদের ফেইসবুক পেজ https://www.facebook.com/ArticleOneNine/ তেও প্রায়ই লিখা
হয়ে উঠেনা। অলসতা আর হতাশা দখল করতে চায় আমায়, আমি তাদের পরাজিত করতে চাই, মাঝে
মাঝে পরাজিত করিও...
এইতো গত রবিবারে সব
গুছিয়েছি একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে বাতিল করতে হলো আমার প্রতিক্ষার রবিবারকে...
মাঝে মাঝে মনে হয়, আমি
পারছিনা, কত বিষয় রয়ে গেলো যা নিয়ে কথা বলা হলোনা, কেউ বলছেনা অথবা যেভাবে বলছে
তার অন্য আরো ছবি আছে যার পেছনে আরও কথা আছে...কিংবা সেই প্রশ্ন গুলো করাই হলোনা
যার জন্য আমি সব ছেড়েছি...
গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে
ফয়যুরকে নিয়ে কথা বলেছি, আমার দেশ-রাষ্ট্র, সমাজ ফয়যুরকে গ্রেফতার করতে হন্যে হয়ে
খুজে ফেরে কিন্তু যে প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমান জেহাদের রোমান্টিসিজিম ছড়িয়ে
দিয়েছেন অতি দরীদ্র শ্রেণী থেকে আসা মাদ্রাসা ছাত্রদের মাঝে তাদের সাথে ক্ষমতার
কাগজি সঙ্গম করে।
ভেবেছিলাম আওয়ামিলীগের কাউন্সিল নিয়ে কথা বলবো, আশা করেছিলাম আমরা বহুমতের চর্চার প্রতি ফলন দেখব...দোষ শুধু আওয়ামিলীগে নয়, দোষের মধ্যমনি আমরা, আম জনতা...কাউকে সুগার ডেডি আর কাউকে হোয়াইট চ্যাপেলের পাড় মাতাল নামে প্রচার করছি, শুধু নিজেদের স্বার্থে । নিজ পসন্দের জন্য অন্যের চরিত্রে দাগ দিতে আমাদের মতো পারঙ্গম বোধকরি আর কেউ নেই...অন্তত আমাদের সাথে পাল্লা দিয়ে বিজয়ী হতে পারে এমন কেউ নেই। আমাদের দেশের রাজনীতির কালচার দেখে হয়তো আমি মেনে নেবো হাসিনা বা উনার ছেলে বা উনাদের ঘরের কেউ একজন সব সময় রাজা হবেন। উনারা হয়তো ইউনিটির সিম্বল হিসেবে থাকেন। কিন্তু আমি কিছুতেই বুঝতে পারিনা অতি প্রান্তিক আওয়ামিলীগের কর্মির বহু মত চর্চার মাধ্যমে এগিয়ে যাবার বা রাজনীতি চর্চা করার বাস্তব পৃথিবী কোথায় নাকি তুমি জন্মেছ শধু আমার বন্দনা করতে এমন ভাবনা থেকেই একটি শ্রেণীর বেচে থাকা...এতো দেখি আসমানের ঈশ্বরের বদলে আরেক জমিনের ঈশ্বর গড়ছি আমরা...চোর, ডাকাত, অসৎ লোককে রাজনীতিতে পদায়ন করে কিসের বহুমতের রাজনীতি হচ্ছে আমাদের দেশে?
ভেবেছিলাম আওয়ামিলীগের কাউন্সিল নিয়ে কথা বলবো, আশা করেছিলাম আমরা বহুমতের চর্চার প্রতি ফলন দেখব...দোষ শুধু আওয়ামিলীগে নয়, দোষের মধ্যমনি আমরা, আম জনতা...কাউকে সুগার ডেডি আর কাউকে হোয়াইট চ্যাপেলের পাড় মাতাল নামে প্রচার করছি, শুধু নিজেদের স্বার্থে । নিজ পসন্দের জন্য অন্যের চরিত্রে দাগ দিতে আমাদের মতো পারঙ্গম বোধকরি আর কেউ নেই...অন্তত আমাদের সাথে পাল্লা দিয়ে বিজয়ী হতে পারে এমন কেউ নেই। আমাদের দেশের রাজনীতির কালচার দেখে হয়তো আমি মেনে নেবো হাসিনা বা উনার ছেলে বা উনাদের ঘরের কেউ একজন সব সময় রাজা হবেন। উনারা হয়তো ইউনিটির সিম্বল হিসেবে থাকেন। কিন্তু আমি কিছুতেই বুঝতে পারিনা অতি প্রান্তিক আওয়ামিলীগের কর্মির বহু মত চর্চার মাধ্যমে এগিয়ে যাবার বা রাজনীতি চর্চা করার বাস্তব পৃথিবী কোথায় নাকি তুমি জন্মেছ শধু আমার বন্দনা করতে এমন ভাবনা থেকেই একটি শ্রেণীর বেচে থাকা...এতো দেখি আসমানের ঈশ্বরের বদলে আরেক জমিনের ঈশ্বর গড়ছি আমরা...চোর, ডাকাত, অসৎ লোককে রাজনীতিতে পদায়ন করে কিসের বহুমতের রাজনীতি হচ্ছে আমাদের দেশে?
রাজনীতির মাঠ যখন এমন
হালে তখন দেশের এক কারখানা কর্মি রাণী ওরফে খাদিজা আক্তার তার স্বামী বা স্বামীর
পরিবারের সদস্যদের হাতে নিহত হলেন। রাণী বা খাদিজা হিন্দু ছিলেন, বাংলাদেশে দরীদ্র
হিন্দু-মুসলীম নির্বিশেষে বেশীর ভাগ মানুষ স্বামী বা স্বামীর পরিবার কতৃক
নির্যাতীত হন। আইন আছে কিন্তু ন্যায়ালয়ে যাবার পথ অতোটা সহজ নয় যতোটা হলে ভয় আর বাধা
অতিক্রম করা যায়। আমি বুঝতে পারিনা কেন পুরুষের মনে এই অধিকার বোধের জন্ম নেয় সে
তার স্ত্রীকে নির্যাতন করতে পারবেন। সমাজের কোথায় এই দীক্ষাগুলো গোপনে প্রোথিত
রয়েছে, ধর্মের কোন পাতায় গ্রন্থিত রয়েছে এই সব কালা কানুন, পরিবারের কোন অক্লা
সময়ে এসব শিখে বেড়ে উঠছে মানুষের বাচ্চা ? রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এপ্লাইড
কেমিস্ট্রি এন্ড ক্যামিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্র সাগর কুমার পোদ্দার এই ঘটনায় তার
কমেন্টে লিখেন ‘jamon kormo tamon fol’ জানতে চাই কি কর্ম আর কি ফল?
রাণীর ধর্ম ত্যাগ কি তার অপরাধ, রাণীর হত্যা কি ধর্ম ত্যাগের কারনে জাষ্টিফাইড ?
জগন্নাথ
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের ছাত্রী দীপার শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখলে পাষাণও কেপে উঠবেন।
ঢাকার এলিফেন্ট রোডের তার স্বামীর বাসায় প্রাণ হারানো দীপার হত্যাকারী তার স্বামী
পলাতক...আমরা মিডিয়ার নজর কাড়তে ব্যার্থ হয়েছি, আমরা বিচারের অতি দীর্ঘ টানেলে
আটকা পড়েছি কিন্তু আমাদের কেউ কেউ আমাদের অথর্বতাকে এন্টাই আওয়ামীলীগ এক্ট হিসেবে
চালানোর নেশা কেন আমাদের মাঝে আসে?
পাচ
বছর মাত্র ৫ বছরের পূজাকে এক যৌন উন্মাদ ধর্ষণ করেছে, যৌনতার বোধ বা আবেদন অক্ষম
শিশু শরীরের যোণীকে ব্লেড দিয়ে কেটে প্রশস্ত করতে চেয়েছে পিডোফাইল সাইফুল ইসলাম।
রহমান রাদ তার ফেইসবুক ষ্ট্যাটাসে মন প্রসন্নকারী এক ছবি দিয়ে সাইফুল বা পরিমলদের
জন্য এক ট্রিটমেন্ট প্রস্তাব করেছেন। অপর দিকে আমার ফেইসবুক ফ্রেন্ড অরণ্য সৌভিক
সাইফুলের যৌন উন্মাদনার উৎস হিসেবে দেখেছেন ইসলামের প্রবক্তা মুহাম্মদকে।
মুহাম্মদের বিয়ে নিয়ে শত প্রশ্ন আছে, থাকতেই পারে কিংবা কোন ব্যাক্তি বিশেষের
ক্রোধ থাকতে পারে কিন্তু সাইফুলদের মত যৌন উন্মাদদের সাথে মুহাম্মদকে জড়িয়ে প্রচার
বিচারের মূল দাবীকে দূরীভূত করে লুন্ঠিত ফোকাস তখন ধর্ম নামের কৌতুকে অবসান হয়।
আমি বুঝতে পারিনা কে তখন কৌতুক, আমার ফেইসবুক বন্ধু নাকি মুহাম্মদ নাকি সাইফুল?
পত্রিকার
পাতায় যে সব নির্যাতনের কথা আসেনা সেগুলো ব্যাতিরেকেই ঢাকায় গাড়ো তরুণীর ধর্ষণ,
কিংবা সোবহান নামের পিশাচ কতৃক দিনের পর দিন ধর্ষিত গৃহবধূর করুণ কান্নার শব্দ আমি
পাই। দশ টাকার চাল পেয়ে হাসি মুখ দরীদ্র বাংলাদেশীর চেহারা, কিংবা বাংলাদেশের
ক্রিকেট নিয়ে উল্লসিত চিৎকার আমার চিন্তা থেকে তাদের কান্না মুছে দিতে পারেনা। আমি
ব্যাথিত চিত্তে শুনেই যাই বিষ্মিত এক নারীর প্রতিবাদ এবং ক্ষোভ যে চিকিতসার জন্য
নিজ ইউরিন স্যাম্পল নিতে টয়লেটে গেলে এক ইতর যৌন উন্মাদ বিকৃত রুচির চোখ তাকে তাড়া
করে টয়লেটের দরজার নিজ পর্যন্ত চলে যায় ভিডিও করতে... ভাবছেন কোন দুনিয়ার কথা
বলছি? আমাদের ঢাকার পপুলার হাস্পাতালের কথা বলছি।
সুশান্ত
পাল নিয়ে ব্যাস্ত আমাদের দেশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার মর্যাদারহানী নিয়ে আমরা
ব্যাকুল, ক্ষুব্দ এবং মামলা দিয়ে ঠান্ডা করার আয়োহন করতে পারি কিন্তু নারীর
নিরাপত্তা দিতে পারিনা ঢাকা ইউনিভার্সির্টির মেয়েদের। শিক্ষক, ছাত্রনেতার শিশ্ন
তাড়া করে নারীকে, তথাকথিত অনাধূনিক গ্রাম বা অঞ্চল থেকে আসা ছাত্রকে আমরা
নিরাপত্তা দিতে পারিনা, নিরাপদ পড়াশুনার পরিবেশ প্রদান করতে পারিনা। মানুষের
মর্যাদা আজ দালানের ইট আর নামের কাছে সেই পোষ্টার হয়ে উঠেছে যাতে কাণ্ডজ্ঞানহীন
মানুষ পানের পিক ফেলে তৃপ্তির ঢেকুর তুলেন। ধার্মিক আর নিধার্মিক এক বিন্দুতে
সোহাগ করেন যখন তাদের উপাসনালয় আহত হয়। ধার্মিকের মসজিদ-মন্দির আর বাকি ধার্মিক ও
নিধার্মিকের দালান ঘর বা নেতার ছবি অথবা রাজনীতিক প্রতিষ্ঠান শেইম টু শেইম। কারো
কথার জন্য কাউকে ট্রল করার পরিবেশ যে দেশে বিরাজ করে সে দেশের সিষ্টেমের উপর জীবানূমুক্ত
থুতু দিতে চাই। বিল্ডিং নয় মানুষের মর্যাদার চর্চা হোক, বিজয় হোক। ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় যদি আমাদের জাতীয় অর্জনে ভূমিকা রাখার কারনে মর্যাদা অনুভূতির আত্মস্থ
করে থাকে তবে আমাদের দেশকে ডাকাত-বদমাশ, চোর-নীতি ভ্রষ্ট রাজনীতি ও রাজনীতিক প্রসব
করার কারনে সমালোচনা সইতে পারার চর্চাও করুক।
এই
দেশটা আমাদের। পাহাড় বা সমতল, উন্নত বা পিছিয়ে পড়া অঞ্চল কিংবা সিষ্টেমেটিক্যালি
পিছিয়ে রাখা জনগোষ্ঠী বা জনপদ সব কিছু অবিচ্ছেদ্য বাংলাদেশের অংশ। আমি কোন ভারতীয়র
কাছে বাঙ্গালী সাম্রাজ্যবাদের উৎকট ভাবনা শুনতে যেমন চাইনা তেমনি ভাবে আমাদের
পয়সায় নিযুক্ত পুলিশ বা সেনাবাহিনীর গুন্ডামিও সইতে চাইনা। পার্বত্য চট্রগ্রাম
নিয়ে রাজনীতি করার যারা চেষ্টা নিচ্ছেন তাদের সাথে সংলাপ আয়োজনের আহ্বান জানাই।
আমার দেশের কোন অংশের সাথে কোন চুক্তি নয়, কোন চুক্তি মানিনা কিন্তু প্রচলিত বা
নতুন আইনের মাধ্যমে সকলের সুরক্ষা চাই। ব্রিটেনে বসবাসরত টাওয়ার হ্যামলেটস বা
নুহ্যামের বাঙ্গালী কমিউনিটির পরিচিতমুখ আবদাল উল্লাহ ভাইয়ের রেসিজম ও হেইট
ক্রাইমের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়াকে প্রেরণা হিসেবে দেখতে চাই। বাংলাশের কোন নাগরিক
যেন তার ভাষা, পোষাক বা ধর্ম বা বিশ্বাস বা চিন্তার কারনে যেন রাষ্ট্র, সমাজ বা আম
নাগরিক থেকে রেসিজম বা হেইট ক্রাইমের শিকার না হয় তার ব্যাবস্থা নিতে দাবী জানাই।
দেশে
কর্ম সংস্থান তৈরী করুন, দারীদ্রতার বিরুদ্ধে লড়ুন, অশিক্ষা হঠান, আইনের শাসন
প্রতিষ্টায় প্রদেশ ভিত্তিক সরকার ব্যাবস্থা চালু করুন। নাগরিককে প্রশ্ন করতে এবং
কিছু করতে জাতীয় রাজনীতির সুচনা করুন।
ভালো
থাকুন, ভালো রাখুন।
No comments:
Post a Comment