Sunday 3 July 2016

বাংলাদেশে জিহাদী উন্মাদনার ভীন্ন পাঠ।



অবশেষে কাদম্বিনিকে যেভাবে মরিয়া প্রমান করিতে হইয়া ছিল যে সে ইতি পূর্বে মরে নাই তেমনি সারাবিশ্বে ডাক-ঢোল পিটিয়ে, ২৮জন মানুষের প্রাণ বলি দিয়ে স্বীকৃতি দিতে হলো হ্যা আমাদের দেশে জঙ্গিবাদের বিকাশ ঘটেছে। কেমন বিকাশ ঘটেছে তা জানার জন্য গত বছর তিনেক খুজলেই নাবালক-নাবালিকারাও বুঝতে পারবেন কিন্তু কতো জন এই জেহাদী চরমপন্থায় নিজেদের শেষ করে দিতে আসছেন তা হয়তো অতি উন্নত বিশ্বও তাদের দেশের বেলায় বলতে পারবেন না। গবেষক, বিশেষজ্ঞ, ইসলাম বিদ্বেষী কিংবা ইসলাম প্রেমিদের একটি অংশ জঙ্গিবাদের ইসলামিক ভার্সনের ব্যাপারে কথা বলে আসছেন কিন্তু সরকার বাহাদূর শুনছেন কই?! সরকার এতোদিন বিরোধী দলকে হেনস্থা করতে এবং বিরোধী দল সরকারকে কুপোকাত করতে বাঘ এলো বাঘ এলো বলে বলার মত করে জঙ্গিবাদের তকমা একে অপরের প্রতি ছুড়াছুড়ি করেছেন, জানতেই পারেননি জঙ্গিবাদ বাঘের রা তুলে শুকরের সূরতে এসেছে আমাদের দোর গোড়ায়। আমাদের দেশে আশি ও নব্বইয়ের দশকেও জিহাদী উন্মাদনায় আসক্ত লোকজন ছিলো। তারা পৃথিবীর যেখানেই মুসলমানদের অত্যাচার হচ্ছে বলে মনে করতেন সেখানে যাবার জন্য, প্রাণ দেবার জন্য ব্যাকুল হতেন, গর্জে উঠতেন। বাংলাদেশে ইসলাম কায়েম হবে এমন আশা তারা মুখে রাখতেন। এই অংশটির বেশীর ভাগের রাস্ট্র-সমাজ কিভাবে চলে বা আধুনিক সমাজ ব্যাবস্থা নিয়ে ধারনা কমই ছিলো।
এদের টার্গেট কখনোই বাংলাদেশের সাধারণ মুসলমান বা সাধারন বাংলাদেশী ছিলোনা।


সময় বদলেছে, কমিউনিজম, সোশ্যালিজম খতম হয়ে গণতন্ত্রের ঘুমটি নৌকায় চড়ে পূজিবাদ এসেছে। যুদ্ধ আর নিরাপত্তা আজ সবচেয়ে বড় ব্যাবসা বা গণতন্ত্র। নিচের লিঙ্ক গুলো থেকে ইশারা পাওয়া যাবে এই অস্ত্র দিয়ে যে গনতন্ত্র সাপ্লাই হয় আমাদের পৃথিবীর এক কোণ থেকে আরেক কোণ পর্যন্ত তা কিভাবে পুজিপতিদের পরিচালিত করে আর তারা কিভাবে তিলে তিলে ধ্বংস করে চলছে আমাদের সময়কে...












আশি বা নব্বইয়ের দশকের বেশীর ভাগ তরুণ-যুবক জেহাদি আজ মক্কা-মদিনা ঘূরে নয়তো পেটের লড়াইয়ে বিপ্লবকে সিকোয় তুলে ছানি পরা চোখে নিজেকে লুকালেও তাদের পরবর্তী প্রজন্ম এক ভিন স্বপ্ন আর বন্ধুর পরিবেশে নিজেকে খুজে পেয়েছে। এরা শুধু পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে মজলুম মুসলমানের চিন্তায় ব্যাকুল নয়, এরা বাংলাদেশে তাদের রাজ চায়, এরা শিখেছে অতীত থেকে, আমাদের অবহেলা থেকে, রাস্ট্রের বৈরীতা বা বিমাতা সূলভ আচড়ণ থেকে, তাদের অস্তিত্বহীনতা থেকে। এই প্রজন্ম বাংলাদেশ রাস্ট্রের সাথে নিজেকে জুড়ে নিতে না পারলেও টেকনোলজিক্যালি নিজেদের আপডেট করেছে। অবধারীত প্রশ্ন, কে এদের লালন করে, কে এদের বেড়ে উঠার যোগান যোগায়, ধূতরা গাছের শিকরে কে পানি সিঞ্চণ করে, আর কারা সেই ধূতরা ফুল দিয়ে নিজেদের সাজায়?


আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের সকল রাজনীতিক দল আবারো বলছি সকল রাজনীতিক দল ইসলাম ও মূসলমানদের ব্যাবহার করে রাজনীতি, দেশ, সমাজ পরিচালনা করে আসছে। অনুমান করছি ভবিষ্যত বাংলাদেশেও এই ধারা চলবে আরো বহু বছর। পৃথিবীর অলমোস্ট সকল দেশেই সংখ্যাগুরুর ধর্মকে সমজে চলার ট্রেন্ড ফলো হয়ে আসছে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক বাস্তবতায় জিহাদী বা জিহাদী সিমপ্যাথাইজার শ্রেণীর সংযোগ সমাজের উচু থেকে উচু আর নীচু থেকে নীচু পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। বিএনপি-জামাত জোট বা আওয়ামীলীগ-বাম জোটের বহু মন্ত্রী, নেতা-উপনেতা কিংবা দাতাদের ভাই-বেরাদরদের জিহাদ সংশ্লিষ্টতা তার উৎকৃষ্ট প্রমান। তাই রাজনীতিক প্রতিষ্ঠান এবং শাসন ব্যাবস্থার নিগরানীর ভেতরই ধীরে ধীরে এই জিহাদী উন্মাদনার বিকাশ ঘটেছে বললে ভুল হবেনা। নীচের লিঙ্কে এর কিছু নমুনা জানা যাবে,




একটা সময় মাদ্রাসা পড়ুয়াদের খুব সহজে জিহাদী কর্মকান্ডের সাথে যোগাযোগ সৃষ্টি করা যেত, সময় বদলেছে, মাদ্রাসা পড়ুয়ারা জীবনের স্বাধকে আরো উপভোগ করতে নিজেদের পরিবর্তন করেছে। বাংলাদেশে মাল্টি লেভেল বিজনেসে মাদ্রাসা পড়ুয়া বা মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনদের অংশ গ্রহণ তাঁর একটি বড় প্রমান। সেই সাথে দরিদ্র, শারীরিক বা মানষিক ভাবে পিছিয়ে পড়াদের গন্তব্য মাদ্রাসা সেই মিথ ভুল প্রমান করে চলেছে গত দুই দশকের মাদ্রাসায় আসা ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ। যেই সময়ে মাদ্রাসায় এমন নীরব পরিবর্তন চলে আসছে সেই একই সময়ে বাংলাদেশের স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটিতে ইসলামিক চরমপন্থার প্রতি সদয়, অনুরাগী, অনুসারীদের সংখ্যা আমাদের অগচোরে বেড়েছে কল্পনাতীত। সমাজের ধনীক শ্রেণী থেকে যারা ভোগবাদের উপর জীবন যাপন করেন তাদের থেকে হার্ডকোর ইসলাম ফলোয়ারদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এবং সেই অংশের পরবর্তী প্রজন্ম বা তাদের সন্তান-সন্ততিদের মাঝ থেকে চলমান সমাজ, আইন, রাষ্ট্র ব্যাবস্থা যাতে তাদের আস্থা নেই তাঁর অল্টারনেটিভ হিসেবে ইসলামিক রাস্ট্র প্রতিষ্টায় একটি অংশ তাত্ত্বিক ও আত্বিক ভাবে একটি চেইন পরিচালিত করে আসছে। সকল বিপ্লব বা মতবাদে যেভাবে কয়েক ধরণের স্কুল অব থট সৃষ্টি হয়ে যায়, তেমনি করে ইসলামের নতুন এই ভার্সনে অস্ত্রের ভাষায় যোগাযোগের জন্য একটি দলের সৃষ্টি হয়।


বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জঙ্গিবাদের সবচেয়ে বড় কারণ, অবহেলা, অবজ্ঞা আর অস্বীকৃতি। আমাদের দেশের মানুষের জীবনাচার, সামাজিক কাঠামো, সংস্কৃতি ইত্যাদির দিকে একতু মনযোগ দিয়ে তাকালেই দেখা যাবে যে, আর কয়টি ইসলামিক বা মুসলিম প্রদান দেশের চাইতে আমরা ইউনিকলি ডিফরেন্ট। আমাদের মাঝে এক অদ্ভুত দ্বৈত সত্ত্বা বসবাস করে সব সময়। যেমন বাংলাদেশ একজন পুরুষ প্রধানত এমন জীবন যাপন করেন যা হয়তো তাঁর ধর্ম বিশ্বাস সমর্থন করে না অথবা ধর্মকে শুধুই পোষাকি বিশ্বাস হিসেবে রেখে তাঁর যৌবনকাল অতিবাহিত করেন, সেই পুরুষই তাঁর পড়ন্ত যৌবনে বা বৃদ্ধকালে ধর্মের প্রতি অনুরক্ত হয়ে উঠেন। আবার কিছু মানুষ রয়েছেন, ধর্মে কি আছে নেই তাতে তাদের আগ্রহ না থাকলেও, প্রতি মুহূর্তে নিজ ধর্ম লঙ্ঘণ করলেও যখনই তাঁর বিশ্বাসকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয় অথবা সমালোচনা করা হয় তখন তাঁর প্রবল ধর্ম ভাবনা উঠে আসে। এক গড়ণের দেশের মানুষ যখন ৪৭-এ দেশ ভাগ হয় তখন তারা একদল রাজনীতিকের ক্ষমতা বিলাশের বাইরেও যুগ যুগ ধরে চলে আসা শোষক জমিদার শ্রেণী বিশেষ করে হিন্দু জমিদারদের অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে, অর্থনীতিক ভাবে আরো ভোগবাদী হতে ধর্মের ভিত্তিতে পাকিস্তান অর্জনে এক মিছিলে শামিল হন। সেই অর্জনে বাংলার মুসলমান এবং পাকিস্তানের মুসলমানের অংশিদারীত্ব ছিলো সমানে সমান। পাকিস্তান মুসলমানদের কাছে শুধু একটি দেশ বা স্বার্বভৌম ছিলোনা, পাকিস্তান একটি স্বপ্ন, একটি অর্জন ছিলো। বুর্জোয়াদের রক্তরাঙ্গা চোখের সামনে মেহনতি মানুষের সাহস ছিলো পাকিস্তান। কিন্তু ২৩ বছরের সংসারে পাকিস্তানের মুসলিম বুর্জোয়াদের মনুষ্য চরিত্রের পশু বেড়িয়ে এলে অন্যায়, অত্যচার আর জুলুমের রাজ কায়েম হলো। বাংলার মানুষ তাদের অধিকার আদায়ের মহান সংগ্রাম শুরু করে আর রিফর্মড পাকিস্তান গড়তে তাদের প্রচেস্টা অব্যাহত রাখলে পাকিস্তানের বুর্জোয়া শ্রেণীর রক্ষাকর্তা প্রতিষ্ঠান পাকিস্তান সেনাবাহীনি গণহত্যা চালায় বাংলার নিরীহ মানুষের উপর। মেহনতি মানুষের উপর দমন পীড়নের এই যুদ্ধে বুর্জোয়া শ্রেণী সফল ভাবে ধর্মকে ব্যাবহার করে। ত্রিশ লাখ প্রাণ আর আড়াই লাখেরও বেশি মহিলা নির্যাতনের মধ্য দিয়ে সৃষ্টি হয় বাংলাদেশের।


বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে কিন্তু পাকিস্তান যে স্বপ্ন ছিলো তা নিঃশেষ হয়নি। বুর্জোয়াদের অনাচার অত্যাচারকে ধর্ম জুড়ে দিয়ে রাজনীতিকগণ সেক্যুলার এক নতুন বাংলাদেশের ডাক দিলে ধর্মের প্রতি দূর্বল বাঙ্গালী মুসলমানের মাঝে খুব নীরবে এক হতাশা বা অপ্রাপ্তি বয়ে বেড়াতে থাকে। ৭০ এর দশকে সেক্যুলারিজমকে সমাজ, রাষ্ট্র এবং রাজনীতিক প্রতিষ্ঠান ব্যাখ্যা করতে চরম ভাবে ব্যার্থ হয় উপরন্তু হিন্দু জমিদার বা বুর্জোয়া শ্রেণীর অত্যাচারকে মেহনতি হিন্দু সমাজের সাথে গুলিয়ে ফেলে ভারত বিরোধী মনোভাব এবং এর ফলে ভারত প্রেমী বা ভারতের অনুরক্ত বা ভারতের প্রতি দূর্বল এমন শ্রেণীর বিকাশ ঘটলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বা স্বাধীনতায় বিরোধীতাকারী বাংলার মুসলমান এবং সাধারণ বাংলাদেশী মুসলমানদের মাঝে অবিশ্বাস, শঙ্কা এবং জাতীয় জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন এক শ্রেণীর উত্থান এবং এদের সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটতে থাকে দ্রুত খুব দ্রুত।


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুসলিম তোষণ করে বিভিন্ন আইন-কানুন করলেও ক্ষমতা আর ষড়যন্ত্রের রাজনীতি তাঁর প্রাণ কেড়ে নিলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে মুক্তিযুদ্ধের পর জাতীয় যে ঐক্যের প্রয়োজন ছিলো তা আর কখনোই স্থাপিত হয়নি। সারা দেশের রাজনীতি দুই ভাবে বিভক্ত হয়ে পড়ে, আওয়ামীলীগ এবং বিএনপি’তে। সুযোগ সন্ধানী, পেশাদার রাজনীতিকগণ আওয়ামীলীগকে বাম, ইসলামের প্রতি নন সিমপ্যাথাইজার হিসেবে দাড় করাতে সক্ষম হয় অপর দিকে বিএনপিকে ডানপন্থি, ইসলামের রক্ষক হিসেবে তুলে ধরে। বাংলাদেশের মিডিয়া, সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিক্ষা, রাজনীতিতে মেইনস্ট্রীম ইসলামকে না পেয়ে জেনারেশন এর পর জেনারেশন বেড়ে উঠতে থাকে যাদের কাছে তাদের ধর্ম তাদের রাস্ট্রেই অনিরাপদ বা হুমকির মুখে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ইসলামের সাথে জিহাদ বা জঙ্গিবাদের এবং মিডিয়ার ডাবল স্টান্ডার্ড কাজ রিভেঞ্জের এক ইবাদত শুরু করে জিহাদীরা। আশির বা নব্বইয়ের দশকের যে জিহাদীর কাছে ইসলামিক ভাতৃত্ববোধ জিহাদের ডাক দিতো তা নতুন শতাব্দীতে নতুন প্রজন্মের কাছে আত্মপরিচয়, আত্মস্বিকৃতির লড়ায়ে পরিবর্তীত হয়। নতুন এই জিহাদীদের কাছে সারা পৃথিবী শত্রু হয়ে উঠে। বাংলাদেশের মাদ্রাসা শিক্ষিত জনগোষ্ঠী সিস্টেম্যাটিক যে এবিউজের মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠেছে তাঁর সাথে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর একটি অংশ জুড়ে গেছে অধিকার আদায়ে, বদলার হোলী খেলায়, নিজ পরিচয় উদ্ধারে।


২০০১ সালের পরের বাংলাদেশে আমাদের রাজনীতিক নেতা আর রাজনীতিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধর্ম এবং জঙ্গি কার্ডগুলো যে অসাবধানতার সাথে খেলেছেন তা আমাদের জন্য কাউন্টার প্রোডাক্টিভ হয়ে ফিরে এসেছে। উপরন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সংঘটিত আন্তর্জাতিক অপরাধ বিচারে চলমান বিচার প্রক্রিয়াকে জামায়াত-বিএনপি এবং আওয়ামীলীগ স্বীয় রাজনীতিক বিলাশ চরিতার্থ করতে ব্যবহার করলে সুযোগ সন্ধানী গোষ্ঠী তাদের সর্বশক্তি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে আর সেই লড়াই এসে ইসলাম ও এন্টাই ইসলাম বিতর্কে রূপান্তরিত হয়। আমরা দেখছি, বাংলাদেশে হঠাৎ করে ইনটলারেন্স এমন বার বেড়েছে যে, প্রায় তিন/চার মাসে বিভিন্ন ইসলামিক জঙ্গিগোষ্ঠীর ব্যানারে ভীন্ন চিন্তার মানুষ খুন করার এক ভয়ঙ্কর উৎসব শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। কোটি কোটি টাকা খরচ করে পরিচালিত বিভিন্ন গোয়েন্দা বাহিনী এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধারাবাহিক ব্যার্থতা এবং সরকারের সর্বোপরি ফেইলিউরনেস দেশকে অস্থির করে তুলেছে। নতুন বিশ্ব ব্যাবস্থার রাজনীতি হোক আর ইসলামিক আন্তর্জাতিক জঙ্গিবাদের অংশ হিসেবেই হোক তারা তাদের মানুষ মারার উন্মাদনার বিষ বীজকে একটিভ করছে, নার্চারিং করছে।


আমার ধারণা যে কোন সন্ত্রাসী বা জঙ্গিকে যদি এই মরণ খেলার পরিণতি সম্পর্কে আপনি বলেন তবে সেও বলবে সে চায়না আমেরিকা বা তাঁর এলাইগণ বাংলাদেশকে ইরাক, আফগান বা লিবিয়া বানাক তা সে চায় না... বাংলাদেশের কোন নাগরিক সে যেই পক্ষের বা দলের বা মতের হোক না কেন সে চায় না বাংলাদেশ ব্যার্থ হোক... তাই প্রশ্ন জাগে তবে কে আর কেন ঘটছে এমন বর্বর হত্যাকান্ড? কি হতে পারে সমাধান?






বাবা সাহেব আম্বেদকর যে স্পিরিট থেকে ভারতের সংবিধান রচনা করেছেন তেমন একটি গণমুখি সকলের সুরক্ষার জাতীয় সংবিধান রচিত হোক, সিঙ্গাপুরের মতো একটি সেক্যুলার রাষ্ট্র গঠিত হোক যার লক্ষ্য হবে মানুষের জীবন মান উন্নয়ণ, আইন-শৃংখলা ও বিচার বিভাগ সকল প্রকার রাজনীতির বাইরে রাখার সকল ব্যাবস্থা নিশ্চিত করা হোক। প্রদেশ ভিত্তিক রাষ্ট্র কাঠামোর মাধ্যমে গ্যারন্টিড সুষম উন্নয়ন প্রচলন করা হোক।

No comments:

Post a Comment